এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান ১ম পত্র অধ্যায়-৭ সামাজিকরণ প্রক্রিয়া সাজেশন

অধ্যায়-৭ সামাজিকরণ প্রক্রিয়া

পেজ সূচিপত্র :অধ্যায়-৫ সামাজিক প্রতিষ্ঠান

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর
বহুপদী সমাপ্তিসূচক প্রশ্ন ও উত্তর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর
বোর্ড পরিক্ষার বহুনির্বাচনী প্রশ্ন ও উত্তর

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন-১. সামাজিকীকরণ প্রত্যয়ের ইংরেজি প্রতিশব্দ কী?

উত্তর: সামাজিকীকরণ প্রত্যয়ের ইংরেজি প্রতিশব্দ ‘Socialization' |

প্রশ্ন-২. সামাজিকীকরণ কাকে বলে?

[রা. বো., কু. বো., চ. বো., ব. বো. ১৮]

উত্তর: যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মানবশিশু ক্রমশ সামাজিক মানুষে পরিণত হয় তাকে সামাজিকীকরণ বলে ।

আর পড়ুন: ভিডিও ক্লাস(Admission Physics)

আর পড়ুন :Admission ICT

আর পড়ুন:বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত বছরের ভর্তি পরিক্ষার গাণিতিক সমস্যাবলির ব্যাখ্যাসহ ও সর্টকার্ট টেকনিকসহ ( পদার্থবিজ্ঞান ১মপত্র MCQ ১০০% কমনের নিশ্চয়তায়)

প্রশ্ন-৩. আরনল্ড গ্রিনের মতে, সামাজিকীকরণ কী?

উত্তর: আমেরিকান সমাজবিজ্ঞানী আরনল্ড গ্রিনের মতে, “সামাজিকীকরণ এমন একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে একটি শিশু আপন সংস্কৃতির সাথে সুপরিচিত হয় এবং এভাবে তার অহংবোধ ও ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটে।”

প্রশ্ন-৪. অ্যালমন্ড ও পাওয়েল-এর মতানুসারে সামাজিকীকরণ কী?

উত্তর: আমেরিকান রাষ্ট্রতাত্ত্বিক অ্যালমন্ড ও পাওয়েল-এর মতে, “সামাজিকীকরণ বলতে ওই প্রক্রিয়াকে বোঝায় যার মধ্য দিয়ে ব্যক্তি সামাজিক মনোভাব ও আচরণের বিষয়াদি অর্জন করে।”

প্রশ্ন-৫. ব্লুম ও সেজনিক সামাজিকীকরণের কয়টি উদ্দেশ্যের কথা বলেছেন?

উত্তর: আমেরিকান সমাজবিজ্ঞানী ব্লুম ও সেজনিক সামাজিকীকরণের চারটি উদ্দেশ্যের কথা বলেছেন ।

প্রশ্ন-৬. কোন প্রক্রিয়া মানুষকে দলের অন্য সদস্যদের সাথে মিলেমিশে থাকার উপযোগী করে গড়ে তোলে?

উত্তর: সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া মানুষকে দলের অন্য সদস্যদের সাথে মিলেমিশে থাকার উপযোগী করে গড়ে তোলে ।

প্রশ্ন-৭. সামাজিকীকরণের মধ্যে কয়টি প্রক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়?

উত্তর: সামাজিকীকরণের মধ্যে চারটি প্রক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়। যথা- অনুকরণ, অভিভাবন, অঙ্গীভূতকরণ ও ভাষা ।

প্রশ্ন-৮. কোন প্রক্রিয়া শিশুর মূল্যবোধ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে?

উত্তর: সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া শিশুর মূল্যবোধ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে ।

প্রশ্ন-৯. সমাজের অস্তিত্বের নিয়ামক কী?

উত্তর: সমাজের অস্তিত্বের নিয়ামক হলো সামাজিকীকরণ ।

প্রশ্ন-১০. শিক্ষণ কী?

উত্তর: শিক্ষণ হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ব্যক্তি কোনো বিষয় অনুকরণ, অনুসরণ ও আত্তীকরণ করে থাকে ।

প্রশ্ন-১১. সামাজিকীকরণের মাধ্যমগুলোকে প্রকৃতিগতভাবে কয় ভাগে ভাগ করা হয়েছে?

উত্তর: সামাজিকীকরণের মাধ্যমগুলোকে প্রকৃতিগতভাবে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে ।

প্রশ্ন-১২. শিশুর সামাজিকীকরণে পরিবারের ভূমিকাকে কয় ভাগে ভাগ করা হয়?

উত্তর: শিশুর সামাজিকীকরণে পরিবারের ভূমিকাকে তিন ভাগে ভাগ করা হয় ।

প্রশ্ন-১৩. শিশুর সামাজিকীকরণের প্রধান মাধ্যম কোনটি?

