এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান ১ম পত্র অধ্যায়-১o বিচ্যুতিমূলক আচরণ এবং অপরাধ সাজেশন

অধ্যায়-১০বিচ্যুতিমূলক আচরণ এবং অপরাধ

জ্ঞানমূলক  প্রশ্ন ও উত্তর 

প্রশ্ন-১. Social Deviance-এর বাংলা প্রতিশব্দ কী?

 [রা. বো., ব. বো. ১৭]

 উত্তর: Social Deviance- এর বাংলা প্রতিশব্দ হচ্ছে 'সামাজিক বিচ্যুতি'।

প্রশ্ন-২.বিচ্যুতি কী?

 [ঢা. বো., ম. বো., দি. বো., কু.বো., চ. বো., সি. বো., য, বো, '২২টা, বো, রা. বো, দি বো,, চ. বো, সি. বো,, য.]

 উত্তর: বিচ্যুতি বলতে এমন আচরণকে বোঝায়, যা স্বাভাবিক ও কাঙ্ক্ষিত আচরণের পরিপন্থি।

আর পড়ুন: ভিডিও ক্লাস(Admission Physics)

 আর পড়ুন :Admission ICT

প্রশ্ন-৩."বিচ্যুতি হচ্ছে এমন এক আচরণ যা কোনো গোষ্ঠী বা সমাজের আশা-আকাঙ্ক্ষা বা আচরণের মানকে ভঙ্গ করে”— উক্তিটি কার?

উত্তর: "বিচ্যুতি হচ্ছে এমন এক আচরণ যা কোনো গোষ্ঠী বা সমাজের আশা-আকাঙ্ক্ষা কিংবা আচরণের মানকে ভঙ্গ করে”— উক্তিটি আমেরিকান সমাজবিজ্ঞানী আর. টি. শেফার-এর।

প্রশ্ন-৪. লেবেলিং তত্ত্বের আলোকে বিচ্যুতিকে কয় ভাগে ভাগ করা হয়েছে?

 উত্তর: লেবেলিং তত্ত্বের আলোকে বিচ্যুতিকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে ।

সমাজবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র এর ১০০% কমন সাজেশন  আরো পড়ুন 

 প্রশ্ন-৫.কীরূপ আচরণ সামাজিক সংহতির পরিপন্থি?

উত্তর: বিচ্যুতিমূলক আচরণ সামাজিক সংহতির পরিপন্থি।

 প্রশ্ন-৬.নৈরাজ্য কী?

উত্তর: নৈরাজ্য বলতে সমাজের আদর্শ ও মূল্যবোধহীন অবস্থাকে বোঝানো হয়ে থাকে । প্রশ্ন-৭. কোন ধরনের আচরণ সামাজিকভাবে নিন্দনীয় হলেও আইনগতভাবে দণ্ডনীয় নয়? উত্তর: বিচ্যুতিমূলক আচরণ সামাজিকভাবে নিন্দনীয় হলেও আইনগতভাবে দণ্ডনীয় নয় ।

প্রশ্ন-৮.বিচ্যুত আচরণের উপাদানকে কয় ভাগে ভাগ করা হয়?

উত্তর: বিচ্যুত আচরণের উপাদানকে দুই ভাগে ভাগ করা হয় । যথা- ব্যক্তিগত ও সামাজিক উপাদান ।

প্রশ্ন-৯.সমাজবিজ্ঞানীদের মতানুযায়ী বিচ্যুত আচরণের কয়টি কারণ বিদ্যমান?

উত্তর: সমাজবিজ্ঞানীদের মতানুযায়ী বিচ্যুত আচরণের তিনটি কারণ বিদ্যমান । যথা- জৈবিক, মনস্তাত্ত্বিক ও সমাজতাত্ত্বিক।

প্রশ্ন-১০.বিধিসম্মত প্রক্রিয়ার মধ্যে কয়টি বিষয় নিহিত থাকে?

উত্তর: বিধিসম্মত প্রক্রিয়ার মধ্যে চারটি বিষয় নিহিত থাকে । যথা- বিধান, নিষেধন, সম্মতি

প্রতিনিষিদ্ধকরণ।

প্রশ্ন-১১. বিচ্যুতিমূলক আচরণ ব্যাখ্যায় জৈবিক তত্ত্বের প্রবক্তা কে?

উত্তর: বিচ্যুতিমূলক আচরণ ব্যাখ্যায় জৈবিক তত্ত্বের প্রবক্তা ইতালিয়ান অপরাধবিজ্ঞানী সিজার লমব্রোসো ।

প্রশ্ন-১২.ডুর্খেইম কয় ধরনের নৈরাজ্যের কথা বলেছেন?

উত্তর: ফরাসি সমাজবিজ্ঞানী এমিল ডুর্খেইম দুই ধরনের নৈরাজ্যের কথা বলেছেন । যথা- কঠোর ও সংক্রামিত নৈরাজ্য ।।

প্রশ্ন-১৩.এমিল ডুর্খেইমের সামাজিক বিচ্যুতিমূলক আচরণ বিশ্লেষণের তত্ত্বটি কী নামে পরিচিত?

উত্তর: এমিল ডুর্খেইমের সামাজিক বিচ্যুতিমূলক আচরণ বিশ্লেষণের তত্ত্বটি ‘এনমিক তত্ত্ব' নামে পরিচিত ।

প্রশ্ন-১৪.রবার্ট মার্টন কোনটিকে নৈরাজ্যের মুখ্য কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন?

উত্তর: আমেরিকান সমাজবিজ্ঞানী রবার্ট মার্টন সাংস্কৃতিক লক্ষ্য এবং প্রাতিষ্ঠানিক উপায়ের মধ্যকার দ্বন্দ্বকে নৈরাজ্যের মুখ্য কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

প্রশ্ন-১৫.অপরাধ কাকে বলে?

