এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান ১ম পত্র অধ্যায়-৪ সমাজবিজ্ঞানের মৌল প্রত্যয় সাজেশন

Chapter-4 Fundamental Beliefs of Sociology


পেজ সূচিপত্র :অধ্যায়-৪ সমাজবিজ্ঞানের মৌল প্রত্যয় 

আমাদের  ওয়েবসাইট ও  চ্যানেলে তোমাদের  স্বাগতম । আমরা প্রতিনিয়ত সকল বোর্ডের প্রশ্নের সমাধান দিয়ে থাকি । তোমাদের যে কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট বক্সে দিতে পার । আমরা উত্তর দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। পরবর্তিতে সকল প্রশ্নের ব্যাখ্যাসহ সমাধান কনটেন্ট আপলোড দেব । পড়ার টেবিল নামের পুরো একটা লাইব্রেরী!  এত বই পড়ে কি লাভ? যদি কমন না আসে এত বই পড়ার পরেও!

শিক্ষার্থীদের হতাশা থেকে মুক্তির পথে,আমরা শতভাগ (১০০%) কমনের নিশ্চয়তায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ! 

বিকল্পধারায় সহজ থেকেও সহজতর পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উপহার স্বরুপ শিক্ষা,  জ্ঞান-বিজ্ঞান, CQ, MCQ,মডেল টেষ্ট, সৃজনশীল প্রশ্ন+উত্তর ও ভিডিও ক্লাস। সম্পুর্ণ ডিজিটাল পথে শিক্ষার্থীদের সফলতার সর্বোচ্চ চুড়ায় পৌঁছে দিতে আমাদের এই উদ্বেগ।

এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান ১ম পত্র ১০০% কমন সাজেশন-২০২৩

HSC Sociology 1st paper100% Common Suggestion-2023

অধ্যায় :-৪ সমাজবিজ্ঞানের মৌল প্রত্যয়

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 

প্রশ্ন-১. ম্যাকাইভার সমাজের কয়টি বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করেছেন?

উত্তর: স্কটিশ সমাজবিজ্ঞানী ম্যাকাইভার সমাজের চারটি বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করেছেন ।

প্রশ্ন-২. সমাজবিজ্ঞানের কোন প্রত্যয় মানুষকে সামাজিক জীব হিসেবে মর্যাদা প্রদান করে?

উত্তর: সমাজবিজ্ঞানের ‘সমাজ' নামক প্রত্যয় মানুষকে সামাজিক জীব হিসেবে মর্যাদা প্রদান করে ।

প্রশ্ন-৩. 'Socius' শব্দটির অর্থ কী?

উত্তর: 'Socius' শব্দটির অর্থ পারস্পরিক বন্ধুত্ব বা সহযোগিতা ।

আর পড়ুন: ভিডিও ক্লাস(Admission Physics)

 আর পড়ুন :Admission ICT

প্রশ্ন-৪.‘সমাজ হচ্ছে সামাজিক সম্পর্কের জাল-বিশেষ যা সবসময় পরিবর্তনশীল'— উক্তিটি কার?

উত্তর: 'সমাজ হচ্ছে সামাজিক সম্পর্কের জাল-বিশেষ যা সবসময় পরিবর্তনশীল’— উক্তিটি স্কটিশ সমাজবিজ্ঞানী ম্যাকাইভার-এর।

প্রশ্ন-৫.“আদিম সমাজ ছিল মাতৃপ্রধান”– মতটি কার?

উত্তর: “আদিম সমাজ ছিল মাতৃপ্রধান”— মতটি রাশিয়ান সমাজবিজ্ঞানী কোভালেভস্কির ।

প্রশ্ন-৬. সমাজ উৎপত্তির সবচেয়ে প্রাচীন মতবাদ কোনটি?

উত্তর: সমাজ উৎপত্তির সবচেয়ে প্রাচীন মতবাদ হলো ঐশ্বরিক মতবাদ।

প্রশ্ন-৭. কার্ল মার্কসের মতানুযায়ী সমাজব্যবস্থা কয়টি ধাপ পার হয়ে এসেছে?

উত্তর: কার্ল মার্কসের মতানুযায়ী সমাজব্যবস্থা চারটি ধাপ পার হয়ে এসেছে।

প্রশ্ন-৮.পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ এখনও কোন সমাজের অন্তর্ভুক্ত?

উত্তর: পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ এখনও কৃষি সমাজের অন্তর্ভুক্ত

প্রশ্ন-৯. সমাজ উৎপত্তি সংক্রান্ত পিতৃতান্ত্রিক ও মাতৃতান্ত্রিক মতবাদের প্রবক্তা কে?

উত্তর: সমাজ উৎপত্তি সংক্রান্ত পিতৃ ও মাতৃতান্ত্রিক মতবাদের প্রবক্তা হলেন ব্রিটিশ ইতিহাসবিদ হেনরি জেমস সামনার মেইন। বিভিন্ন সমাজের তুলনা

প্রশ্ন-১০. হার্বার্ট স্পেন্সার বসতির ভিত্তিতে সমাজকে কয় ভাগে ভাগ করেন?

উত্তর: ব্রিটিশ সমাজবিজ্ঞানী হার্বার্ট স্পেন্সার বসতির ভিত্তিতে সমাজকে তিনভাগে ভাগ করেন ।

প্রশ্ন-১১.প্রাথমিক পর্যায়ের সমাজ কী ধরনের ছিল?

উত্তর: প্রাথমিক পর্যায়ের সমাজ ছিল যুদ্ধভিত্তিক।

প্রশ্ন-১২.কোন ধরনের সমাজে ব্যক্তি স্বাধীনতা ছিল না?

উত্তর: যুদ্ধভিত্তিক সমাজে ব্যক্তি স্বাধীনতা ছিল না ।

প্রশ্ন-১৩. এমিল ডুর্খেইম কয় ধরনের সমাজের উল্লেখ করেছেন?

উত্তর: এমিল ডুর্খেইম চার ধরনের সমাজের উল্লেখ করেছেন ।

প্রশ্ন-১৪. সংস্কৃতি কী?

উত্তর: মানুষ জীবনযাপন করতে গিয়ে যা কিছু করে তাকে সংস্কৃতি বলে ।

প্রশ্ন-১৫. সংস্কৃতিকে কয় ভাগে ভাগ করা হয়?

উত্তর: সংস্কৃতিকে দুই ভাগে ভাগ করা হয় ।

প্রশ্ন-১৬. বস্তুগত সংস্কৃতি কাকে বলে?

উত্তর: মানুষ জীবনযাপনের জন্যে দৃশ্যমান যা কিছু তৈরি ও ব্যবহার করে তাই বস্তুগত সংস্কৃতি। 

প্রশ্ন-১৭. সাংস্কৃতিক ব্যবধান সৃষ্টি হয় কেন?

উত্তর: বস্তুগত ও অবস্তুগত সংস্কৃতির গতির তারতম্যের কারণে সাংস্কৃতিক ব্যবধান সৃষ্টি হয়।

প্রশ্ন-১৮. বস্তুগত সংস্কৃতির চূড়ান্ত রূপ কী?

উত্তর: বস্তুগত সংস্কৃতির চূড়ান্ত রূপ হচ্ছে সভ্যতা ।

প্রশ্ন-১৯. Civilization শব্দটি সর্বপ্রথম ব্যবহার করেন কে?