[রা. বো, ব. বো. ২২, সকল বোর্ড ১৭]

উত্তর: সামাজিকীকরণের প্রধান মাধ্যম হচ্ছে পরিবার ।

প্রশ্ন-১৪. শিশুর খাদ্যাভ্যাস গঠন ও ভাষা শিক্ষার প্রথম মাধ্যম কোনটি?

উত্তর: শিশুর খাদ্যাভ্যাস গঠন ও ভাষা শিক্ষার প্রথম মাধ্যম হচ্ছেন মা ।

প্রশ্ন-১৫. শিশুর সামাজিকীকরণের আনুষ্ঠানিক মাধ্যম কোনটি?

উত্তর: শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলো শিশুর সামাজিকীকরণের আনুষ্ঠানিক মাধ্যম ।

প্রশ্ন-১৬. কোন ধরনের পরিবার শিশুর সুস্থ ব্যক্তিত্ব গঠনের পথে অন্তরায়স্বরূপ?

উত্তর: অসুখী পরিবার শিশুর সুস্থ ব্যক্তিত্ব গঠনের পথে অন্তরায়স্বরূপ।

প্রশ্ন-১৭. সন্তানের ক্ষেত্রে পিতা-মাতার কেমন হওয়া উচিত?

উত্তর: সন্তানের ক্ষেত্রে পিতা-মাতার অনুমোদনশীল হওয়া উচিত।

প্রশ্ন-১৮. পিতা-মাতার অতিসংরক্ষণশীল আচরণে শিশুর ব্যক্তিত্বে কী কী বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়?

উত্তর: পিতা-মাতার অতিসংরক্ষণশীল আচরণে শিশুর ব্যক্তিত্বে শিশুসুলভ আচরণ, বশ্যতা, অসহায়বোধ ও উদ্বেগ।

প্রশ্ন-১৯. কোন ধরনের পরিবারের শিশুরা অন্যের সাথে মানিয়ে চলার বিষয়টি আত্মস্থ করতে শেখে?

উত্তর: যৌথ পরিবারের শিশুরা অন্যের সাথে মানিয়ে চলার বিষয়টি আত্মস্থ করতে শেখে ।

প্রশ্ন-২০. পিতা-মাতার প্রত্যাখ্যানজনিত আচরণে শিশুর ব্যক্তিত্বে কোন কোন বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়?

উত্তর: পিতা-মাতার প্রত্যাখ্যানজনিত আচরণে শিশুর ব্যক্তিত্বে আগ্রাসন, অসহায়বোধ ও ভীতি পরিলক্ষিত হয় ।

প্রশ্ন-২১. কাদের মাধ্যমে শিশুদের মধ্যে সহযোগিতা, সহনশীলতা, সহমর্মিতা, নেতৃত্ব প্রভৃতি গুণাবলি বিকশিত হয়?

উত্তর: খেলার সাথী ও সহপাঠীদের মাধ্যমে শিশুদের মধ্যে সহযোগিতা, সহনশীলতা, সহমর্মিতা, নেতৃত্ব প্রভৃতি গুণাবলি বিকশিত হয় ।

প্রশ্ন-২২. ব্যক্তিজীবনের সাথে গোষ্ঠী জীবনের সামঞ্জস্য বিধান হয় কীসের মাধ্যমে?

উত্তর: ব্যক্তিজীবনের সাথে গোষ্ঠী জীবনের সামঞ্জস্য বিধান হয় সামাজিকীকরণের মাধ্যমে ।

প্রশ্ন-২৩. শিশুর সামাজিকীকরণে কোন মাধ্যমটি কর্তৃত্বমূলক প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা পালন করে?

উত্তর: শিশুর সামাজিকীকরণে রাষ্ট্র কর্তৃত্বমূলক প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা পালন করে

প্রশ্ন-২৪. সামাজিকীকরণের ক্ষেত্রে পরিবর্তনশীল সামাজিক প্রতিষ্ঠান বলতে কোনগুলোকে বোঝায়?

উত্তর: সামাজিকীকরণের ক্ষেত্রে পরিবর্তনশীল সামাজিক প্রতিষ্ঠান বলতে বোঝানো হয় গণমাধ্যম, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও ব্যবস্থা, অর্থনৈতিক ব্যবস্থা, ক্লাব, সংঘ, সঙ্গীদল ইত্যাদিকে।

প্রশ্ন-২৫. শিশুর সঙ্গীদল তার ব্যক্তিত্বকে কয়ভাবে প্রভাবিত করে?

উত্তর: শিশুর সঙ্গীদল তার ব্যক্তিত্বকে চারভাবে প্রভাবিত করে থাকে ।

প্রশ্ন-২৬. শিশুর মনে দায়িত্ববোধ ও সামাজিক চেতনা সৃষ্টি করে কে?