 [রা বো., কু.বো., চ. বো., ব. বো. ১৮]

উত্তর: দেশের আইনসভা দ্বারা অনুমোদিত শাস্তিযোগ্য কাজকে অপরাধ বলে ।

প্রশ্ন-১৬.অপরাধের কয়টি স্তর থাকে?

উত্তর: অপরাধের তিনটি স্তর থাকে ।

প্রশ্ন-১৭. কে অপরাধকে সামাজিক আচরণবিধির লঙ্ঘন হিসেবে চিহ্নিত করেন?

উত্তর: ইংরেজ সামাজিক নৃবিজ্ঞানী রেডক্লিফ ব্রাউন অপরাধকে সামাজিক আচরণবিধির লঙ্ঘন হিসেবে চিহ্নিত করেন ।

প্রশ্ন-১৮.কোনটিকে অপরাধের পূর্ববর্তী স্তর বলা যেতে পারে?

উত্তর: বিচ্যুতিমূলক আচরণকে অপরাধের পূর্ববর্তী স্তর বলা যেতে পারে ।

প্রশ্ন-১৯.‘Principles of Criminology' গ্রন্থটির রচয়িতা কে?

উত্তর: ‘Principles of Criminology' গ্রন্থটির রচয়িতা হলেন আমেরিকান সমাজবিজ্ঞানী ও অপরাধ তাত্ত্বিক এডউইন এইচ. সাদারল্যান্ড ।

প্রশ্ন-২০.মাত্রার ভিত্তিতে অপরাধ কয় প্রকার?

উত্তর: মাত্রার ভিত্তিতে অপরাধ দুই প্রকার ।

প্রশ্ন-২১.কে পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে অপরাধকে দুই ভাগে ভাগ করেছেন?

উত্তর: আমেরিকান সমাজবিজ্ঞানী এডউইন এম. লিমার্ট পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে অপরাধকে দুই ভাগে ভাগ করেছেন । যথা- পরিস্থিতিগত ও নিয়মমাফিক অপরাধ ।

প্রশ্ন-২২.কিশোর অপরাধ কী?

উত্তর: কিশোরদের দ্বারা সংঘটিত সামাজিক মূল্যবোধ ও আইনবিরোধী কাজকে কিশোর অপরাধ বলা হয় ।

প্রশ্ন-২৩.কত বছর বয়সীদের অপরাধকে কিশোর অপরাধ বলা হয়?

উত্তর: ৭-১৬ বছর বয়সীদের অপরাধকে কিশোর অপরাধ বলা হয় ।

প্রশ্ন-২৪.ভদ্রবেশী অপরাধ কী?

উত্তর: আর্থ-সামাজিকভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত লোক যখন পেশাগত কাজে অপরাধ করে তখন তাকে ভদ্রবেশী অপরাধ বলে । অপরাধের কারণ

প্রশ্ন-২৫.অপরাধবিজ্ঞানের জনক সিজার লমব্রোসো অপরাধের কারণ বিশ্লেষণে কোন দৃষ্টিভঙ্গির আশ্রয় নিয়েছেন? 

উত্তর: অপরাধবিজ্ঞানের জনক ইতালিয়ান চিকিৎসক ও অপরাধবিজ্ঞানী সিজার লমব্রোসো (Cesare Lombroso) অপরাধের কারণ বিশ্লেষণে জৈবিক দৃষ্টিভঙ্গির আশ্রয় নিয়েছেন ।

প্রশ্ন-২৬. সিজার লমব্রোসোর মতে, ব্যক্তির মধ্যে কমপক্ষে কয়টি অস্বাভাবিক শারীরিক বৈশিষ্ট্য বা ত্রুটি বিদ্যমান থাকলে অপরাধী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে?

উত্তর: ইতালিয়ান অপরাধবিজ্ঞানী সিজার লমব্রোসোর মতে, ব্যক্তির মধ্যে কমপক্ষে পাঁচটি অস্বাভাবিক শারীরিক বৈশিষ্ট্য বা ত্রুটি বিদ্যমান থাকলে অপরাধী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রশ্ন-২৭.‘পুঁজিবাদী অর্থনীতির শোষণের ফলশ্রুতিই অপরাধ'— উক্তিটি কার?

উত্তর: ‘পুঁজিবাদী অর্থনীতির শোষণের ফলশ্রুতিই অপরাধ'— উক্তিটি জার্মান দার্শনিক ও অর্থনীতিবিদ কার্ল মার্কসের।

প্রশ্ন-২৮. অপরাধের প্রতিকারে কয় ধরনের কার্যক্রম গ্রহণ করা যায়?

 উত্তর: অপরাধের প্রতিকারে তিন ধরনের কার্যক্রম গ্রহণ করা যায় ।

 প্রশ্ন-২৯. কোনো কিছু করার ওপর নিষেধ আরোপকে কী বলে?

 উত্তর: কোনো কিছু করার ওপর নিষেধ আরোপকে ট্যাবু বলে । 

প্রশ্ন-৩০. নিবারণমূলক শাস্তিতত্ত্বে শাস্তির লক্ষ্য কী?

উত্তর. নিবারণমূলক শাস্তিতত্ত্বে শাস্তির লক্ষ্য হলো সমাজে অপরাধের মাত্রা হ্রাস করা ।

প্রশ্ন-৩১.শাস্তির কতটুকু ভোগ করার পর অপরাধীকে প্যারোলে আনা হয়?

উত্তর: শাস্তির এক-তৃতীয়াংশ ভোগ করার পর অপরাধীকে প্যারোলে আনা হয় ।

প্রশ্ন-৩২.প্রবেশন ব্যবস্থায় অপরাধী ব্যক্তি কোথায় থাকবে?

উত্তর: প্রবেশন ব্যবস্থায় অপরাধী ব্যক্তি প্রবেশন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে কারাগারের বাইরে থাকবে ।

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন-১.বিচ্যুতিমূলক আচরণ বলতে কী বোঝায়?

