অর্থ ও ব্যাংক ব্যবস্থা সাজেশন

অধ্যায় ৭: অর্থ ও ব্যাংক ব্যবস্থা

অর্থনীতি আপডেট সাজেশন

আমাদের  ওয়েবসাইট “অর্ডিনেট আইটি.কম” ও  চ্যানেল ”অর্ডিনেট ক্লাসরুম  ”আপনাদের  স্বাগতম । 
আমরা একটি ভিন্ন প্রজন্মের স্বপ্ন দেখি। আমরা অধিক চিন্তাশীল প্রজন্ম গড়তে চাই, আলাদা মানুষ যাদের আগে চিন্তা করার অভ্যাস থাকবে। আমরা মানুষ কেন? কারণ আমরা চিন্তা করি, এবং সেই চিন্তাকে মুক্তচিন্তা হতে হবে। আর মুখস্থ করে আর যা ই হোক, বিজ্ঞান শিক্ষা হতে পারে না। আর সেই প্রচেষ্টারই অংশ হল আমাদের কনটেন্ট ও ভিডিও লেকচার। এই কনটেন্ট ও  ভিডিওগুলির উদ্দেশ্য হল প্রতিটি বিষয় এমনভাবে শেখানোর চেষ্টা করা যাতে আপনি বইয়ের বাইরেও অনেক কিছু ভাবতে পারেন। আর আপনি যখন চিন্তাশীল মানুষ হবেন, তখন আপনি নিজেই বুঝবেন এই দেশকে আলাদা করতে আমাদের কী করতে হবে, কতদূর যেতে হবে।



জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন-১. বিনিময় প্রথা কী? 

উত্তর: এক দ্রব্যের সঙ্গে সরাসরি অন্য দ্রব্য বিনিময় করে লোকের অভাব পূরণ করার ব্যবস্থাকে বিনিময় প্রথা বলে।

প্রশ্ন-২. অৰ্থ কী?

উত্তর: সরকার কর্তৃক স্বীকৃত যে বস্তু মূল্যের পরিমাপক ও লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে সর্বত্র গ্রহণযোগ্য তাকে অর্থ বলে।

 প্রশ্ন-৩.ধাতবমুদ্ৰা কাকে বলে? 

উত্তর: ধাতব খণ্ড দ্বারা তৈরি যে মুদ্রার মাধ্যমে মানুষ প্রাত্যহিক জীবনের লেনদেন করে তাকে ধাতবমুদ্রা বলে।

প্রশ্ন-৪. প্রামাণিক মুদ্রার সংজ্ঞা দাও। 

 উত্তর: যে মুদ্রার দৃশ্যমান মূল্য ও ধাতব মূল্য সমান তাই প্রামাণিক মুদ্রা। 

প্রশ্ন-৫. প্রতীক মুদ্রা কাকে বলে?

উত্তর: যে মুদ্রার ধাতব মূল্য তার দৃশ্যমান মূল্যের চেয়ে কম তাকে প্রতীক মুদ্রা বলে । 

প্রশ্ন-৬. সরকারি আইন দ্বারা প্রচলিত মুদ্রাকে কী বলে? 

উত্তর: সরকারি আইন দ্বারা প্রচলিত মুদ্রাকে বিহিত মুদ্রা বলে।

প্রশ্ন-৭.কাগজি নোট কাকে বলে? 

উত্তর: যে সব মুদ্রা কাগজ দ্বারা তৈরি করা হয় তাকে কাগজি নোট বলে । | 

প্রশ্ন-৮. রূপান্তরযোগ্য মুদ্রা কী? 

উত্তর: যেসব মুদ্রার পরিবর্তে সরকার চাওয়ামাত্র সমমূল্যের দেশীয় বা বৈদেশিক মুদ্রা দিতে বাধ্য থাকে, সেসব মুদ্রাকে রূপান্তরযোগ্য মুদ্রা বলে। 

প্রশ্ন-৯. রূপান্তরঅযোগ্য মুদ্রা কী? 

উত্তর: যে কাগজি নোটের পরিবর্তে সরকারের কাছ থেকে কোনো বৈদেশিক মুদ্রা, সোনা, রূপা পাওয়া যায় না, তাকে রূপান্তরঅযোগ্য মুদ্রা বলে। 

প্রশ্ন-১০. বিহিত অর্থ কাকে বলে? 

উত্তর: সরকারি আইন দ্বারা যে অর্থ প্রচলিত থাকে, তাকে বিহিত অর্থ বা মুদ্রা বলে।

প্রশ্ন-১১.অসীম বিহিত অর্থ কাকে বলে? 