উত্তর: শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিশুর মনে দায়িত্ববোধ ও সামাজিক চেতনা সৃষ্টি করে ।

প্রশ্ন-২৭. সমাজস্থ মানুষের আচার-আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করে কে?

উত্তর: সমাজস্থ মানুষের আচার-আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করে রাষ্ট্র ।

প্রশ্ন-২৮. বিশ্বায়নের ইংরেজি প্রতিশব্দ কী?

উত্তর: বিশ্বায়নের ইংরেজি প্রতিশব্দ Globalization |

প্রশ্ন-২৯.বিশ্বায়ন কী?

উত্তর: বিশ্বায়ন হচ্ছে এমন এক ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে সারা বিশ্বের মানুষকে একই পতাকাতলে নিয়ে আসা হয় ।

প্রশ্ন-৩০.বিশ্বায়নের মৌলিক বিষয় কয়টি?

উত্তর: বিশ্বায়নের মৌলিক বিষয় তিনটি

প্রশ্ন-৩১. কোনটির প্রভাবে আজ সারা বিশ্বের মানুষ একটি পরিবারের সদস্যে পরিণত হয়েছে?

উত্তর: বিশ্বায়নের প্রভাবে আজ সারা বিশ্বের মানুষ একটি পরিবারের সদস্যে পরিণত হয়েছে।

প্রশ্ন-৩২. কোনটির ফলে মানুষের কম, পেশা, নির্বাচন, দক্ষতা অর্জন ইত্যাদি ক্ষেত্রে ঐতিহ্যগত ধারণাগুলো ক্রমাগতভাবে বদলে যাচ্ছে?

উত্তর: বিশ্বায়নের ফলে মানুষের কর্ম, পেশা, নির্বাচন, দক্ষতা অর্জন ইত্যাদি ক্ষেত্রে ঐতিহ্যগত ধারণাগুলো ক্রমাগতভাবে বদলে যাচ্ছে।

প্রশ্ন-৩৩.তথ্য প্রযুক্তি কী?

উত্তর: তথ্য আদান-প্রদানের কৃৎকৌশলই হলো তথ্য প্রযুক্তি

প্রশ্ন-৩৪. বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কীসের প্রয়োগ শিশুর সামাজিকীকরণে প্রভাব ফেলছে?

উত্তর: বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুমের প্রয়োগ শিশুর সামাজিকীকরণে প্রভাব ফেলছে ।

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন-১. “সামাজিকীকরণ একটি জীবনব্যাপী প্রক্রিয়া”– বুঝিয়ে লেখ।

[বা: বো, ব, কো, ২২, রা, বো, ব, বো, '১৭]

উত্তর: সামাজিকীকরণ হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একজন মানব শিশু ক্রমশ সামাজিক মানুষে পরিণত হয়। অর্থাৎ- সামাজিকীকরণ হচ্ছে একটি জীবনব্যাপী প্রক্রিয়া । কেননা, জন্মের পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত বিভিন্ন বাহন ও প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিশুর সামাজিকীকরণ হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও সঙ্গীদল শিশুর সামাজিকীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেহেতু এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া তাই সামাজিকীকরণকে একটি জীবনব্যাপী প্রক্রিয়া হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

প্রশ্ন-২.সমাজকে সুন্দর করতে সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ার প্রয়োজন কেন?

উত্তর: সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া সমাজস্থ ব্যক্তিদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগে উৎসাহ জোগায়। যার ফলে পারস্পরিক দূরত্ব দূরীভূত হয়ে ব্যক্তিজীবন তথা সামাজিক জীবন সুন্দর ও উপভোগ্য হয়ে ওঠে। সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া ব্যক্তিকে দলের অন্য সদস্যদের সাথে মিলেমিশে থাকার ক্ষেত্রে সক্ষম করে তোলে। গোষ্ঠীজীবন ও সামাজিকীকরণ ছাড়া ব্যক্তির পক্ষে সমাজে বসবাস বা টিকে থাকা সম্ভব নয়। সামাজিকীকরণের জন্যই ব্যক্তি সমাজের সদস্য হিসেবে তার নিজের জন্য অসম্মানজনক বা সমাজের জন্য ক্ষতিকর এমন কোনো কাজ করতে উৎসাহী হয় না। এসব কারণে সমাজকে সুন্দর করতে সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া অপরিহার্য।

প্রশ্ন-৩.সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ার গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।

উত্তর: সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এ প্রক্রিয়া ব্যক্তিকে দলের অন্য সদস্যদের সাথে মিলেমিশে থাকার ক্ষেত্রে সক্ষম করে তোলে । একজন ব্যক্তি যদি পুরোপুরি সামাজিকীকৃত হয় তবে সে সমাজের গুরুত্ব ভালোভাবে বুঝতে শেখে এবং ব্যক্তি স্বার্থের ওপরে সমাজের স্বার্থকে স্থান দেয়। এছাড়া সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া সমাজে বসবাসকারী ব্যক্তিদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রক্ষা করার ক্ষেত্রে উৎসাহ যোগায়। ফলে পারস্পরিক দূরত্ব দূর হয় এবং ব্যক্তি জীবন তথা সামাজিক জীবন সুন্দর ও মধুর হয়।