উত্তর: সমাজে প্রচলিত আইন-কানুন, মূল্যবোধ ও রীতিনীতির পরিপন্থি আচরণকে বিচ্যুতিমূলক আচরণ বলে । প্রতিটি সমাজেই কতকগুলো নিজস্ব আচার-আচরণ, রীতিনীতি, আদর্শ ও মূল্যবোধ থাকে। সে অনুসারে সমাজ ব্যক্তির কাছ থেকে যে আচরণ প্রত্যাশা করে তাকে বলা হয় কাঙ্ক্ষিত বা প্রত্যাশিত আচরণ। এই প্রত্যাশিত আচরণের বাইরে ব্যক্তি যে সকল আচরণ করে তাই বিচ্যুত আচরণ। সুতরাং বিচ্যুতি বলতে মূলত এমন সব আচরণকে বোঝায়, যা স্বাভাবিক ও কাঙ্ক্ষিত আচরণের পরিপন্থি।

প্রশ্ন-২.‘সামাজিক বিচ্যুতি সৃষ্টিতে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের উপার্জনক্ষম হওয়াটা অনেকাংশে দায়ী’— ব্যাখ্যা কর।

উত্তর: সামাজিক বিচ্যুতির একটি উল্লেখযোগ্য কারণ হচ্ছে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের উপার্জনক্ষম হওয়া । আধুনিক সমাজে স্বামী- স্ত্রী উভয়েই আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হতে চায়। ফলে তারা তাদের সন্তান-সন্ততির কথা ভুলে গিয়ে সারা দিন কর্মক্ষেত্রে নিয়োজিত থাকে। এতে সন্তান-সন্ততি তাদের পিতামাতার আদর-স্নেহ থেকে বঞ্চিত হয়। স্নেহবঞ্চিত সন্তানসন্ততিরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের সমাজ পরিপন্থি কাজে জড়িয়ে পড়ে যা সামাজিক বিচ্যুতির সৃষ্টি করে। তাই একথা বলা যায় যে, সামাজিক বিচ্যুতি সৃষ্টিতে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের উপার্জনক্ষম হওয়াটা অনেকাংশে দায়ী ।

প্রশ্ন-৩.জৈবিক তাড়না কীভাবে বিচ্যুতিমূলক আচরণের সৃষ্টি করে?

উত্তর: জৈবিক তাড়না থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানুষ ছোট ছোট সমাজ অনাকাঙ্ক্ষিত কাজ করে যা বিচ্যুতিমূলক আচরণকেই বোঝায় । প্রতিটি প্রাণীর মধ্যেই জৈবিক তাড়না কাজ করে । এ তাড়নাগুলো সমাজের নিয়ম-নীতি মেনে চলতে চায় না। ফলে জৈবিক তাড়না এবং সমাজের নিয়ম-নীতির মধ্যে একটা সংঘাতের সৃষ্টি হয়। সামাজিক রীতি-নীতিগুলো মানুষের জৈবিক তাড়নাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায় । পক্ষান্তরে, জৈবিক তাড়নাগুলো সামাজিক রীতি-নীতি মেনে নিতে চায় না । মানুষ যখন তাদের জৈবিক তাড়নাগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যর্থ হয় তখন বিচ্যুতিমূলক আচরণের সৃষ্টি হয়।

প্রশ্ন-৪.ডুর্খেইম বর্ণিত কঠোর ও সংক্রামিত নৈরাজ্যের ধারণা ব্যাখ্যা কর।

উত্তর: হঠাৎ কোনো পরিবর্তনের ফল হচ্ছে কঠোর নৈরাজ্য এবং ক্রমান্বয়ে রাষ্ট্রের বিভিন্ন স্তরে নৈরাজ্য ছড়িয়ে পড়াকে সংক্রামিত নৈরাজ্য বলে। সমাজ কিংবা রাষ্ট্রের মধ্যে যখন হঠাৎ করে কোনো নেতিবাচক পরিবর্তন দেখা দেয় তখন সে অবস্থাকে কঠোর নৈরাজ্যে হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। যেমন- ব্যবসায়িক সংকট, ধর্মঘট, হরতাল ইত্যাদি। অন্যদিকে সংক্রামিত নৈরাজ্য হলো রাষ্ট্র কিংবা শিল্পভিত্তিক সমাজে একবার ঘটার পর ক্রমান্বয়ে তা রাষ্ট্রের বিভিন্ন স্তরে সংক্রামিত হওয়া। যেমন- রাষ্ট্রের আধিপত্যবাদী মনোভাব ।

প্রশ্ন-৫.অপরাধ বলতে কী বোঝায়?

উত্তর: অপরাধ বলতে সামাজিক আইন বা নীতিমালার লঙ্ঘনকে বোঝায়। সুনির্দিষ্ট অর্থে দেশের আইনসভা কর্তৃক অনুমোদিত শাস্তিযোগ্য কাজকেই অপরাধ বলা হয়। দেশে প্রচলিত সরকারি আইন-কানুন বা বিধি-বিধানের পরিপন্থি কোন কাজ করাকে আইনের চোখে অপরাধ বলে গণ্য করা হয়। সমাজবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে সামাজিক দিক থেকে ক্ষতিকর এমন কিছু করার নামই অপরাধ ।

প্রশ্ন-৬.'অপরাধ একটি সামাজিক ঘটনা'— ব্যাখ্যা কর ।

উত্তর: অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সমাজকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হয় বলেই অপরাধ একটি সামাজিক ঘটনা। অপরাধ কোনো সহজাত প্রবৃত্তির ফল নয়। বরং এটি একটি সামাজিক ঘটনা। পৃথিবীতে জন্মের সময় কেউ অপরাধী হয়ে জন্মায় না। যেহেতু আইনের লঙ্ঘন হলো অপরাধ। একজন মানুষ পৃথিবীতে আবির্ভাবের সাথে সাথে আইনের স্পর্শ পায় না। জন্মের পর ব্যক্তি পরিবারের সংস্পর্শে আসে এবং সেখানেই লালিত-পালিত হয়। এরপর সে সমাজের এবং পরবর্তীতে রাষ্ট্রের সংস্পর্শে আসে। রাষ্ট্র যেহেতু আইন প্রণয়ন করে, তাই মানুষ যে আইন লঙ্ঘন করে সেটা সমাজেরই সৃষ্টি সুতরাং অপরাধ অবশ্যই সামাজিক ঘটনা ।

প্রশ্ন-৭.ভদ্রবেশী অপরাধ বলতে কী বোঝায়?