উত্তর: ফরাসি দার্শনিক ভলতেয়ার সর্বপ্রথম Civilization শব্দটি ব্যবহার করেন ।

প্রশ্ন-২০.আরনল্ড টয়েনবির মতে, সভ্যতা কী?

উত্তর: ব্রিটিশ ইতিহাসবিদ আরনল্ড টয়েনবির মতে, “সভ্যতা বলতে নীতি, ধর্মীয় ঐতিহ্য এবং আদর্শের এমন এক প্রাতিষ্ঠানিক রূপকে বোঝায়, যা এক বা একাধিক সমাজকে প্রভাবিত করে।”

প্রশ্ন-২১.সভ্যতার মূল চালিকাশক্তি কোনটি?

উত্তর: সভ্যতার মূল চালিকাশক্তি সংস্কৃতি ।

প্রশ্ন-২২. মানুষের বাহ্যিক আচরণের সাথে সম্পর্কযুক্ত কোনটি?

উত্তর: মানুষের বাহ্যিক আচরণের সাথে সম্পর্কযুক্ত সভ্যতা।

প্রশ্ন-২৩. দল কী? 

[রা. বো., ব. বো. 22]

উত্তর: পরস্পরের সাথে সামাজিক সম্পর্কের বন্ধনে আবদ্ধ ব্যক্তিবর্গের যেকোনো সমষ্টিকে দল বলে ।

 প্রশ্ন-২৪. প্রাথমিক দলের প্রধান বৈশিষ্ট্য লেখ।

 [ঢা. বো, রা. বো., দি. বো., চ. বো, সি. বো., য. বো. ১৯]

উত্তর: প্রাথমিক দলের সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক ঘনিষ্ঠ, নিবিড় ও মুখোমুখি সম্পর্ক বিদ্যমান থাকে ।

 প্রশ্ন-২৫. প্রাথমিক গোষ্ঠীর একটি উদাহরণ দাও ।

উত্তর: প্রাথমিক গোষ্ঠীর একটি উদাহরণ হচ্ছে পরিবার।

প্রশ্ন-২৬. সমাজবিজ্ঞানী সামনার দলকে কয় ভাগে ভাগ করেছেন?

উত্তর: আমেরিকান সমাজবিজ্ঞানী উইলিয়াম জি. সামনার দলকে দুই ভাগে ভাগ করেছেন । যথা- প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ দল । প্রশ্ন-২৭. অন্তগোষ্ঠী কী?

উত্তর: অন্তর্গোষ্ঠী হচ্ছে সেই গোষ্ঠী যাতে কোনো ব্যক্তি নিজে প্রত্যক্ষভাবে সম্পর্কযুক্ত থাকে

প্রশ্ন-২৮. সংঘ কী?

 [রা, বো, ব. বো. ২২, ঢা বো., দি. বো, সি. বো, য. বো. ১৮]

উত্তর: সংঘ হলো এমন একটি জনসমষ্টি, যারা কিছু সাধারণ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য একত্রিত হয় এবং স্বীকৃত নিয়ম- কানুন অনুসারে পরিচালিত হয়ে একে অপরকে সহযোগিতা করে ।

আর পড়ুন: ভিডিও ক্লাস(Admission Physics)

 আর পড়ুন :Admission ICT


 প্রশ্ন-২৯. সমচেতনার ভিত্তিতে স্বতঃস্ফূতভাবে কিভাবে  সম্প্রদায় গড়ে ওঠে? 

 উত্তর: সমচেতনার ভিত্তিতে স্বতঃস্ফূতভাবে সম্প্রদায় গড়ে ওঠে।

 প্রশ্ন-৩০. সংঘ গঠনের জন্য কোনটির অস্তিত্ব অপরিহার্য?

উত্তর: সংঘ গঠনের জন্য জনগোষ্ঠীর অস্তিত্ব অপরিহার্য ।

প্রশ্ন-৩১. সম্প্রদায় কী?

উত্তর: সম্প্রদায় হলো নির্দিষ্ট ভৌগোলিক এলাকায় বসবাসকারী মানবগোষ্ঠী, যারা পারস্পরিক নির্ভরশীলতার মধ্য দিয়ে ।সমজাতীয় জীবনযাপন করে ।

প্রশ্ন-৩২.সম্প্রদায়ের মৌলিক ভিত্তি কী?

উত্তর: সম্প্রদায়ের মৌলিক ভিত্তি হলো এলাকা ও সম্প্রদায়গত মানসিকতা ।

প্রশ্ন-৩৩. মানুষ জন্মসূত্রে কীসের সদস্য হয়?

 উত্তর: মানুষ জন্মসূত্রে সম্প্রদায়ের সদস্য হয়।

প্রশ্ন-৩৪.ম্যাকাইভারের মতে সম্প্রদায়ের ভিত্তি কয়টি? 

[ঢা. বো.. দি. বো, কু, বো, চ. বো, সি. বো., য. বো. ১৭]

উত্তর: ম্যাকাইভারের মতে সম্প্রদায়ের ভিত্তি দুইটি ।

প্রশ্ন-৩৫. সম্প্রদায়ের লক্ষ্য কী?

উত্তর: সম্প্রদায়ের লক্ষ্য হচ্ছে, পূর্ণাঙ্গ মানবজীবনের চাহিদাপূরণ ও মানবকল্যাণ সাধন ।

প্রশ্ন-৩৬. সম্প্রদায়ের পূর্ববর্তী ধাপ কোনটি?

উত্তর: সম্প্রদায়ের পূর্ববর্তী ধাপ সমাজ ।

প্রশ্ন-৩৭. প্রতিষ্ঠান কী?

উত্তর: ব্যক্তির আচরণের প্রতিষ্ঠিত রূপই প্রতিষ্ঠান ।

প্রশ্ন-৩৮. ‘সামাজিক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে সমাজকাঠামোর উপাদান'— উক্তিটি কার?

উত্তর: ‘সামাজিক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে সমাজকাঠামোর উপাদান'— উক্তিটি ব্রিটিশ সমাজবিজ্ঞানী বার্নসের।

প্রশ্ন-৩৯. “মানুষের চিরন্তন অভাব-অভিযোগ প্রতিষ্ঠানকে জন্ম দিয়েছে”— উক্তিটি কার?

উত্তর: “মানুষের চিরন্তন অভাব-অভিযোগ প্রতিষ্ঠানকে জন্ম দিয়েছে”— উক্তিটি আমেরিকান সামাজিক নৃবিজ্ঞানী লুইস হেনরি মর্গানের ।

প্রশ্ন-৪০. সমাজবিজ্ঞানী হার্টারলারের মতে প্রতিষ্ঠান কয় প্রকার?

উত্তর: সমাজবিজ্ঞানী হার্টারলারের মতে প্রতিষ্ঠান নয় প্রকার ।

প্রশ্ন-৪১. প্রথা কী?

 [রা, বো, কু, বো, চ, বো, ব, বো. ১৮]

উত্তর: সামাজিক আচরণের অভ্যাসলব্ধ পদ্ধতিই হচ্ছে প্রথা ।

প্রশ্ন-৪২. “প্রথা হলো আচরণের অভ্যাসগত ধরন, যা সমাজের অধিকাংশ মানুষ অনুসরণ করে”— সংজ্ঞাটি কার?