প্রশ্ন-৪.“পিতামাতার মধ্যে সুসম্পর্ক শিশুর ব্যক্তিত্বের সুষ্ঠু বিকাশের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়”— ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: পিতামাতার মধ্যে সুসম্পর্ক শিশুর ব্যক্তিত্বের সুষ্ঠু বিকাশের জন্য একান্ত প্রয়োজন। মানুষ সাধারণত পরিবারে জন্মগ্রহণ করে ও বেড়ে ওঠে। শিশু তার বাবা-মাকে খুব আপন মনে করে এবং তাদের কোমল মনে বাবা-মায়ের সংস্কৃতি সহজেই প্রবেশ করে এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়। এজন্য দেখা যায়, বাবা-মা যে আদর্শ ও সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করে, শিশুরাও সাধারণত সেই আদর্শ ও সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী হয়। আর এটি তখনই সম্ভব হবে যখন পিতা-মাতার মধ্যে সুসম্পর্ক থাকবে। পিতা-মাতার মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় থাকলে পরিবারে শিশুর ব্যক্তিত্ব বিকাশ ও আচরণ নির্ধারণের অনুকূল পরিবেশ বিরাজ করে। আর পিতা-মাতার মধ্যে দ্বন্দ্ব বা ঝগড়া থাকলে শিশুর মনের ওপর তার প্রভাব পড়ে ।

প্রশ্ন-৫. সামাজিকীকরণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কীভাবে ভূমিকা রাখে?

[ঢা বো., দি, বো, সি. বো., য. বো. ১৮, ঢা বো., দি, বো, কু. বো., চ. বো, সি. বো, য. বো. ১৭/]

উত্তর: শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জ্ঞানার্জনের পাশাপাশি সামাজিক আদর্শ শিক্ষাদানের মাধ্যমে শিশুকে সামাজিক মানুষ হিসেবে গড়ে তোলে। শিশু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষক, সহপাঠী, কর্মচারী, বিদ্যালয়ের পরিবেশ, প্রাতিষ্ঠানিক মূল্যবোধ প্রভৃতির সংস্পর্শে আসে। এসব উপাদানই শিশুর আচরণকে প্রভাবিত করে, যার মাধ্যমে শিশুর মধ্যে নেতৃত্ব, অন্যের মতের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ, ঐক্য, দেশপ্রেম, সহমর্মিতা, সম্প্রীতিবোধ প্রভৃতি জাগ্রত হয়। সুতরাং শিশুর সুষ্ঠু সামাজিকীকরণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব অপরিসীম।

প্রশ্ন-৬, ব্যক্তির সামাজিকীকরণ কীভাবে সম্পন্ন হয়? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর: একজন মানুষের সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া তার সমগ্র জীবনব্যাপী অব্যাহত থাকে। শিশুর জন্মের পর হতে মৃত্যু পর্যন্ত বিভিন্ন মাধ্যমে অভিজ্ঞতা অর্জন ও খাপ খাওয়ানোর প্রক্রিয়াই সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া। মানবশিশু জন্মের পর পিতা-মাতা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সংস্পর্শে আসে, যা শিশুর সামাজিকীকরণকে প্রভাবিত করে। এরপর শিশু পরিবারের বাইরের পরিবেশ, যেমন— খেলার সাথি, পাড়া-প্রতিবেশী, বিদ্যালয় প্রভৃতি থেকে অভিজ্ঞতা অর্জন করে, যা ব্যক্তির সামাজিকীকরণে সহায়তা করে।

প্রশ্ন-৭. “সামাজিকীকরণে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রভাব গুরুত্বপূর্ণ”- ব্যাখ্যা কর।

উত্তর: সামাজিকীকরণে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রভাব খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি ধর্মই সামাজিক জীবন সম্পর্কে বিশেষ ধরনের আদর্শ পোষণ করে। মসজিদ, মন্দির, গির্জা প্রভৃতি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমূহে আধ্যাত্মিক প্রচারণার সাথে সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জীবন গঠনের বিভিন্ন আদর্শ প্রচারিত হয়। তাছাড়া শিশু-কিশোরেরা পরিবারে অন্যদের ধর্মীয় আচরণ, যেমন— কুরআন শরিফ, বাইবেল, ত্রিপিটক প্রভৃতি পাঠ করতে দেখে ও শোনে। এসব বিষয় শিশুর ভবিষ্যৎ ধর্মীয় জীবনকে প্রভাবিত করে । ঈদ, পূজা, প্রভৃতি ধর্মীয় উৎসবের নানা কার্যক্রম শিশুমনে ধর্মানুভূতির পাশাপাশি ঐক্য, সংহতি এবং সম্প্রীতির শিক্ষা দেয়।