উত্তর: আর্থ-সামাজিকভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত ব্যক্তির দ্বারা সংঘটিত অপরাধকে ভদ্রবেশী অপরাধ বলে। ভদ্রবেশী অপরাধ বলতে নিরবে সংঘটিত হওয়া অপরাধসমূহ বোঝায়। যেমন- আয়কর ফাঁকি, জালিয়াতি, তহবিল তছরুপ, ট্রেড মার্ক নকল করা ইত্যাদি। এগুলোকে বলা হয় ভদ্রবেশী অপরাধ। আর্থ-সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত না হয়েও কেউ ভদ্রবেশী অপরাধ করতে পারে । ভদ্রবেশী অপরাধগুলো অনেকটা নীরবে ও গোপনে সংঘটিত হয়। তাই এ ধরনের অপরাধ শনাক্ত করা অনেকটা জটিল হলেও অসম্ভব নয় ।

প্রশ্ন-৮.কিশোর অপরাধ কী?

[ঢা. বো., দি. বো, সি. বো, য. বো. ১৮]

উত্তর: কিশোর অপরাধ হচ্ছে কিশোর-কিশোরীদের দ্বারা সংঘটিত অপরাধ ।কিশোর-কিশোরী কর্তৃক সংঘটিত সামাজিক মূল্যবোধ, রীতিনীতি ও ঐতিহ্যের সাথে সাংঘর্ষিক এবং আইনশৃঙ্খলার পরিপন্থী যেকোনো কাজকেই কিশোর অপরাধ বলে গণ্য করা হয়। দারিদ্র্য, পারিবারিক অশান্তি, কুরুচিপূর্ণ চলচ্চিত্র, অসৎ সঙ্গ প্রভৃতি কারণে কিশোর-কিশোরীরা নানা রকম অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে।

প্রশ্ন-৯. অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পেছনে পারিবারিক পরিবেশের ভূমিকা ব্যাখ্যা কর ।

উত্তর: অস্বাস্থ্যকর ও অস্বাভাবিক পারিবারিক পরিবেশ অপরাধ সংঘটনের একটি কারণ। একটি সুন্দর, সুস্থ পারিবারিক পরিবেশ যেমন একটি শিশুকে পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারে তেমনি বস্তি জীবনের অস্বাস্থ্যকর ও অস্বাভাবিক পরিবেশের প্রভাবে একটি শিশু অপরাধী হয়ে উঠতে পারে । এজন্য ঢাকা শহরের বস্তি এলাকায় অপরাধ প্রবণতার হার বেশি। বস্তুত পারিবারিক পরিবেশ অপরাধ প্রবণতার পিছনে মূল ভূমিকা রাখে। তাই বলা যায়, অপরাধ সংঘটিত হওয়ার ক্ষেত্রে পারিবারিক পরিবেশের ভূমিকা অনস্বীকার্য ।

প্রশ্ন-১০.শ্রেণি বৈষম্য কীভাবে অপরাধ প্রবণতা সৃষ্টি করে? ব্যাখ্যা কর। 

উত্তর: শ্রেণি বৈষম্যের কারণে মানুষের মধ্যে হিংসা-বিদ্বেষ বৃদ্ধি পায়। এর থেকে প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে মানুষ নানা অপরাধে লিপ্ত হয়। আধুনিক পুঁজিবাদী সমাজে একদিকে যেমন পূর্বের বন্ধন খসে পড়ছে, অপরদিকে সম্পদের অসম বণ্টনের ফলে সমাজে শ্রেণি সম্পর্ক সংঘর্ষশীল হচ্ছে। এর সাথে রাজনৈতিক চেতনার উন্মেষের কারণে বিদ্বেষ ছড়িয়ে পড়ছে। এ শ্রেণি-বিদ্বেষ আইন ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণ হয়ে দাড়ায় এবং মানুষ অপরাধী হয়ে ওঠে।

প্রশ্ন-১১.ত্রুটিপূর্ণ শিক্ষা ব্যবস্থা কীভাবে অপরাধের সাথে জড়িত? ব্যাখ্যা কর।

[ঢা বো., ম. বো., দি. বো., কু. বো., চ. বো., সি. বো., য. বো. 22]

উত্তর: ত্রুটিপূর্ণ শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অপরাধ প্রবণতার জন্ম দিতে পারে। সুষ্ঠু শিক্ষার অভাবে শিশু বিভিন্ন সামাজিক গুণাবলি বা বৈশিষ্ট্যাবলি অর্জন থেকে বঞ্চিত হয়। ফলে অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। শিক্ষা ব্যবস্থা ত্রুটিপূর্ণ হলে এটির মাধ্যমেই শিশুরা সমাজবিরোধী হয়ে উঠতে পারে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন পরিবেশ থেকে শিশুরা আসার ফলে তাদের বিভিন্ন ধরনের নীতি-নৈতিকতা ও মূল্যবোধ থাকতে পারে। ফলে নীতি-নৈতিকতা ও মূল্যবোধের সংঘাত হতে পারে । এ কারণে মানসিকভাবে কোনো শিশু বিপর্যয়ের শিকার হয়ে অপরাধ সংঘটনে লিপ্ত হতে পারে । 