উত্তর: যে মুদ্রা দ্বারা আইনত যেকোনো পরিমাণ লেনদেন করা যায় তাকে অসীম বিহিত অর্থ বলে ।

প্রশ্ন-১২. সসীম বিহিত অর্থ কী?

উত্তর: যে বিহিত মুদ্রা দ্বারা একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত লেনদেন করা যায় এবং আইনগতভাবে অধিক গ্রহণে জনগণকে বাধ্য করা যায় না তাকে সসীম বিহিত অর্থ বলে।

প্রশ্ন-১৩. ব্যাংক সৃষ্ট অর্থ কাকে বলে? 

উত্তর: চলতি হিসাব আমানত এবং সঞ্চয়ী হিসাবে আমানত, যা চেকের দ্বারা তোলা যায় তাকে ব্যাংক সৃষ্ট অর্থ বলে ।

প্রশ্ন-১৪.চেক কী? 

উত্তর:আমানতকারী কর্তৃক ব্যাংক থেকে অর্থ উত্তোলনের লিখিত শর্তহীন নির্দেশনার নামকে চেক বলে ।

প্রশ্ন-১৫. বাণিজ্যিক ব্যাংক কী?

উত্তর: যে ব্যাংক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অর্থ আমানত হিসেবে জমা রাখে এবং ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ঋণ প্রদান করে তাকে বাণিজ্যিক ব্যাংক বলে।

প্রশ্ন-১৬. ব্যাংক কী? 

উত্তর: ব্যাংক হলো এমন একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান যা সাধারণত জনসাধারণের কাছ থেকে অর্থ আমানত রাখে এবং ব্যবসা-বাণিজ্য ও উৎপাদন কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের তা ঋণ হিসেবে দেয়।

প্রশ্ন-১৭. বাণিজ্যিক ব্যাংকের মূল উদ্দেশ্য কী?

উত্তর: মুনাফা অর্জনই বাণিজ্যিক ব্যাংকের মূল উদ্দেশ্য ।

প্রশ্ন-১৮. বাণিজ্যিক ব্যাংক কয় ধরনের আমানত গ্রহণ করে থাকে?

উত্তর: বাণিজ্যিক ব্যাংক ৩ ধরনের আমানত গ্রহণ করে থাকে।

প্রশ্ন-১৯. আমানত কাকে বলে? 

উত্তর: সঞ্চয় কিংবা মুদ্রার নিরাপত্তা বিধানের জন্য জনসাধারণ সাধারণত বাণিজ্যিক ব্যাংকে যে হিসাব খুলে তাকেই আমানত বলে ।

প্রশ্ন-২০. চলতি আমানত কী? 

উত্তর: যে আমানতের অর্থ আমানতকারী যেকোনো সময় ওঠাতে পারে তাকে চলতি আমানত বলে।

প্রশ্ন-২১.সায়ী আমানত কী? 

উত্তর: যে আমানতের অর্থ একটি সময় মেয়াদে সাধারণত সপ্তাহে দুবার ওঠানো যায়, তাকে সঞ্চয়ী আমানত বলে।

প্রশ্ন-২২. বিল বাট্টাকরণ কাকে বলে? 

উত্তর: প্রাপক বা যেকোনো বিলের ধারক কর্তৃক যেকোনো ব্যাংকের কাছে বিলের মেয়াদপূর্তির পূর্বে কিছুটা কম মূল্যে বিগ বিক্রয় করাকে বিলের বাট্টাকরণ বলে।

প্রশ্ন-২৩. বিনিময় বিল কাকে বলে?

উত্তর: যে দলিলের সাহায্যে পারস্পরিক দেনা-পাওনা নিষ্পত্তি করা যায় তাকে বিনিময় বিল বলে।
ব্যাংক হিসাব খোলা ও পরিচালনার নিয়ম

প্রশ্ন-২৪. স্থায়ী হিসাব কী? 

উত্তর: যে আমানতের অর্থ একটি নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত তোলা যায় না তাকে স্থায়ী আমানত বা হিসাব বলে।

প্রশ্ন-২৫.চলতি হিসাব কী? 

উত্তর: যে হিসাব বা আমানত থেকে টাকা যে কোনো সময় উঠানো যায় তাকে চলতি হিসাব বলে ।

প্রশ্ন-২৬. বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নাম কী? 

 উত্তর: বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নাম বাংলাদেশ ব্যাংক।

প্রশ্ন-২৭.কেন্দ্রীয় ব্যাংক কাকে বলে? 

উত্তর: যে ব্যাংক আর্থিক ব্যবস্থার শীর্ষে অবস্থান করে সমগ্র ব্যাংকব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে এবং মুদ্রা বাজারের অভিভাবক হিসেবে কাজ করে তাকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলে।

প্রশ্ন-২৮. 'ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেম' কোন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক? 