প্রশ্ন-৮. সামাজিকীকরণে গণমাধ্যমের ভূমিকা কীরূপ? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর: গণমাধ্যম আধুনিককালের সমাজ নিয়ন্ত্রণের এক শক্তিশালী মাধ্যম। আধুনিককালে অধিকাংশ পরিবারেই সংবাদপত্র, টেলিভিশন, রেডিও, কম্পিউটার ইত্যাদির কোনো না কোনোটির ব্যবহার লক্ষ করা যায়। এসব মাধ্যমে প্রচারিত সংবাদ, বিজ্ঞাপন, বিভিন্ন অনুষ্ঠান ইত্যাদি শিশুদেরকে দারুণভাবে প্রভাবিত করে। এর ফলে শিশু-কিশোররা নিজেদেরকে সমাজ-সংস্কৃতির সাথে খাপ খাইয়ে চলতে শেখে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের সচেতনতা বৃদ্ধি পায়, বিজ্ঞানমনস্কতা ও মানসিক স্বাস্থ্য বিকশিত হয়।

প্রশ্ন-৯. “শিশুর সামাজিকীকরণে স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানসমূহ বিশেষ ভূমিকা পালন করে”— ব্যাখ্যা কর ।

উত্তর: স্বাধীন সত্তা, মনোভাব ও মতামত প্রকাশের সুযোগদানের মাধ্যমে শিশুর সামাজিকীকরণে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান যেমন- ক্লাব, সমিতি, সংঘ ইত্যাদি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এসব প্রতিষ্ঠানসমূহের মাধ্যমে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি পায়। এক সংঘের সাথে অন্য সংঘের প্রতিযোগিতা, ভালো করার চেষ্টা শিশুদেরকে আত্মপ্রত্যয়ী এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করে থাকে। এসব সংঘ, সমিতি বিভিন্ন সময়ে পরিবর্তিত হয়, সেইসাথে পরিবর্তন ঘটে এর থেকে শিক্ষণীয় সামাজিকতার ধরনেও

প্রশ্ন-১০. সামাজিকীকরণে তথ্য প্রযুক্তির প্রভাব ব্যাখ্যা কর।

উত্তর: তথ্য প্রযুক্তির বিভিন্ন উপাদান যেমন- ইন্টারনেট, স্যাটেলাইট প্রতিনিয়ত ব্যক্তির সামাজিকীকরণে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করছে। মানুষের জীবনে প্রতিটি বিষয় এখন তথ্য ও প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে পড়েছে। পরিবারের শিশুরা তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করার মাধ্যমে নিজেদের বিকাশ ঘটায়। আধুনিক তথ্য ও প্রযুক্তির বিকাশের কারণে বিজ্ঞাপন চিত্র, জনপ্রিয় সিনেমা, বিখ্যাত ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং তাদের জীবনধারণ সম্পর্কিত তথ্য প্রচার মাধ্যমের কল্যাণে দ্রুত সমাজে ছড়িয়ে পড়ে যা শিশুর সামাজিকীকরণে প্রভাব ফেলে ।

প্রশ্ন-১১. সামাজিকীকরণ কীভাবে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বিস্তৃত হয়ে উঠছে? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর: তথ্য প্রযুক্তি প্রতিনিয়ত সামাজিকীকরণের মাধ্যমে ব্যক্তি মানুষকে বৈশ্বিক মানুষ হিসেবে গড়ে তুলছে। বিশ্বায়নের ফলে আজ সারা বিশ্বের মানুষ যেন একটি পরিবারের সদস্য। মোবাইল ফোন, স্যাটেলাইট চ্যানেল, সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যম (Facebook, Twitter, Instagram ইত্যাদি) এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে মানুষ সহজেই সারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে পারছে। এতে তারা চিন্তাধারা, সংস্কৃতি, পরিবেশ, জীবনধারা, সমাজ, অর্থনীতি, ধর্ম ইত্যাদি সম্পর্কে জানার সুযোগ পাচ্ছে। আর এ কারণেই সামাজিকীকরণ বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বিস্তৃত হয়ে যাচ্ছে।

প্রশ্ন-১২, সামাজিকীকরণে অর্থনীতি কীরূপ ভূমিকা পালন করে? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর: অর্থনীতি সামাজিকীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে কারণ অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানসমূহের দ্বারা সমাজবদ্ধ মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক ও আচার-আচরণ নিয়ন্ত্রিত হয়। একটি সমাজে যদি অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নয়ন হয়, তবে সেই সমাজের মানুষের জীবনযাত্রার মানও পরিবর্তিত হয়। সেইসাথে পরিবর্তিত হয় সামাজিক রীতি-নীতি ও আচার-অভ্যাস এবং উৎপাদন ব্যবস্থা। এসব বিষয় সামাজিকীকরণে বিভিন্নভাবে প্রভাব বিস্তার করে থাকে । অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানসমূহ থেকে মানুষ আর্থিক লেনদেন, অর্থব্যবস্থা ইত্যাদি বিষয় শিখে থাকে ।