উত্তর: “প্রথা হলো আচরণের অভ্যাসগত ধরন, যা সমাজের অধিকাংশ মানুষ অনুসরণ করে”— সংজ্ঞাটি মরিস গিন্সবার্গের ।

প্রশ্ন-৪৩. ‘লোকাচার’ বা 'Folkways' শব্দটি সর্বপ্রথম ব্যবহার করেন কে?

উত্তর: আমেরিকান সমাজবিজ্ঞানী উইলিয়াম গ্রাহাম সামনার সর্বপ্রথম ‘লোকচার' বা 'Folkways' শব্দটি ব্যবহার করেন

 প্রশ্ন-৪৪. লোকাচার কী? 

[সকল বোর্ড ২২]

উত্তর: ব্যবহার এবং আচরণের স্বীকৃত এবং গৃহীত পন্থা-পদ্ধতিই হচ্ছে লোকাচার ।

প্রশ্ন-৪৫. লোকরীতি কী? 

[সকল বোর্ড ১৫]

উত্তর: লোকরীতি হচ্ছে সমাজের আদর্শ বা মানসম্মত আচরণ, যা সমাজের সদস্যদের জন্য অবশ্য পালনীয়

প্রশ্ন-৪৬. কোন ধরনের লোকরীতি সমাজজীবনের নিয়ন্ত্রক?

উত্তর: অবশ্য পালনীয় লোকরীতি সমাজজীবনের নিয়ন্ত্রক ।

প্রশ্ন-৪৭. সামাজিক সংহতির অভিভাবক কোনটি?

উত্তর: সামাজিক সংহতির অভিভাবক হচ্ছে লোকরীতি ।

প্রশ্ন-৪৮. সমাজকাঠামো কাকে বলে? 

[ঢা বো., ম. বো., দি. বো, কু. বো., চ. বো, সি. বো., য. বো. ২২]

উত্তর: সমাজের ক্রিয়াশীল শর্তসমূহকে ঘিরে সৃষ্ট প্রধান প্রধান প্রতিষ্ঠান ও গোষ্ঠীর যৌগিক সম্পর্ক এবং ভূমিকাকে সমাজকাঠামো বলে ।

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 

প্রশ্ন-১. সমাজ বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা করো।

সমাজবিজ্ঞানী পাসকুয়াল গিসবার্ট সমাজের সংজ্ঞা প্রদানে বলেন, “সমাজ হলো সামাজিক সম্পর্কের এক জটিল জাল, যার প্রণালিতে অভ্যস্ত হয়ে পারস্পরিক সহযোগিতাপূর্ণ পরিবেশে বাস করে। মুম্বাই সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের অধ্যাপক মাধ্যমে প্রত্যেক মানুষ তার সঙ্গীদের সাথে সম্পর্কযুক্ত।” সমাজের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে- সংঘবদ্ধতা, নিয়ন্ত্রিত সামাজিক জীবন, স্থায়িত্ব, নিজস্ব সংস্কৃতি, মূল্যবোধের অস্তিত্ব, সাধারণ উদ্দেশ্য ইত্যাদি।

প্রশ্ন-২. আদিম সমাজের অর্থনৈতিক অবস্থা কীরূপ ছিল? ব্যাখ্যা করো ।

উত্তর: আদিম সমাজের লোকদের অর্থনৈতিক অবস্থা ছিল অত্যন্ত সহজ-সরল ও নিম্নমানের। তারা দলবদ্ধ হয়ে বনজঙ্গল হতে ফলমূল সংগ্রহ ও পশুপাখি শিকার করত এবং নদীনালা, খালবিল হতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করত। এ সমাজের মানুষ খাদ্য উৎপাদন করতে পারত না, প্রকৃতি থেকে খাদ্য সংগ্রহ করত। তাই এ অর্থনীতিকে খাদ্য সংগ্রহ অর্থনীতি বলা হয়। এ সমাজে সম্পত্তিতে ব্যক্তিমালিকানা ছিল না, ছিল সামাজিক মালিকানা। আর এজন্য এ সমাজ ছিল শ্রেণিহীন। এ সমাজে খাদ্য ছিল অপ্রতুল। এ সময় কোনো বাড়তি খাবার জমা রাখার চিন্তাই করা হতো না। শিকারে যা পাওয়া যেত সবাই মিলে একসঙ্গে ভূরিভোজন করত, নয়তো সবাই একসঙ্গে উপোস করে থাকত। আদিম সমাজে প্রাকৃতিক শ্রমবিভাগ দেখা যায়। টাকাপয়সা, লেনদেন, হাটবাজার বলতে কিছুই ছিল না। তবে তাদের মধ্যে বিনিময় প্রথা বিদ্যমান ছিল

প্রশ্ন-৩. সমাজ উৎপত্তি বিষয়ে সর্বপ্রাচীন মতবাদটি ব্যাখ্যা করো ।

উত্তর: সমাজ উৎপত্তি বিষয়ে সর্বপ্রাচীন মতবাদ হচ্ছে ঐশ্বরিক মতবাদ। ঐশ্বরিক মতবাদ অনুসারে সমাজ হলো ঈশ্বরের সৃষ্টি। বিশ্বের যাবতীয় প্রাণী, প্রাণহীন বস্তু যা কিছু আছে সবকিছু একমাত্র ঈশ্বরই সৃষ্টি করেছেন। অর্থাৎ, বিশ্বের যাবতীয় বস্তুর মতো সমাজও ঈশ্বর সৃষ্টি করেছেন । কালক্রমে বিভিন্ন ধ্যানধারণা, চিন্তাচেতনায় বিকাশের ফলে এ মতবাদ অযৌক্তিক বলে প্রমাণিত হয় । ঐশ্বরিক মতবাদ যুক্তির বিচারে নিজের অস্তিত্ব ধরে রাখতে সক্ষম হয়নি।

প্রশ্ন-৪. সমাজ উৎপত্তি বিষয়ক বলপ্রয়োগ মতবাদটি ব্যাখ্যা করো ।

উত্তর: সমাজ উৎপত্তির একাধিক মতবাদের মধ্যে বলপ্রয়োগ মতবাদ অন্যতম। সমাজ উৎপত্তির বলপ্রয়োগ মতবাদ অনুসারে শক্তি বা বলপ্রয়োগই হলো সমাজ সৃষ্টির অন্যতম কারণ। আদিম সমাজ ব্যবস্থায় বলবান ব্যক্তি বলপ্রয়োগের মাধ্যমে অন্যদের ওপর আধিপত্য বিস্তার করত। এ শক্তিমান ব্যক্তির অধীনে সমাজের অন্যরা সংগঠিত হয়ে বসবাস করতে বাধ্য হতো। ফলে বলবান ব্যক্তির বলপ্রয়োগের ফলে সৃষ্টি হয়েছে সমাজ। তাই বলপ্রয়োগকেই সমাজ সৃষ্টির একমাত্র কারণ হিসেবে বিশ্বাস করা হয়। কিন্তু কালক্রমে এ মতবাদটি সমাজের উৎপত্তির ব্যাখ্যা হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা ধরে রাখতে পারেনি।

প্রশ্ন-৫. সভ্যতা বলতে কী বোঝ? 