প্রশ্ন-১২. অপরাধের পেছনে অর্থনৈতিক কারণ অধিক দায়ী কেন? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর: অর্থনৈতিক বৈষম্য থেকে অপরাধ জন্ম নেয় বলে অপরাধের পিছনে অর্থনৈতিক কারণ অধিক দায়ী। অপরাধের একটি অন্যতম কারণ হলো অর্থনীতি। গরিব শ্রেণির মানুষের মধ্যে অপরাধী বেশি দেখা যায়। আর গরিবরা অনেক সময় আর্থিক কারণে অপরাধ করে। অর্থনৈতিক সংকটের কারণে যেমন অপরাধ সংঘটিত হতে পারে তেমনি অত্যধিক ধন লাভে এবং আর্থ-সামাজিকভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত লোকের একটি অংশ তাদের পেশাগত কাজে অপরাধ করে থাকে। এ কারণে অপরাধের পেছনে অর্থনৈতিক কারণকে অধিক দায়ী করা হয় ।

প্রশ্ন-১৩.অপরাধী হয়ে ওঠার পেছনে সামাজিক রীতিনীতির প্রভাব ব্যাখ্যা কর ।

উত্তর: সামাজিক রীতিনীতি ও মূল্যবোধহীনতা অপরাধী তৈরির পিছনে প্রভাব বিস্তার করেমানুষ জন্মের পর থেকে বিভিন্ন সামাজিক রীতিনীতি, আচার-অনুষ্ঠানের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতে শুরু করে। ফলে সে প্রচলিত রীতিনীতির ঊর্ধ্বে উঠতে পারে না । কোনো ব্যক্তি নতুন কোনো সংস্কৃতিতে গেলে নতুন পরিবেশ মোকাবিলা করে । ফলে ব্যক্তি প্রতিনিয়ত সাংস্কৃতিক সংঘাতের সম্মুখীন হয় । এভাবেই সামাজিক রীতিনীতির প্রভাবে কেউ কেউ অপরাধী হয়ে উঠতে পারে ।

 প্রশ্ন-১৪.“সকল অপরাধই বিচ্যুতি, সকল বিচ্যুতিই অপরাধ নয়”- ব্যাখ্যা কর ।

উত্তর: অপরাধের মধ্যে বিচ্যুতি নিহিত থাকে বলে সকল অপরাধই বিচ্যুতি। পক্ষান্তরে বিচ্যুতির মধ্যে অপরাধ নিহিত থাকে না বলে সকল বিচ্যুতিই অপরাধ নয়। সকল অপরাধই বিচ্যুতি কিন্তু সকল বিচ্যুতিই অপরাধ নয়। সমাজস্বীকৃত আচরণের পরিপন্থি যেকোনো আচরণই বিচ্যুতি, আর ঐ বিচ্যুতিমূলক আচরণ যখন আইনের চোখে শাস্তিযোগ্য হয় কেবল তখনই তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়। যেমন— একজন বখাটে কিশোর যদি ধূমপান করে, তখন তা বিচ্যুতিমূলক আচরণ, অপরাধ নয় । কিন্তু যদি সে ইভটিজিং বা ছিনতাইয়ে লিপ্ত হয় তাহলে তা বিচ্যুতির পাশাপাশি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে । এজন্যই বলা হয়, সকল অপরাধই বিচ্যুতি, সকল বিচ্যুতিই অপরাধ নয় ।

প্রশ্ন-১৫.শিক্ষককে সালাম না দেওয়া কি অপরাধ? বুঝিয়ে লেখ।

[/ঢা বো., রা. বো., দি. বো, চ. বো., সি. বো, য. বো. ’১৯]

 উত্তর: শিক্ষককে সালাম না দেওয়া অপরাধ নয়, এটি বিচ্যুত আচরণ ।

আমরা জানি, দেশের আইনসভা কর্তৃক অনুমোদিত শাস্তিযোগ্য কাজকে অপরাধ বলে। অন্যদিকে সমাজে প্রচলিত রীতিনীতি, আদর্শ ও মূল্যবোধের পরিপন্থি আচরণকে বিচ্যুতিমূলক আচরণ বলে । আমাদের দেশে শিক্ষককে সালাম না দেওয়ার জন্য কোনো শাস্তির ব্যবস্থা রাখা হয় নি। অর্থাৎ আইনের দৃষ্টিতে এটি অপরাধ নয়। কিন্তু আমাদের সমাজে প্রচলিত রীতি হচ্ছে, শিক্ষককে শ্রদ্ধা করা এবং দেখা হলে সালাম দেওয়া। সুতরাং কেউ যদি শিক্ষককে সালাম না দেয় তাহলে সে সমাজে প্রচলিত নিয়ম ভঙ্গ করল । অর্থাৎ সে বিচ্যুতিমূলক আচরণ করল ।

প্রশ্ন-১৬.অপরাধ দমনে গণমাধ্যমের ভূমিকা কী? বর্ণনা কর। 

[রা. বো., ব. বো. ১৭]

উত্তর: অপরাধ দমন করতে গণমাধ্যমগুলো অপরাধীদের কর্মকাণ্ডের চিত্র তুলে ধরে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে। গণমাধ্যম হচ্ছে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিচ্ছবি। অপরাধের চিত্র এবং পাশাপাশি অপরাধীর শাস্তি যদি পূর্ণাঙ্গভাবে গণমাধ্যমগুলো তুলে ধরে তাহলে সমাজ তথা দেশে অপরাধ হ্রাস পাবে। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যেতে পারে, বাংলাদেশ টেলিভিশনের ‘পরিপ্রেক্ষিত’, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশন-এর 'তালাশ', এটি এন বাংলার ‘ক্রাইম ওয়াচ’ প্রভৃতির মতো কিছু অনুষ্ঠান সমাজে অপরাধ দূরীকরণ তথা প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।