উত্তর: 'ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেম' যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

প্রশ্ন-২৯. ঋণ নিয়ন্ত্রণ কাকে বলে? 

উত্তর: যে পদ্ধতি বা কৌশল অবলম্বনের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশে ঋণের জোগান কাম্যস্তরে সীমাবদ্ধ রাখে তাকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঋণ নিয়ন্ত্রণ বলে।

প্রশ্ন-৩০. নিকাশঘর কী? 

উত্তর: নিকাশঘর বলতে এমন একটি কক্ষ, স্থান বা প্রতিষ্ঠানকে বোঝায় যেখানে একটি নিকাশ পদ্ধতির মাধ্যমে কোনো নির্দিষ্ট এলাকা বা অঞ্চলের ব্যাংকসমূহ তাদের পরস্পরের মধ্যকার দেনা-পাওনা সংক্রান্ত হিসাবের নিষ্পত্তি করে।

প্রশ্ন-৩১. কৃষি ব্যাংক কোন ধরনের প্রতিষ্ঠান?

উত্তর: কৃষি ব্যাংক একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান

প্রশ্ন-৩২. গ্রামীণ ব্যাংক কী?

উত্তর: গ্রামের অতি অল্প জমির মালিক, ভূমিহীন কৃষক এবং অন্যান্য দরিদ্র জনসাধারণকে উৎপাদনক্ষম কার্যকলাপে ক্ষুদ্রঋণ প্রদানের জন্য সে বিশেষ ধরনের ব্যাংক রয়েছে তাকে গ্রামীণ ব্যাংক বলে।

প্রশ্ন-৩৩. কোন ব্যাংক বিনামূল্যে উদ্যোক্তাকে প্রয়োজনীয় কারিগরি পরামর্শ প্রদান করে? 

উত্তর: বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বিনামূলে৷ উদ্যোন্তাকে প্রয়োজনীয় কারিগরি পরামর্শ প্রদান করে ।

প্রশ্ন-৩৪. বাংলাদেশের কৃষিতে কোন পদ্ধতির চাষাবাদ প্রচলিত?

উত্তর: বাংলাদেশের কৃষিতে সনাতন পদ্ধতির চাষাবাদ প্রচলিত।

 প্রশ্ন-৩৫. সমবায় ব্যাংক কাকে বলে? 

 উত্তর: সমবায় নীতিমালার ভিত্তিতে গঠিত এবং পরিচালিত ব্যাংক হলো সমবায় ব্যাংক।

   অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন-১.একজন কৃষক কিছু ধান দিয়ে জেলের কাছ থেকে কিছু মাছ নিলে কোন প্রথার সাথে মিলে? বুঝিয়ে লেখো।

উত্তর: একজন কৃষক কিছু ধান দিয়ে জেলের কাছ থেকে কিছু মাছ নিে তা বিনিময় প্রথাকে নির্দেশ করে।
যখন অর্থের প্রচলন ছিল না তখন কারো কোনো দ্রব্যের প্রয়োজন হে নিজের জিনিসের বিনিময়ে অন্যের কাছ থেকে তা সংগ্রহ করত। | প্রাচীনকালে কৃষক ধানের বিনিময়ে জেলের কাছ থেকে মাছ সংগ্রহ করতো। আবার জেলে তার মাছের বিনিময়ে কাপড় বা ধান করতো। এভাবে এক দ্রব্যের পরিবর্তে অন্য দ্রব্য বিনিময় করে অভাব পূরণ করার ব্যবস্থাকে পণ্য বিনিময় প্রথা বলে।

প্রশ্ন-২.বিহিত অর্থ বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: সরকারি আইন দ্বারা যেসব মুদ্রা প্রচলিত এবং যা সবাই গ্রহণ করতে বাধ্য থাকে তাকে বিহিত মুদ্রা বলে।বাংলাদেশে ৫ টাকা, ১০ টাকা, ২০ টাকা, ৫০ টাকা, ১০০ টাকা, ৫০০ টাকার কাগজি নোট এবং ৫০ পয়সা, ১ টাকা, ২ টাকা ও ৫ টাকার ধাতবমুদ্রা প্রভৃতি বিহিত মুদ্রা। গ্রহণসীমার ভিত্তিতে বিহিত মুদ্রাকে দুই ভাগে ভাগ করা যায় । যথা- অসীম বিহিত মুদ্রা ও সসীম বিহিত মুদ্রা। 

প্রশ্ন-৩. কাগজি মুদ্রা কাকে বলে? 