[কু. বো., ব. বো. ১৯]

উত্তর: সভ্যতা বলতে মানব সংস্কৃতির একটি উন্নত পর্যায়কে বোঝায় যা নগর জীবনের উদ্ভবের সাথে সাথে উন্মেষ হয়েছে এবং যে পর্যায়ে রাষ্ট্রব্যবস্থার উদ্ভব হয়েছে। সাধারণ অর্থে সভ্যতা বলতে বস্তুগত বিষয় বা বাহ্যিক অবস্থাকে বোঝায়। সভ্যতার অন্তর্ভুক্ত হলো যাবতীয় পার্থিব ও শিল্প সম্পর্কিত ব্যবস্থাদি বা কলাকৌশল এবং মানবজীবনকে প্রভাবিত করে এমন যাবতীয় অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন ।

প্রশ্ন-৬. সংস্কৃতি বলতে কী বোঝ?

উত্তর: সংস্কৃতি বলতে মানুষের সার্বিক জীবনপ্রণালিকে বোঝায়। সাধারণ অর্থে সংস্কৃতি বলতে ভাষা, সাহিত্য, সংগীত, শিল্পকলা প্রভৃতি চর্চাকেই বোঝায়। কিন্তু সংস্কৃতির সমাজতাত্ত্বিক ব্যাখ্যা এ থেকে ভিন্ন। সমাজতাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে শিশষ যা কিছু করে তাই সংস্কৃতি। সংস্কৃতির সংজ্ঞা প্রদান করতে গিয়ে ইংরেজ নৃবিজ্ঞানী ই. বি. টেইলর বলেন, হচ্ছে সেই জটিল ব্যবস্থা যার অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে সমাজবাসীর জ্ঞান, বিজ্ঞান, ধর্ম, ধ্যান-ধারণা, বিশ্বাস, শিল্প “সংস্কৃতি আইন, নীতিকথা, আচার-ব্যবহার, অভ্যাস, মূল্যবোধ প্রভৃতি; এগুলো সমাজবাসী সমাজের সদস্য হিসেবে অর্জন করে থাকে ।”

প্রশ্ন-৭. অবস্তুগত সংস্কৃতি বলতে কী বোঝ?

 [রা. বো., ব. বো. ২২; ঢা বো., দি. বো, কু. বো., চ, বো, সি. বো, য. বো. ১৭]

 উত্তর: সংস্কৃতির যে উপাদান ধরাছোঁয়ার বাইরে, বাহ্যিক অস্তিত্বহীন এবং পরিমাপযোগ্য নয় তাকে অবস্তুগত সংস্কৃতি বলে। অবস্তুগত সংস্কৃতির উপস্থিতি ও এর প্রভাব ব্যক্তিজীবনে ব্যাপক। মানুষের ধ্যানধারণা, চিন্তাভাবনা, চলন-বলন, কথন, রীতিনীতি, মূল্যবোধ, আবেগ, উচ্ছ্বাস ইত্যাদি অবস্তুগত সংস্কৃতিকে নির্দেশ করে। অবস্তুগত সংস্কৃতির উদাহরণ হলো— ভাষা, সাহিত্য, বিজ্ঞান, আইন, ধর্ম ইত্যাদি ।

প্রশ্ন-৮. “সংস্কৃতি ও সভ্যতা একটি অপরটির পরিপূরক”— ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: সম্পর্কের দিক থেকে সংস্কৃতি ও সভ্যতা একটি অপরটির পরিপূরক। সংস্কৃতি ও সভ্যতা মূলত মানুষের সৃষ্টি এবং এই সৃষ্টির দুটো দিক রয়েছে। যথা— বাহ্যিক ও অন্তর্নিহিত দিক যা সভ্যতা ও সংস্কৃতি নামে অভিহিত এবং তাদের একটিকে অন্যটি থেকে আলাদা করা যায় না। সভ্যতার বিকাশের সাথে সাথে সংস্কৃতির যেমন উন্নতি সাধিত হয়, ঠিক তেমনি সভ্যতার অবদানকে উপেক্ষা করে সংস্কৃতি নিজেকে বিকশিত করে না। আর এ জন্যই বলা হয়, সংস্কৃতি ও সভ্যতা একে অপরের পরিপূরক।

প্রশ্ন-৯. প্রতিষ্ঠান বলতে কী বোঝ?

 [কু, বো, ব, বো, ১৯]

উত্তর: প্রতিষ্ঠান হচ্ছে সামাজিক জীবের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত ও স্বীকৃত সম্পর্কের ধরন। আমেরিকান সামাজিক নৃবিজ্ঞানী লুইস হেনরি মর্গানের মতে, “মানুষের চিরন্তন অভাব অভিযোগ প্রতিষ্ঠানকে জন্ম দিয়েছে।” সমাজবিজ্ঞানী পি. গিসবার্ট প্রতিষ্ঠানের সংজ্ঞা প্রদানে বলেন, “প্রতিষ্ঠান হলো কতকগুলো সুপ্রতিষ্ঠিত বিধিব্যবস্থা, যা ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর সম্পর্কের ক্ষেত্রে নিয়ামক হিসেবে কাজ করে।” সমাজবিজ্ঞানী হার্টারলার-এর মতে, প্রতিষ্ঠান মূলত নয় প্রকার। যথা- ১. অর্থনৈতিক ও শিল্প প্রতিষ্ঠান; ২. বৈবাহিক ও গৃহস্থালি প্রতিষ্ঠান; ৩. রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান; ৪. নৈতিক প্রতিষ্ঠান; ৫. শিক্ষামূলক ও বৈজ্ঞানিক প্রতিষ্ঠান; ৬. যোগাযোগকারী প্রতিষ্ঠান; ৭. নান্দনিক ও অভিব্যক্তিমূলক প্রতিষ্ঠান; ৮. স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রতিষ্ঠান; ৯. অবসর বিনোদনমূলক প্রতিষ্ঠান ।

প্রশ্ন-১০. সম্প্রদায় বলতে কী বোঝায়? 

[কু. বো., ব. বো. ১৯]

উত্তর: নির্দিষ্ট একটি অঞ্চলে একটি জনগোষ্ঠীর সুসংহত জীবনযাপনকে সম্প্রদায় হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। যখন কোনো ক্ষুদ্র বা বৃহৎ জনগোষ্ঠী তাদের জীবনের মৌল এবং সাধারণ স্বার্থগুলো একই সাথে ভোগ করে একই আচার-আচরণ, প্রথা-প্রতিষ্ঠান ও জীবনযাত্রা প্রণালিতে অভ্যস্ত থাকে এবং একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক এলাকায় বসবাস করে তখন ঐ জনগোষ্ঠীকে আমরা সম্প্রদায় বলতে পারি। যেমন— জেলে সম্প্রদায়, তাঁতি সম্প্রদায়, দলিত সম্প্রদায় ইত্যাদি।

প্রশ্ন-১১. সম্প্রদায়ের ভিত্তিসমূহ ব্যাখ্যা করো ।

উত্তর: সম্প্রদায়ের দুটি মৌলিক ভিত্তি রয়েছে। যথা— বসবাসের অঞ্চল ও সম্প্রদায়গত চেতনা। সম্প্রদায় সাধারণত একটি এলাকা নিয়ে গঠিত হয় । আধুনিককালে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির ফলে সম্প্রদায়কে বিশেষ কোনো এলাকায় সীমাবদ্ধ না রাখলেও বলা যায় যতটুকু নিয়ে তার যোগাযোগ ততটুকু নিয়েই তার সম্প্রদায় এলাকা। সমাজবিজ্ঞানী ম্যাকাইভার বলেন, সম্প্রদায়গত মানসিকতা তথা একই সঙ্গে বসবাস করার প্রবণতা না থাকলে তা সম্প্রদায় হতে পারে না।