প্রশ্ন-১৭. অপরাধ দমনে প্রশাসনিক পদক্ষেপের গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর ।

উত্তর: ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা, আইনের শাসন ইত্যাদি পদক্ষেপের মাধ্যমে প্রশাসন অপরাধ দমনে ভূমিকা রাখতে পারবে। অপরাধ দমনে প্রশাসনিক ও প্রাতিষ্ঠানিক বিভিন্ন উদ্যোগ এবং কর্মসূচি গ্রহণ করলে এর প্রবণতা হ্রাস পাবে। বিশেষ করে এ ব্যাপারে অপরাধীর শাস্তি বিধানে বিচার বিভাগকে যত্নবান হতে হবে। অপরাধের বিচারের ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রিতার নীতি পরিহার করতে হবে। কারণ এতে শাস্তি গ্রহণে অপরাধী যেমন মানসিকভাবে প্রস্তুতি নেয় তেমনি জনগণও বিচারের ফলাফল জানার আগ্রহ হারিয়ে ফেলে । তাই অপরাধ প্রতিরোধে দ্রুত বিচার সুনিশ্চিত করতে হবে ।

প্রশ্ন-১৮. ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান কীভাবে অপরাধ প্রবণতা রোধে কাজ করে? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর: ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ব্যক্তিকে অনৈতিক কাজ থেকে দূরে থাকার শিক্ষা দিয়ে অপরাধ প্রবণতা রোধে কাজ করে। সব ধর্মের মূল বাণীর মধ্যে অভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। সততা, অন্যের প্রতি সহযোগিতা, সহমর্মিতা, মানবপ্রেম, নিষ্ঠা, নিজ নিজ ধর্মের নিয়মনীতি পালন করার শিক্ষা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো দিয়ে থাকে। তাই যে ব্যক্তি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাগুলো মেনে চলে সে অন্যায় ও অসৎ কর্ম থেকে বিরত থাকে। কারণ সে বিশ্বাস করে তার কোনো অপকীর্তি সৃষ্টিকর্তার চোখ এড়াতে পারবে না । এভাবে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান অপরাধ প্রবণতা রোধে কাজ করে ।

প্রশ্ন-১৯.‘অপরাধ প্রতিরোধের জন্য অর্থনৈতিক উন্নয়ন অপরিহার্য'- ব্যাখ্যা কর।

উত্তর: অর্থনৈতিক উন্নয়নে বা অর্থনৈতিক সাম্য প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে অপরাধ প্রতিরোধ সম্ভব। অপরাধের জন্য অনেক সময় দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে দায়ী করা হয়। আবার পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকেও অপরাধ প্রবণতার অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করা যায়। তাই দেশের জন্য এমন একটি যুক্তিযুক্ত অর্থনৈতিক ব্যবস্থা থাকা বাঞ্ছনীয়, যেখানে সম্পদ ও সুযোগের সদ্ব্যবহার এবং তার ন্যায্য তথা সুষম বণ্টন ত্বরান্বিত হতে পারে। সমাজে যদি শোষণ ও অবিচার দূরীভূত হয়, তবে দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন সম্ভব হবে এবং অপরাধ প্রবণতা দূরীভূত হবে ।

প্রশ্ন-২০.প্যারোল ও প্রবেশন দুটিই সংশোধনমূলক ব্যবস্থা কিন্তু প্রেক্ষাপট ভিন্ন— বুঝিয়ে লেখ ।

উত্তর: কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ যখন সাক্ষ্য প্রমাণ দ্বারা প্রমাণিত হয় এবং আদালত যখন তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয় তখন কারাগারে প্রেরণ না করে তার চারিত্রিক সংশোধনের জন্য যে ব্যবস্থা নেয়া হয় তার নাম প্রবেশন। অন্যদিকে কোনো অপরাধী কারাগারে শাস্তি ভোগের একটি সময় অতিক্রম করলে তাকে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেওয়ার ব্যবস্থাই হচ্ছে প্যারোল । সুতরাং দেখা গেল, দুটিই সংশোধনমূলক ব্যবস্থা কিন্তু প্রেক্ষাপট ভিন্ন ।

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর 

১.“বিচ্যুত আচরণ হলো সেই আচরণ, যা সামাজিক আশা- আকাঙ্ক্ষা সমর্থন করে না”— সংজ্ঞাটি কে প্রদানকরেছেন?

 ক. মিল                  

গ. বেন

খ. রস                  

ঘ. লমব্রোসো

উত্তর:খ

২.বিচ্যুতিমূলক আচরণের ক্ষেত্রে নিচের কোনটি প্রযোজ্য?

 ক.প্রত্যাশিত ও স্বাভাবিক আচরণ  

 খ. সমাজকাঠামোর সাথে সম্পৃক্ত নয়

 গ. অপরাধের পরবর্তী স্তর      

  ঘ.সামাজিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে দমন করা যায়

উত্তর:  ঘ

৩.ফ্রয়েডীয় মনোবিশ্লেষণ অনুযায়ী মানবজীবন প্রবৃত্তির তাড়নায় কী করে?

ক. সংঘর্ষে লিপ্ত হয়         

খ.প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হয়

গ. আত্মকেন্দ্রিক হয়      

ঘ. সহযোগিতার হাত বাড়ায়

উত্তর: খ

৪. বিচ্যুত আচরণ বিশ্লেষণে জৈবিক তত্ত্বের প্রথম প্রয়োগ করেন কে?

ক. আর. কে. মার্টন        

খ. এমিল ডুর্খেইম

গ. সিজার লমব্রোসো        

ঘ. গারফিল্ড

উত্তর: গ

৫. কীরূপ নৈরাজ্য কোনো গোষ্ঠী বা সমাজের দ্বিধা-দ্বন্দ্বের পরিস্থিতিকে নির্দেশ করে?