প্রশ্ন-১৩. পরিবর্তনশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে সামাজিকীকরণে পরিবারের ভূমিকা ব্যাখ্যা কর।

উত্তর: পরিবর্তনশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে সামাজিকীকরণে পরিবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পরিবারের পরিবর্তনশীলতা সামাজিকীকরণের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম। যেমন-যৌথ পরিবার ব্যবস্থায় শিশুরা সহজেই অন্যের সাথে মানিয়ে চলার বিষয়টি আত্মস্থ করতে শেখে। পক্ষান্তরে, একক পরিবারের শিশুরা পিতা-মাতার ব্যস্ততার কারণে অনেকটা একা একা বেড়ে ওঠে। যা শিশুর মানসিক ও সামাজিক বিকাশে অন্তরায় হিসেবে কাজ করে। সুতরাং পরিবারের গঠন ও কাঠামোগত পরিবর্তনশীলতা শিশুর সামাজিকীকরণে প্রভাব বিস্তার করে থাকে।

প্রশ্ন-১৪. ছেলেমেয়েরা বড় হয়েও শিশুসুলভ আচরণ ও পরনির্ভরশীল হয়ে পড়ে কেন?

উত্তর: পারিবারিক সুষ্ঠু সামাজিকীকরণের অভাবে ছেলেমেয়েরা বড় হয়েও শিশুসুলভ আচরণ ও পরনির্ভরশীল হয়ে পড়ে । কিছু পরিবারে বাবা-মা তাদের সন্তানদের প্রতি অতিরিক্ত কড়াকড়ি নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেন। তারা সন্তানদের সব সময় আগলে রাখতে চান এবং সন্তানদের সব কাজ নিজেরাই করে দিতে পছন্দ করেন। তারা ছেলেমেয়েদের ঘরের বাইরে যেতে দিতে রাজি নন। এ ধরনের পরিবারের ছেলেমেয়েরা বড় হয়েও শিশুসুলভ আচরণ করে এবং সব সময় অসহায় বোধ করার ফলে পরনির্ভরশীল হয়ে পড়ে।

প্রশ্ন-১৫. ছেলেমেয়েরা হঠকারী, আগ্রাসী ও অন্যের প্রতি বেপরোয়া মনোভাব সম্পন্ন হয় কেন?

উত্তর: পারিবারিক নিয়ন্ত্রণের অভাবে ছেলেমেয়েরা হঠকারী, আগ্রাসী ও অন্যের প্রতি বেপরোয়া মনোভাব সম্পন্ন হয় । অনেক পরিবারে দেখা যায়, বাবা-মা ছেলেমেয়েদের অতিরিক্ত প্রশ্রয় দিয়ে থাকেন। তারা ছেলেমেয়েদের কোনো কাজে বাধা দেন না বা কোনো ব্যাপারে না করতে পারেন না। ছেলেমেয়েরা তাদের ইচ্ছামাফিক স্বেচ্ছাচারিতামূলক আচরণের আশ্রয় নেয়। বাবা-মা যদি এসব ব্যাপারে উদাসীন থাকে বা নীরব থাকে তাহলে ছেলেমেয়ে হঠকারী হয়ে পড়ে, তারা আগ্রাসী হয় ও অন্যের প্রতি বেপরোয়া মনোভাব দেখায় ।

প্রশ্ন-১৬. অসুখী পরিবার শিশুর মানসিক বিকাশে অন্তরায় কেন? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর: যে পরিবারে পিতা-মাতার মধ্যে সর্বদা কলহ ও দ্বন্দ্ব লেগে থাকে সে পরিবারকে অসুখী পরিবার বলা যেতে পারে । অসুখী পরিবার শিশুর সুস্থ ব্যক্তিত্ব গঠনের পথে বিরাট অন্তরায়। কেননা শিশুরা পিতা-মাতার সাথে একাত্মতা বোধ করে পিতা-মাতার গুণাবলি নিজের মনে করে এবং সেগুলো নিজের মধ্যে প্রতিফলিত করে গর্বিত বোধ করে। আর একই কারণে সে পিতা-মাতার মধ্যকার কোনো দ্বন্দ্ব বা উত্তেজনা নিজের মধ্যে অনুভব করে। এর থেকে তার মনে অসহায় বোধ জন্ম নেয়, যা পরে উগ্র ও অসামাজিক আচরণের জন্ম দিতে পারে ।

প্রশ্ন-১৭.খেলার সাথি কোন ধরনের সামাজিক গোষ্ঠী? ব্যাখ্যা কর।

[সকল বোর্ড ১৫]