প্রশ্ন-১২. মুখ্য দল ও গৌণ দলের পার্থক্য বুঝিয়ে লেখো।

উত্তর: গঠনগত ও কার্যক্রমের দিক থেকে মুখ্য দল ও গৌণ দলের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। যে দলের সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক ঘনিষ্ঠ, নিবিড় ও মুখোমুখি সম্পর্ক বিদ্যমান তাকে মুখ্য দল বলে। পক্ষান্তরে যে দলের সদস্যদের মধ্যে। নিয়মানুগ, প্রাতিষ্ঠানিক ও নৈর্ব্যক্তিক সম্পর্ক বিরাজ করে তাকে গৌন দল বলে। প্রাথমিক দলের সদস্যদের মাঝে

‘আমরা ভাব’ বিদ্যমান থাকে। কিন্তু গৌণ দলে এরূপ মনোভাব থাকে না। প্রাথমিক বা মুখ্য দলের গণ্ডি বেশ পক্ষান্তরে গৌণ দলের গণ্ডি অনেক বৃহৎ এবং এর উদ্দেশ্য ও কর্মক্ষেত্র সম্প্রসারিত।

প্রশ্ন-১৩. গৌণ দল বলতে কী বোঝায়?

উত্তর: যে দলের সদস্যদের মধ্যে অনেকটা আনুষ্ঠানিক নীতিমালার দ্বারা সামাজিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাকে গৌণ সঙ্গ বলে। এ দলের গণ্ডি বেশ বৃহৎ এবং এর উদ্দেশ্য ও কর্মক্ষেত্র সম্প্রসারিত। এ দল প্রাথমিক দলের মতো স্বতঃস্ফূর্তভাবে। গড়ে ওঠে না। কিছু উদ্দেশ্য নিয়ে গৌণ দলের সদস্যরা একত্রিত হয়। গৌণ বা মাধ্যমিক দলের সদস্যদের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ ও আন্তরিক হয় না। গৌণ গোষ্ঠীর সদস্যদের মধ্যে পরোক্ষ এবং ব্যক্তি নিরপেক্ষ সম্পর্ক বিরাজ করে । প্রশ্ন-১৪. সংঘ বলতে কী বোঝ? ব্যাখ্যা করো। /ঢা বো., দি. বো., কু. বো., চ. বো., সি. বো., য. বো. ’১৭/ উত্তর: সমাজের সদস্যবৃন্দ স্বেচ্ছায় একত্রিত হয়ে সমষ্টিগত উদ্দেশ্য সাধনের জন্য সম্মিলিত প্রয়াস চালালে তাকে সংঘ বলে। সংঘ প্রসঙ্গে ম্যাকাইভার ও পেজ, মরিস জিন্সবার্গ, জিসবার্ট প্রমুখ সমাজবিজ্ঞানী প্রামাণ্য সংজ্ঞা প্রদান করেছেন। এসব সংজ্ঞা বিশ্লেষণ করলে বলা যায় যে, সংঘ হচ্ছে গুপ্ত বা বৃহৎ এমনটি মানব সংগঠন, যা সুনির্দিষ্ট এবং অভিন্ন লক্ষ্য বা সুবিধা অর্জনের জন্য একত্রিত হয়। আবার লক্ষ্য অর্জনের পর তারা সংগঠিত থাকতেও পারে কিংবা নাও থাকতে পারে।

 প্রশ্ন-১৫. লোকরীতি বলতে কী বোঝায়? উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করো ?

উত্তর: লোকরীতি হচ্ছে সমাজের আদর্শ বা মানসম্পন্ন আচরণ যা সমাজের সদস্যদের জন্য অবশ্য পালনীয় । অর্থাৎ- যে সমস্ত লোকরীতি সমাজের কল্যাণের জন্য প্রয়োজন এবং যেগুলো পালিত না হলে সমাজের অস্তিত্ব বিপন্ন হতে পারে সে সমস্ত রীতিনীতিকে অবশ্য পালনীয় লোকরীতি বলে। লোকরীতি অপেক্ষাকৃত স্থায়ী প্রকৃতির ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রক। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, জামা-কাপড় পরে সমাজে চলাফেরা করাটা লোকরীতি

প্রশ্ন-১৬. প্রথা বলতে কী বোঝায়?

উত্তর: প্রথা হচ্ছে সামাজিক জীবন অতিবাহিত করার কতগুলো অনুশাসন যা অতিমাত্রায় ক্রিয়াশীল ও ব্যক্তির আচার- ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করে। সমাজের প্রত্যেক ব্যক্তিকেই কতকগুলো প্রতিষ্ঠিত প্রচলিত নিয়মানুযায়ী আচার-আচরণ পালন করতে হয় । প্রথা হলো একটি ব্যাপক প্রত্যয়, যা সমস্ত আদর্শ, লোকাচার ও লোকরীতির সমন্বয় । অর্থাৎ সামাজিক প্রথা হলো চিন্তা ও সামাজিক আচরণ প্রকাশের প্রতিষ্ঠিত প্রণালি ।

প্রশ্ন-১৭. “প্রথা মূলত সামাজিক”– বুঝিয়ে লেখো। 

[ঢা বো., রা. বো., দি. বো., চ. বো, সি. বো., য. বো. ১৯]

উত্তর: প্রথা উদ্ভবের মূল উপাদান সমাজ থেকে সৃষ্ট বলে একে অধিকাংশ সমাজবিজ্ঞানী সামাজিক প্রত্যয় হিসেবে চিহ্নিত করেছেন ।

সব সমাজেই মানুষের আচার-আচরণের কতগুলো সুনির্দিষ্ট ধারা বা রীতি লক্ষ করা যায়। এগুলোকে প্রথা বলা হয়। সমাজবদ্ধভাবে বসবাসকারী মানুষমাত্রই সমাজে প্রচলিত বা প্রতিষ্ঠিত এসব রীতিকে অনুসরণ করে । সমাজকে সুশৃঙ্খল রাখার জন্য এবং মানুষের মৌলিক প্রয়োজন পূরণ করার তাগিদে এসব রীতিনীতি বা প্রথার উদ্ভব হয়েছে। কার্যত সমাজবদ্ধ মানুষের অভ্যাসগত কার্যধারাই কালক্রমে সামাজিক প্রথায় পরিণত হয়েছে। সুতরাং বোঝা গেল যে, প্রথার

উদ্ভব এবং প্রয়োগ পুরোটাই সমাজের প্রয়োজনে । এ কারণেই বলা হয়, ‘প্ৰথা মূলত সামাজিক’।

আর পড়ুন: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় : ২০২১-২০২২শর্টকাট টেকনিক সহ সমাধান(Part-14)

আর পড়ুন: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় : ২০২১-২০২২শর্টকাট টেকনিক সহ সমাধান(Part-15)

আর পড়ুন: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় : ২০২১-২০২২শর্টকাট টেকনিক সহ সমাধান(Part-16)

আর পড়ুন: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় : ২০২১-২০২২শর্টকাট টেকনিক সহ সমাধান(Part-17)

আর পড়ুন: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় : ২০২১-২০২২শর্টকাট টেকনিক সহ সমাধান(Part-18)

প্রশ্ন-১৮., সমাজকাঠামো বলতে কী বোঝায়?