ক. চরম নৈরাজ্য                  

খ. সরল নৈরাজ্য

গ. কঠোর নৈরাজ্য      

 ঘ. সংক্রামিত নৈরাজ্য

উত্তর: খ

৬. “অপরাধ হচ্ছে এমন এক আচরণ যা সরকারি কর্তৃপক্ষ দ্বারা নিষিদ্ধ এবং যার জন্যে অপরাধীকে আনুষ্ঠানিক বিধানের মাধ্যমে শাস্তি দেওয়া যেতে পারে।” অপরাধের এ সংজ্ঞাটি কে দিয়েছেন?

ক. ডেভিড পোপেনো           

খ. লমব্রোসো

গ. ম্যাকাইভার    

 ঘ. ডুর্খেইম

উত্তর: ক

৭. অপরাধের সংজ্ঞা নির্ধারণে সামাজিক সম্মতির ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন কে?

ক. এমিল ডুর্খেইম       

খ. আর. কে. মার্টন

গ. সিজার লমব্রোসো      

ঘ. রাফায়েল গারাফেলো

উত্তর: ক

৮. ‘Principles of Criminology' গ্রন্থটির রচয়িতা কে?

ক. সাদারল্যান্ড        

খ. ওয়েলটন

গ. হ্যামিলন      

 ঘ. বার্কার

উত্তর: ক

৯.লমব্রোসো কোনো ব্যক্তির মধ্যে কমপক্ষে কয়টি অস্বাভাবিক শারীরিক বৈশিষ্ট্য বা ত্রুটি থাকলে তার অপরাধী হওয়ার সম্ভাবনার কথা বলেন?

ক. পাঁচটি

খ. ছয়টি

গ. সাতটি

ঘ.আটটি

উত্তর: ক

১০.কোনটি আকস্মিক অপরাধ?

ক. গ্রাম্য ডাকাতি

খ. বাধ্য হয়ে চুরি করা

গ.পথচারীকে গাড়ি চাপা দেয়া

ঘ. অগ্নিসংযোগ

উত্তর: গ

১১.কিশোর বয়সীদের দ্বারা সংঘটিত অপরাধকে কী বলে?

ক. অদণ্ডনীয় অপরাধ 

খ. লঘু অপরাধ

গ. গুরু অপরাধ

ঘ.কিশোর অপরাধ

উত্তর: ঘ

১২.যারা সমাজ কর্তৃক অনুমোদিত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য প্রত্যাখ্যান করে অথচ লক্ষ্য অর্জনের জন্যে সমাজ কর্তৃক পন্থাই অনুসরণ করে, তাদেরকে কী বলা হয়?

ক. ইনোভেটর

খ. রিট্রিটিস্ট

গ. রিচুয়ালিস্ট

ঘ. কনফর্মিস্ট

উত্তর: গ

১৩.অর্থনৈতিক কারণের সাথে সম্পৃক্ত অপরাধের প্রতিরোধকল্পে কোন ব্যবস্থাটি প্রয়োজন?

ক. উপযুক্ত কর্মসংস্থান ব্যবস্থা

খ. উপযুক্ত শিক্ষাব্যবস্থা

গ. কঠোর আইন ব্যবস্থা

ঘ. নিরপেক্ষ বিচারব্যবস্থা

উত্তর: ক

১৪.অপরাধ প্রতিরোধে কোন ব্যবস্থা সর্বোত্তম?

ক. শাস্তি দেওয়া

খ.সংশোধনের ব্যবস্থা

গ. পুরস্কৃত করা

ঘ. আইনের যথাযথ প্রয়োগ করা

উত্তর: খ

১৫. অপরাধীর চারিত্রিক সংশোধন ও পুনর্বাসনের আনুষ্ঠানিক নাম-

ক. কারাগার

খ. হাজত

গ. প্রবেশন

ঘ. প্যারোল

উত্তর: গ

১৬. সামাজিক বিচ্যুতির কারণ—

i.সংস্কৃতির প্রভাব

ii.সুষ্ঠু সামাজিকীকরণের অভাব 

iii. জৈবিক তাড়না

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

গ.ii ও iii

খ.i ও iii

ঘ.i, ii ও iii

উত্তর: ঘ

১৭. অপরাধের রাজনৈতিক কারণ খুঁজতে হবে—

i.রাজনৈতিক মতাদর্শের দ্বন্দ্বে

ii.ক্ষমতার দ্বন্দ্বে

iii. শ্রেণি স্বার্থের দ্বন্দ্বে

নিচের কোনটি সঠিক ?

ক. i ও ii

খ.i ও iii

গ. ii ও iii

ঘ.i, ii ও iii

উত্তর: ঘ

১৮. প্রতিযোগিতার সাধারণসীমালঙ্ঘন করে অসুস্থ প্রতিযোগিতা বা দ্বন্দ্ব সংঘাতের সূত্রপাত হতে পারে যদি-

i.অর্থ সম্পদ সীমিত হয়

ii. প্রতিযোগীর সংখ্যা অত্যধিক হয়

iii. কোনো নিয়ন্ত্রক সংস্থা না থাকলে

  নিচের কোনটি সঠিক ?

ক. i ও ii

গ. ii ও iii

খ. i ও iii

ঘ.i, ii ও iii

উত্তর: ক

অভিন্ন তথ্যভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর 

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ো এবং ১৯ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও:

‘চ’ চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে এবং তার শাস্তি হয়। জেল কর্তৃপক্ষ তার শাস্তি স্থগিত রেখে তাকে একজন কর্মকর্তার অধীনে রাখে ।

১৯.উদ্দীপকে কারা কর্তৃপক্ষের গৃহীত ব্যবস্থা কোনটি?