উত্তর: পরিবারের পর খেলার সাথি হলো দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক গোষ্ঠী। সঙ্গীদলের সাথে খেলতে গিয়ে শিশু যেমন অন্যদেরকে তার আচরণ দ্বারা প্রভাবিত করে, তেমনি অন্যের আচরণ দ্বারাও নিজে প্রভাবিত হয়। সঙ্গীদের সাথে মেলামেশার ফলে পরিবারের বাইরে যে একটি জগৎ আছে সে সম্পর্কে শিশু সচেতন হয়। পারিবারিক আবহে স্নেহ- যত্নের প্রাধান্য থাকলেও বহির্জগতের পরিবেশে শিশুকে সহনশীলতা, নিয়ম-শৃঙ্খলা, দায়িত্ব-কর্তব্য ইত্যাদি শিখতে হয় । এ সময়ে অনেক শিশুর মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলিও স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

প্রশ্ন-১৮. বিশ্বায়ন বলতে কী বোঝ?

[কু.বো., ব. বো. ১৯]

উত্তর: বিশ্বায়ন হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে সমগ্র বিশ্ব একীভূত হয়। বিশ্বায়নের মাধ্যমে অথনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে সারা বিশ্বকে একই পতাকাতলে নিয়ে আসা হয়। মূলত তিনটি লক্ষ্যকে সামনে রেখেই বিশ্বায়নের পথচলা। (১) তথ্য প্রযুক্তির অবাধ প্রবাহ (২) আন্তর্জাতিক শ্রম বাজার এবং (৩) উৎপাদিত পণ্যের অবাধ প্রবাহ। সাধারণত সারাবিশ্বে এই তিনটি বিষয়ের অবাধ প্রচলন ও উপস্থিতি থাকলেই সেই প্রক্রিয়াকে বিশ্বায়ন বলে আখ্যায়িত করা যেতে পারে।

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর

১. সামাজিক জীব হিসেবে পরিচিত হওয়ার জন্য মানুষকে কী করতে হয়?

ক. উঁচু বংশে জন্মগ্রহণ

খ. সংঘের সদস্য হওয়া

গ. নির্দিষ্ট প্ৰক্ৰিয়া অনুসরণ

ঘ. সম্প্রদায়ের সদস্য হওয়া

উ:গ

২.মানুষের সামাজিকীকরণের ক্ষেত্রে পরিবর্তনশীলতা লক্ষ করা যায় কেন?

ক. মানুষ পরিবর্তনশীলতা পছন্দ করে বলে

খ.পরিবর্তনশীল উপাদানের প্রভাবে

গ. মানুষের চিন্তাধারা পরিবর্তনশীল হওয়ার জন্য

ঘ.মানুষের মূল্যবোধের পরিবর্তনের জন্য

উ:খ

৩.রোমেল পাড়ার বখাটে ছেলে। স্কুল পালিয়ে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া, রাস্তায় স্কুলগামী মেয়েদের উত্যক্ত করা, অহেতুক মারামারি করা তার নিত্যদিনের কাজ। রোমেলের সহপাঠীরা রোমেলের সাথে মেলামেশা করে না। রোমেলের এমন আচরণের জন্য কোন বিষয়টি দায়ী?

ক. প্রয়োজনীয় শিক্ষার অভাব

খ.সামাজিকীকরণের অভাব

গ. শিক্ষকদের অবহেলা

ঘ. সহপাঠীদের অসহযোগিতা

উ:খ

৪. পরিবার ও শিশুর মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকলে তা শিশুর মধ্যে কী ধরনের প্রভাব ফেলে?

ক, জ্ঞান বৃদ্ধি পায়

খ. দ্রুত বিকশিত হয়

গ. শিশু আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে

ঘ. সামাজিক চেতনার বিকাশ ঘটে

উ:গ

৫. শিশুর সুস্থ ব্যক্তিত্ব গঠনের পথে প্রধান অন্তরায় কোনটি?

ক. সঙ্গদোষ

খ, ধর্মীয় মূল্যবোধের অবক্ষয়

গ. অসুখী পরিবার

ঘ. সুখী পরিবার

উ:গ

৬. কোন ধরনের পরিবারে শিশু সহজেই অন্যের সাথে মানিয়ে চলা আত্মস্থ করে?

ক. যৌথ

খ. একক

গ. পিতৃতান্ত্রিক

ঘ. নয়াবাস

উ:ক

৭. শিশুর সামাজিকীকরণের গৌণ মাধ্যম কোনটি?

ক. ধর্ম

খ. গণমাধ্যম

গ. পরিবার

ঘ. খেলার সাথি

উ:খ

৮.কোন ধরনের পরিবারের শিশুরা বাইরের মানুষের সাথে মেলামেশার কম সুযোগ পায়?