উত্তর: সমাজকাঠামো বলতে সমাজের ক্রিয়াশীল শর্তসমূহকে ঘিরে সৃষ্ট প্রধান প্রধান প্রতিষ্ঠান ও গোষ্ঠীর যৌগিক সম্পর্ক ও ভূমিকাকে বোঝায় । প্রত্যেক সমাজেরই একটি সাংগঠনিক আকৃতি বা ধরন থাকে। এই সাংগঠনিক ধরনটি সৃষ্টি হয় সমাজস্থ ব্যক্তিবর্গের পারস্পরিক সংযোজন ও সহযোগিতা সূত্রে সৃষ্ট বিভিন্ন কাঠামোকে নিয়ে । অর্থাৎ সমাজস্থ ব্যক্তিবর্গ পরস্পরের সান্নিধ্যে এসে যে সাংগঠনিক রূপ গড়ে তোলে তাকেই সমাজকাঠামো বলে ।

প্রশ্ন-১৯. “সামাজিক স্তরবিন্যাস সর্বজনীন” – ব্যাখ্যা করো।

[রা. বো, কু, বো. চ. বো, ব. বো. ১৮, সকল বোর্ড ১৫]

 উত্তর: অমার্কসীয় সমাজবিজ্ঞানীরা মনে করেন, শ্রেণিহীন সমাজ কল্পনামাত্র। অর্থাৎ সামাজিক স্তরবিন্যাস হলো চিরন্তন ও সর্বজনীন। মানবসভ্যতার ইতিহাসে এমন কোনো সমাজ-ব্যবস্থার পরিচয় পাওয়া যায় না, যা পরিপূর্ণভাবে সাম্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত ছিল। সমাজজীবনের সূচনা থেকেই সামাজিক স্তরবিন্যাসের উদ্ভব ঘটেছে এবং কখনো অবলুপ্ত হয়নি। স্তরবিন্যাসকে বাস্তবে কখনো এড়িয়ে যাওয়া যায় না। কালের বিবর্তনের ধারায় সামাজিক স্তরবিন্যাসের আকৃতি- প্রকৃতিতে পরিবর্তন ঘটেছে কিন্তু স্তরবিন্যাস কখনো বিলুপ্ত হয়নি ।

প্রশ্ন-২০. সামাজিক গতিশীলতার ধরনগুলো ব্যাখ্যা করো ।

উত্তর: সামাজিক গতিশীলতাকে দুভাগে বিভক্ত করা হয়। যথা— আনুভূমিক ও উল্লম্বী। সাধারণত এক সামাজিক পরিমণ্ডল থেকে অন্য সামাজিক পরিমণ্ডলে একই সামাজিক স্তরে ব্যক্তির স্থায়ী গমনকে আনুভূমিক গতিশীলতা বলে । আর উল্লম্বী গতিশীলতা হচ্ছে শ্রেণিবিন্যাসের উঁচু অথবা নিচু অবস্থানে গমন করা। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, কোনোরূপ বেতন কিংবা পদমর্যাদার পরিবর্তন ছাড়াই এক প্রতিষ্ঠানের চাকরি ছেড়ে অন্য প্রতিষ্ঠানের চাকরি গ্রহণ হচ্ছে আনুভূমিক গতিশীলতা। অন্যদিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা ছেড়ে কলেজের প্রভাষকের চাকরি গ্রহণ হচ্ছে উল্লম্বী গতিশীলতা ।

প্রশ্ন-২১. সামাজিক গতিশীলতা বৃদ্ধিতে নগরায়ণের প্রভাব ব্যাখ্যা করো ।

উত্তর: নগরায়ণ হলো একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে নগরের সৃষ্টি ও বিকাশ ঘটে। নগরায়ণের ফলে মানুষ ক্রমাগত গ্রাম থেকে নগরের দিকে ধাবিত হয়। মানুষের মনে নগর মানসিকতা গড়ে ওঠে। নগরে বসবাসকারী মানুষের জীবনপ্রণালি গ্রামীণ জীবনপ্রণালি থেকে ভিন্নতর । নগর মানসিকতা নগরবাসীর কাজকর্মে, আচরণ-চিন্তায়, এক কথায় মূল্যবোধে পরিবর্তন ঘটায় বিভিন্ন পেশার সুযোগ থাকায় নগরবাসীর আর্থসামাজিক তথা মর্যাদাগত পরিবর্তন দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এভাবে সামাজিক গতিশীলতা বাড়ে।

প্রশ্ন-২২. উচ্চস্তরের কাজ সম্পাদনের সামর্থ্যের অভাব সামাজিক গতিশীলতা সৃষ্টি করে কেন?

উত্তর: উচ্চস্তরে কাজ সম্পাদনের সামর্থ্যের অভাবে একটি নির্দিষ্ট সামাজিক শ্রেণিতে সবসময় অবস্থান করা যায় না বলে সামাজিক গতিশীলতা সৃষ্টি হয়। অনেক সময় দেখা যায়, উচ্চস্তরের অন্তর্ভুক্ত ব্যক্তিবর্গের মধ্যে অনেকে নানা কারণে সংশ্লিষ্ট স্তরের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কাজকর্ম সম্পাদন করতে সক্ষম বা সফল হয় না। এ রকম পরিস্থিতিতে তাদের সামাজিক মান- মর্যাদার হানি ঘটে এবং তারা সামাজিক গতিশীলতার নিম্নস্তরে নেমে আসে ।

প্রশ্ন-২৩. সামাজিক নিয়ন্ত্রণ বলতে কী বোঝায়?

 [রা. বো., ব. বো. ২২; ঢা বো., ম. বো., রা. বো, দি. বো., কু. বো., ব. বো. ২১] 

উত্তর: সামাজিক নিয়ন্ত্রণ বলতে ব্যক্তির আচরণ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সামাজিক নিয়ম প্রতিষ্ঠাকে বোঝায়। বস্তুত সামাজিক নিয়ন্ত্রণ বলতে সমাজ কর্তৃক গৃহীত এমন সব পন্থা, ব্যবস্থা বা প্রক্রিয়াকে বোঝায় যার সাহায্যে ব্যক্তির কাজকর্ম, তার চলন-বলন-কথন-ব্যবহার ইত্যাদি সমাজ কর্তৃক কাঙ্খিত ধারায় পরিচালিত করা যায়। যেমন— দুষ্টের দমন, শিষ্টের পালন। সুতরাং বলা যায়, সমাজের সদস্যবৃন্দ সমাজ স্বীকৃত পন্থায় কাঙ্খিত আচরণ করবে এমন নিশ্চয়তা প্রদানকারী ব্যবস্থা এবং প্রক্রিয়াই হচ্ছে সামাজিক নিয়ন্ত্রণ।

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর

১. কোন প্রত্যয়টি মানুষকে সামাজিক জীব হিসেবে মর্যাদা দান করে?