ক. প্যারোল

গ. প্রতিকার

খ. প্রতিরোধ

ঘ. প্রবেশন

উত্তর:ঘ

২০.বড়দের অসম্মান করা হলো— 

[সকল বোর্ড ১৯]

ক. অপরাধ

গ. বিশৃঙ্খলা

খ. বিচ্যুতি

ঘ. নৈরাজ্য

উত্তর: খ

২১. কোনটি সমাজের প্রত্যাশিত বা স্বাভাবিক আচরণ নয়?

[সকল বোর্ড ২২]

ক. বড়দের সম্মান করা

খ.বিচ্যুতিমূলক আচরণ করা

গ. ছোটদের স্নেহ করা

ঘ. ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে চলা

উত্তর: খ

২২.মাদকাসক্তি, পতিতাবৃত্তি, জুয়া খেলা এ জাতীয় অপরাধের বিরুদ্ধে সাধারণত অন্যরা কোনো অভিযোগ আনেন না কেন?

[সকল বোর্ড ১৭]

ক. অপরাধীদের ভয়ে

খ. অভিযোগ করে ফল না পাওয়ায়

 গ. প্রত্যক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হওয়ায়

 ঘ. আইন দ্বারা নিষিদ্ধ নয় বলে

উত্তর: 

২৩. বিচ্যুতি হলো—

 [সকল বোর্ড ১৬]

ক. অন্যের অধিকার হরণ করা

খ.প্রতিষ্ঠানের কর্তৃত্ব খর্ব করা

গ. অন্যের সমালোচনা করা

ঘ. সমাজ স্বীকৃত নিয়ম-কানুন অমান্য করা

উত্তর:  গ

বোর্ড পরীক্ষার বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর 

২৪.সমাজবিজ্ঞানী এমিল ডুর্খেইম সামাজিক বিচ্যুতিমূলক আচরণের যে তত্ত্ব দেন সেটি কী নামে পরিচিত?

[সকল বোর্ড '১৫]

ক. সামাজিক বিশৃঙ্খলামূলক তত্ত্ব

 খ. সামাজিক নৈরাজ্যমূলক তত্ত্ব 

গ. বিভিন্নমুখী মেলামেশা তত্ত্ব

ঘ. আচরণ বিশ্লেষণমূলক তত্ত্ব

উত্তর: খ

২৫.বিরোধী কাজ হলো—

[সকল বোর্ড ১৬]

ক. অভদ্রতা

গ. অনাচার

খ. অশোভন

ঘ. অপরাধ

উত্তর:ঘ 

২৬.শাস্তির কত অংশ ভোগ করার পরে অপরাধীকে প্যারোলে আনা হয়?

[সকল বোর্ড ১৯]

ক.1/2

খ.1/3

গ.1/4

ঘ.1/5

উত্তর:খ 

২৭. বিচ্যুতি হলো—

 [সকল বোর্ড ১৭]

i. ঐতিহ্য পরিপন্থি আচরণ

ii. আইন বিরোধী আচরণ

iii. মূল্যবোধ পরিপন্থি আচরণ

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

গ. ii ও iii

খ.i ও iii

ঘ.i, ii ও iii

উত্তর: খ

২৮.ভদ্রবেশী অপরাধের উদাহরণের ক্ষেত্রে বলা যায়—

[সকল বোর্ড ১৮]

i. তহবিল তসরূপ না করা

ii. ট্রেডমার্ক নকল করা

iii. আয়কর না দেয়া

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

খ.i ও iii

গ. ii ও iii

ঘ.i, ii ও iii

উত্তর: খ

নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং ২৯ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও:

রাসেলের বয়স দশ বছর। বাবা-মার সাথে আগারগাঁও বস্তিতে বাস করে। অভাবের তাড়নায় সে পকেটমারাসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়ায়। 

[সকল বোর্ড ’১৮]

২৯. রাসেলের এরূপ কর্মকাণ্ড কী ধরনের অপরাধ?

ক. ভদ্রবেশী

গ. সংগঠিত

খ. কিশোর অপরাধ

ঘ. গতানুগতিক

উত্তর: খ

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩০ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও:

লালন দশম শ্রেণিতে পড়ে। অসৎ বন্ধুদের প্ররোচনায় সে মাদকাসক্ত এবং একসময় ছোটখাট চুরির মতো কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে ।

 [সকল বোর্ড ২২]

৩০. উদ্দীপকের লালনের কর্মকাণ্ড কোন ধরনের অপরাধ?

ক. সংগঠিত

গ. কিশোর

খ.ভদ্রবেশী

ঘ. শিকারবিহীন অপরাধ

উত্তর: গ

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩১ ও ৩২ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও: 

চুরি করার অপরাধে শামীম ও শাহীনকে আদালত যথাক্রমে তিন বছর ও ছয় বছরের সাজা দেয়। কারা কর্তৃপক্ষ শামীমকে এক বছর পরে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেয়। 

[সকল বোর্ড ১৬]

৩১.উদ্দীপকের শামীমের ক্ষেত্রে কারা কর্তৃপক্ষের গৃহীত পদক্ষেপ অপরাধ দূরীকরণের কোন ব্যবস্থার মধ্যে পড়ে?

ক.প্রতিরোধ 

খ. প্যারোল

গ.প্রবেশন

ঘ. পুনর্বাসন

উত্তর:খ 

৩২.শাহীনকে শামীমের মতো সুযোগ পেতে হলে-

i.আরও এক বছর অপেক্ষা করতে হবে

ii.আরও দুই বছর অপেক্ষা করতে হবে

iii. তার আচরণে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে হবে

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

খ. i ও iii

গ. ii ও iii

ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: খ

সমাজবিজ্ঞান ১ম পত্র এর ১০০% কমন সাজেশন  আরো পড়ুন 












এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনেট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url