ক. একক

খ. যৌথ

গ. মাতৃবাস

ঘ.নয়াবাস

উ:ক

৯. ব্যক্তির মনে দায়িত্ববোধ ও সামাজিক চেতনা সৃষ্টি করে কোনটি?

ক. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

খ. ধর্ম

গ. পরিবার

ঘ. সঙ্গীদল

উ:ক

১০. শিশুর সামাজিকীকরণের দর্পণ হিসেবে কাজ করে—

ক. ধর্মীয় আদর্শ

খ.সঙ্গীদল

গ. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

ঘ. সাংস্কৃতিক দীক্ষা

উ:ক

১১.‘বিশ্বায়নের’ ইংরেজি প্রতিশব্দ কোনটি?

ক. Global World

খ.Global Policy

গ.Globalization

ঘ.Global Village

উ:গ

১২. ব্যক্তিজীবনের সাথে গোষ্ঠীজীবনের সামঞ্জস্য সাধন হয় কীসের মাধ্যমে?

ক. শিক্ষা

খ. মূল্যবোধ

গ. সামাজিকীকরণ

ঘ. আত্তীকরণ

উ:গ

১৩. মিথিলা ইদানীং সালোয়ার-কামিজের পরিবর্তে শার্ট-প্যান্ট পরিধান করছে। মিথিলার পোশাক-পরিচ্ছদে কোনটির প্রভাব লক্ষ করা যায়?

ক. ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান

খ.অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান

গ. রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান

ঘ.বিশ্বায়নের সংস্কৃতি

উ:ঘ

১৪.কোন শতাব্দীর শেষার্ধ্বে তথ্য প্রযুক্তির বিকাশ ঘটেছে?

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

খ. i ও iii

গ. ii ও iii

ঘ. i, ii ও iii

উ:ঘ

অভিন্ন তথ্যভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ো এবং ২১ ও ২২ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও: আশিষ দেবনাথ কম্পিউটার সাইন্সের ওপর উচ্চতর ডিগ্রি লাভ করে কোনো চাকরিতে যোগ দেননি। এর বদলে তিনি বাসায় বসেই ইন্টারনেটের সাহায্যে বিভিন্ন বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাজ করে দেন।

২১.অনুচ্ছেদে কোন বিষয়ের প্রভাব ফুটে উঠেছে?

ক. বিশ্বায়নের

খ. তথ্য প্রযুক্তির

গ. আত্মকর্মসংস্থানের

ঘ. উন্নয়নের

উ:ক

২২.অনুচ্ছেদ দ্বারা নির্দেশকৃত বিষয়ের নিয়ন্ত্রক উপাদানগুলো হলো-

i.অধিক উৎপাদন

ii. উন্মুক্ত বাজার

iii. রাজনীতির আন্তর্জাতিকীকরণ

নিচের কোনটি সঠিক?

[সকল বোর্ড ১৫]

ক. i ও ii

খ. ii ও iii

গ. i ও iii

ঘ. i, ii ও iii

উ:ঘ

নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং ৩২ ও ৩৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও: করিম সাহেব ও তার স্ত্রী উভয়ই চাকরিজীবী। তারা তাদের একমাত্র সন্তান রনিকে পর্যাপ্ত সময় দিতে পারছেন না। ফলে রনি পাড়ার বখাটে ছেলেদের সাথে মিশে পড়ালেখায় অমনোযোগী হয়ে পড়ে ।

৩২. রনির ক্ষেত্রে সামাজিকীকরণের কোন বাহনটির অভাব পরিলক্ষিত হয়?

ক. পরিবার

খ.খেলার সাথী

গ. শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান

ঘ.গণমাধ্যম

উ:ক

৩৩. শিশুর সামাজিকীকরণের ক্ষেত্রে উক্ত বাহনটি হচ্ছে—

i.একমাত্র বাহন

ii.প্রথম বাহন

iii. প্রধান বাহন

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

খ. i ও iii

গ. ii 3 iii

ঘ.i, ii ও iii

উ:গ

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩৪ ও ৩৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও:
টুটুল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা করে। সে তার ক্লাসের বন্ধুদের সাথে ফেসবুক-এর মাধ্যমে যোগাযোগ করে। এমনকি মোবাইল ফোনের মাধ্যমেও ঘনিষ্ঠজনদের সাথে সামাজিক যোগাযোগ রক্ষা করে।

[সকল বোর্ড ২২]

৩৪. টুটুলের সামাজিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে কোন বিষয়ের প্রভাব লক্ষণীয়?

ক. শিক্ষা

খ.তথ্য ও প্রযুক্তি

গ. গণমাধ্যম

ঘ.মোবাইল ফোন

উ:খ

৩৫. উক্ত বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত হলো—

i. অনলাইন সংবাদপত্র

ii. স্যাটেলাইট চ্যানেল

iii. ইন্টারনেট

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii

খ. i ও iii

গ. ii ও iii

ঘ.i, ii ও iii

উ:ঘ