ক. সম্প্রদায়

 খ. সমাজ

গ. সংস্কৃতি

ঘ. সভ্যতা

উ:খ

২.“সমাজ ক্রমান্বয়ে অসামঞ্জস্য থেকে সামঞ্জস্যতায় এবং জটিলতা থেকে শৃঙ্খলতায় চলে এসেছে”– কার উক্তি?

ক. সরোকিনের

খ. স্পেন্সারের

গ. মার্কসের

 ঘ. প্যারেটোর

উ:খ

৩. সামাজিক গতিশীলতা প্রধানত কয় ধরনের হয়ে থাকে?

ক. পাঁচ

খ. চার

গ. তিন

ঘ. দুই

উ:ঘ

৪. মার্কসের মতানুযায়ী সমাজব্যবস্থা কয়টি ধাপ পার হয়ে এসেছে?

ক. দুইটি

 খ তিনটি

গ. চারটি

 ঘ. পাঁচটি

উ:ঘ

৫. আদিম সাম্যবাদী সমাজে কীসের ভিত্তিতে শ্রম বিভাজন ছিল?

ক. আয়ের ভিত্তিতে

খ.লিঙ্গ ও বয়সের ভিত্তিতে

গ. ধর্মের ভিত্তিতে

ঘ.সম্পদ ও শক্তির ভিত্তিতে

উ:খ

৬. কোনটি বিকাশের সাথে সাথে সভ্যতার বিকাশ ঘটে?

ক. নগর

 খ. রাষ্ট্র

গ. শিল্প

ঘ. সমাজ

উ:ক

৭.“সভ্যতা বলতে আমরা এমন একটি সাংস্কৃতিক জটিল রূপকে বুঝি যা কয়েকটি সুনির্দিষ্ট সমাজের প্রধান সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যসমূহের দ্বারা গঠিত” – সংজ্ঞাটি কার?

ক. বটোমারের

খ. পেজের

গ. সরোকিনের

ঘ.প্যারেটোর

উ:খ

৮. চিরস্থায়ী দল কোনটি?

ক. রাষ্ট্র

খ.রাজনৈতিক দল

গ. শিক্ষকবৃন্দ

ঘ.ত্রাণ কমিটি

উ:ক

৯. সংঘের মূল চালিকাশক্তি কী?

ক. রীতিনীতি

খ. আদর্শ

 গ. মূল্যবোধ

ঘ. গঠনতন্ত্ৰ

উ:ঘ

১০. রাফি, সেতু ও অর্ণবের রীতি-নীতি, ধর্ম, ভাষা একরকম এবং তারা একই এলাকায় বসবাস করে। তাদের মধ্যে কোনটি প্রকাশ পেয়েছে।

ক. দল 

খ. সম্প্রদায়

গ.প্ৰতিষ্ঠান

ঘ. সংঘ

উ:খ

১১. “অনুষ্ঠান বা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে সামাজিক কার্যপ্রণালির প্রতিষ্ঠিত প্রথা-প্রক্রিয়া বা নিয়মাবলি”— উক্তিটি কার?

ক. বার্নস

খ. জিসবার্ট

গ. এলউড

ঘ. ম্যাকাইভার

উ:ঘ

১২. প্ৰথা কী?

ক. সামাজিক মূল্যবোধের স্বীকৃতি

খ. চিন্তা ও সামাজিক আচরণ প্রকাশের প্রণালি

গ. মানুষের অভ্যাস

ঘ.লোকরীতির সমাজ স্বীকৃত রূপ

উ:খ

১৩. “সমাজকাঠামো হলো সমাজকে রূপায়ণ করে এমন প্রধান প্রধান সামাজিক গোষ্ঠী ও অনুষ্ঠান প্রতিষ্ঠানের যৌগিক। সমন্বয়”— মতটি কার?

ক. কার্ল মার্কসের

 খ. গিন্সবার্গের

গ. ব্রাউনের

ঘ. জিসবার্টের

উ:খ

১৪. পৃথিবীর সঙ্গে সূর্যের সম্পর্ক সামাজিক সম্পর্ক নয় কেন?

 ক. সূর্য মানুষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে

খ.সূর্য মানুষের তৈরি নয়

গ.পৃথিবীকে মানুষ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না

ঘ. একটি অন্যটির অস্তিত্ব

উ:ক

১৫. ট্যাবু বলতে কোনটিকে বোঝায়?

ক. কোনো কিছুর ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা

 খ. কোনো কিছুর ওপর নিষেধ আরোপ করা

 গ. কোনো কিছুর ওপর শর্ত আরোপ করা

 ঘ. কোনো কিছুর ওপর কর আরোপ করা 

উ:খ

১৬. সামাজিক নিয়ন্ত্রণের কোন বাহন শুধু অপকর্মকে নিরুৎসাহিতই করে না অপকর্মের চিন্তা ও বাসনাকেও অবদমিত করে ?

ক. জনমত

 খ.গণমাধ্যম

গ. ধর্ম

ঘ. আইন

উ:গ

বহুপদী সমাপ্তিসূচক প্রশ্ন

১৭. সাধারণত যেসব বৈশিষ্ট্য থাকলে যেকোনো জনসমষ্টিকে সমাজ বলা হয় তা হলো—

 i.বহু লোকের সংঘবদ্ধ বসবাস

ii. সংঘবদ্ধতার পেছনে কোনো উদ্দেশ্য

 iii. সংঘবদ্ধ মানুষের প্রতিযোগিতা

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

 খ. i ও iii

গ. ii ও iii

ঘ. i, ii ও iii

উ:ক

১৮. সমাজহীন মানুষের অস্তিত্ব কল্পনাতীত। কারণ—

. i.মানুষের জন্ম ও বৃদ্ধিলাভ সমাজেই

ii. সমাজের মধ্যে মানুষের মৃত্যু হয় না

 iii. সমাজেই মানুষের জীবন শুরু এবং শেষ

 নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

খ.i ও iii

গ. ii ও iii

ঘ.i, ii ও iii

উ;খ

 ১৯. সামাজিক প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে — 

. i .সামাজিক লোকরীতির ওপর ভিত্তি করে

ii.কোনো গোষ্ঠীর ওপর ভিত্তি করে

iii. লোকাচারের ওপর ভিত্তি করে

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii 

খ. ii ও iii

গ. i ও iii

ঘ. i, ii ও iii 

উ:গ

অভিন্ন তথ্যভিত্তিক প্রশ্ন

নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং ২০ ও ২১ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও: সালমা একটি তৈরি পোশাক কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করে । এক সময় সে বুঝতে পারে, কাজের তুলনায় তার মজুরী কম। তখন সে তার অন্যান্য সহকর্মীদের নিয়ে অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে একটি সংগঠন তৈরি করে।

২০. উদ্দীপকে বর্ণিত কোন সমাজের বৈশিষ্ট্য প্রকটভাবে ফুটে উঠে?

ক. শিল্প সমাজ

 খ. পুঁজিবাদী সমাজ

গ. আধুনিক সমাজ

ঘ.সমাজতান্ত্রিক সমাজ

উ:খ

২১. সালমার সাংগঠনিক কার্যক্রমের ফলে ঘটতে পারে—

i.সর্বহারার একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা

iii. বিচ্ছিন্নতাবোধের অবসান

ii.উদ্বৃত্ত মূল্য আত্মসাৎ

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

খ.i ও iii

গ. ii ও iii

ঘ.i, ii ও iii

উ:খ

বোর্ড পরীক্ষার বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর

২২.“সমাজ অর্থ সহযোগিতা” – উক্তিটি কার? 

[সকল বোর্ড 22]

 ক. ডেভিড পোপেনোর 

খ. ম্যাকাইভারের

গ. শেফারের

ঘ. গিন্সবার্গের

উ:খ

২৩. যখন একাধিক ব্যাক্তি একই উদ্দেশ্য সাধনের জন্য সংঘবদ্ধ হয়ে বসবাস করে তখন তাকে কী বলে? 

[সকল বোর্ড ১৮]

ক. সংঘ 

খ. সমাজ

গ. সম্প্রদায়

ঘ. গোষ্ঠী বা দল

উ:খ

২৪. সমাজবিজ্ঞানের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে –

 [সকল বোর্ড ১৬]

ক. মানুষ

খ. সমাজ

 গ. সম্প্রদায়

ঘ. সমাজ

উ:ঘ

২৫. হেরি মর্গানের মতে সমাজ বিবর্তনের স্তর কয়টি?

[সকল বোর্ড ২১]

ক ৩

খ. 8.

গ. ৫

ঘ. ৬

উ:ক


২৬. 'আমরা যা তাই হলো সংস্কৃতি'- উক্তিটি কার?

ক. ম্যাকাই

খ. ডুর্খেইম

গ. পিডিংস

ঘ. হৰহাউস

উ:ক

২৭. সংস্কৃতি কত প্রকার? 

[সকল বোর্ড ১৯]

ক. ২

খ. 8

গ. ৬

ঘ. ৮

উ:ক

২৮. অবস্তুগত সংস্কৃতির উদাহরণ কোনটি? 

[সকল বোর্ড ১৭]

ক. নকশীকাঁথা

 খ. একতারা

গ. শেষের কবিতা বই

ঘ. রবীন্দ্র সংগীত

উ:ঘ

২৯. নিচের কোনটি প্রাথমিক দল?

 [সকল বোর্ড ২২]

ক. রাষ্ট্র 

খ. বিশ্ববিদ্যালয়

গ, ক্লাব

 ঘ. পরিবার

উ:ঘ

৩০. করিম ও তার বেকার কয়েক বন্ধু দুই লক্ষ টাকা জমিয়ে একটি মুরগির খামার করে স্বাকোন প্রত্যয়ের সাথে বলম্বী হলো। করিমের কার্যক্রম সমাজবিজ্ঞানের  সম্পর্কিত?

 [সকল বোর্ড ১৬]

ক. সমাজ

খ. প্রতিষ্ঠান

গ. সংঘ

ঘ. দল

উ:গ

৩১. সংঘ গড়ে ওঠে-

[ সকল বোর্ড ২১]

ক.মানুষের ইচ্ছার মাধ্যমে

খ.জন্মের পূর্বে

গ.মানুষের অনিচ্ছার মাধ্যমে

ঘ. আত্মীয়দের মাধ্যমে

উ:ক

৩২. সম্প্রদায়ের বৈশিষ্ট্য কয়টি?

 [সকল বোর্ড ১৮; ১৬]

ক. দুইটি

 খ. তিনটি

গ. চারটি

ঘ. পাঁচটি

উ:ক

৩৩.একই এলাকা ও সম মানসিকতাসম্পন্ন মানুষ নিয়ে গঠিত হয় কোনটি? 

[সকল বোর্ড ১৭]

ক. সমাজ

 খ. সম্প্রদায়

গ. সংঘ

ঘ. গোষ্ঠী

উ:খ

৩৪. Mores শব্দের অর্থ কী? 

[সকল বোর্ড ১৮,১৫]

ক. প্ৰথা

খ. আদর্শ যার শক্তিশালী নৈতিক তাৎপর্য রয়েছে

গ. লোকাচার

ঘ. আদর্শ

উ:খ

৩৭. বই কোন ধরনের সংস্কৃতি?

 [সকল বোর্ড ২২]

ক. বস্তুগত

গ. লোকজ

খ. অবস্তুগত

ঘ. গ্রামীণ

উ:ক

৩৮. সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্য হচ্ছে – 

[সকল বোর্ড ২১]

i.সংস্কৃতি মানুষকে একত্রিত করে

ii. সংস্কৃতি শিক্ষণীয় বিষয়

iii. সংস্কৃতি অর্জন করতে হয়

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

খ.i ও iii

গ. ii ও iii

 ঘ.i, ii ও iii

উ:ঘ

৩৯. দল যে ধরনের সংগঠন ---

[সকল বোর্ড ২১]

i.কিছু লোকের সমষ্টি

ii.পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়া

iii. পেশাভিত্তিক গোষ্ঠী

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

খ. i ও iii

গ.ii ও iii

ঘ.i, ii ও iii

উ:খ

নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং ৪০ ও ৪১ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও: হুমায়ূন আহমেদ আমাদের সবার নিকট একজন সুপরিচিত সাহিত্যিক। তাঁর বিভিন্ন নাটক, উপন্যাসে বাঙালির অতীত, বর্তমান প্ৰথা-পদ্ধতি, আচার-আচরণ প্রতিফলিত হয়েছে। যুগ যুগ ধরে এগুলো আমাদের ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক ।

৪০. হুমায়ুন আহমেদ-এর কর্ম প্রচেষ্টা সমাজবিজ্ঞানের কোন বিষয়ের ইঙ্গিত প্রদান করে?

ক. দল

খ. পরিবার

গ. সংঘ

ঘ.সংস্কৃতি

৪১. উক্ত বিষয়টি প্রভাব বিস্তার করে— 

i. সংগীত শেখার ক্ষেত্রে

ii. অবস্তুগত সংস্কৃতির ক্ষেত্রে

iii. সামাজিক রীতি-নীতির  ক্ষেত্র

ক..i, ii 

 খ.i ও iii,

গ. ii ও iii

ঘ. i, ii ও iii

নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং ৪২ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও:
দিনমজুর করিমের ছেলে মনির বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ম্যাজিস্ট্রেট হয়েছে।

 [সকল বোর্ড ২১]

৪২. উদ্দীপকে মনিরের এই অবস্থান কোন ধরনের  গতিশীলতাকে নির্দেশ করে?

ক. . আনুভূমিক

খ.আরোপিত

গ. ঊর্ধ্বমুখী উল্লম্বী 

ঘ. নিম্নমুখী উল্লম্বী

উ: গ

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৪৩ ও ৪৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও:



[সকল বোর্ড ২২]

৪৩. ছকের ‘?' চিহ্নিত স্থানে কোনটি বসবে? 

ক. সামাজিক কাঠামোর উপাদান 

খ. সামাজিক স্তরবিন্যাসের উপাদান 

গ. সামাজিক গতিশীলতার উপাদান 

ঘ. সামাজিক নিয়ন্ত্রণের উপাদান 

উ: ক

৪৪.উক্ত প্রত্যয়টি সম্পর্কে বলা যায়—

i. এটি সমাজবিজ্ঞানের মৌলিক প্রত্যয় 

ii. এটি ভাববিনিময়ের অন্যতম ব্যবস্থা

iii. এটি কতক সংগঠনের পারস্পরিক সূত্রের সমন্বয়

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

খ. i ও iii

গ. ii ও iii

ঘ. i, ii ও iii

উ: খ





এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনেট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url