উত্তর: যেসব মুদ্রা কাগজ দ্বারা তৈরি করা হয় তাকে কাগজি মুদ্রা বলে। নোটের ওপর লিখিত মূল্যই তার মূল্যের নির্দেশক। যা সাধারণত অভ্যন্তরীণ মূল্য অপেক্ষা অধিক হয়। সকল দেশেই কাগজি মুদ্রা সরকারি নির্দেশে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক প্রচলিত হয়। তাই বর্তমানে বিশ্বের প্রায় সব দেশেই কাগজি মুদ্রার ব্যাপক প্রচলন দেখা যায়,

প্রশ্ন-৪. ‘পঞ্চাশ' টাকার নোটকে অসীম বিহিত মুদ্রা বলা হয় কেন?

উত্তর: পঞ্চাশ টাকার নোট দ্বারা আইনগত যেকোনো লেনদেন করা যায় বলে একে অসীম বিহিত মুদ্রা বলে।সরকারি আইন দ্বারা প্রচলিত মুদ্রাকে বিহিত মুদ্রা বলে। যে বিহিত মুদ্রা আইনগত যেকোনো পরিমাণ লেনদেন করা যায় এবং সকলে গ্রহণ করতে বাধ্য থাকে তাকে অসীম বিহিত মুদ্রা বলে। পঞ্চাশ টাকার নোট যেকোনো পরিমাণে লেনদেন করা যায় বলে এটি অসীম বিহিত মুদ্রা। # অর্থের কার্যাবলি

প্রশ্ন-৫.অর্থ কেন বিনিময়ের সহজ মাধ্যম? 

 উত্তর: অর্থ সবার কাছে গ্রহণযোগ্য বলে অর্থের বিনিময়ে লেনদেন সম্পন্ন হয়।বিক্রেতা কোনো দ্রব্যের বিনিময়ে অর্থ গ্রহণ করে। আবার ক্রেতাও অর্থের বিনিময়ে দ্রব্যসামগ্রী গ্রহণ করে। এভাবে অর্থের দ্বারা যেকোনো সময় যেকোনো পরিমাণ পণ্য ও সেবা ক্রয়-বিক্রয় করা যায়। ফলে লেনদেন সহজ ও গতিশীল হয়। তাই বলা যায়, অর্থ বিনিময়ের প্রধান মাধ্যম। 

প্রশ্ন-৬. অর্থের প্রথম ও প্রধান কাজ কোনটি? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: অর্থের প্রথম ও প্রধান কাজ হলো বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে লেনদেন সম্পন্ন করা।
ব্যবসায়িক লেনদেনের ক্ষেত্রে অর্থ বিনিময়ের সহজ মাধ্যম হওয়ায় এটি দ্বারা যেকোনো সময়ে যেকোনো পরিমাণে দ্রব্য ও সেবা ক্রয় করা যায়। ফলে ব্যবসায়িক লেনদেন সহজ, গতিশীল ও বিস্তৃত হয়।

প্রশ্ন-৭.অর্থ স্থানান্তর' বলতে কী বোঝায়? 

 উত্তর: গ্রাহকদের স্বার্থে এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে মুদ্রা স্থানান্তরই হলো অর্থ স্থানান্তগ্রাহকগণ নিরাপদে ও দ্রুত অর্থ প্রেরণের ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে অর্থ স্থানান্তর করে থাকে। অর্থ প্রেরণের মাধ্যম হলো চেক, ব্যাংক ড্রাফট, পোস্টাল অর্ডার, টেলিগ্রাম, প্রভৃতি

৮. অর্থ কীভাবে মুল্যের পরিমাপক হিসেবে কাজ করে?

উত্তর: অর্থের মাধ্যমে দ্রব্য ও সেবার সঠিক মূল্য পরিমাপ করা যায় বলে এতে মুল্যের পরিমাপক বলা হয়।জারীতে ধৰা বিনিময় প্রথায় দ্রব্য ও সেবাকর্মের মূল্যের কোনো নিশ্চিত বা সঠিক মানদণ্ড ছিল না। কিন্তু অর্থের প্রচলন হওয়ার পর থেকে দ্রব্য সেবাকর্মের মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে তা কার্যকর মাপকাঠি হিসেবে। ব্যবহৃত হয়ে আসছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়- একটি বইয়ের ক্রয়মূল্য ৫০ টাকা। এক্ষেত্রে ৫০ টাকা হচ্ছে ঐ বইটির মূল্যের পরিমাপক।

প্রশ্ন-৯. অর্থ কীভাবে পণ্য ও সেবার মূল্যের মানদণ্ড হিসাবে কাজ করে? 

উত্তর: অর্থ বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে পণ্য ও সেবার মূল্যের মানদণ্ড হিসেবে কাজ করে।
অতীতের দ্রব্য বিনিময় প্রথায় দ্রব্য ও সেবাকর্মের বেচা-কেনার কোনো মানদণ্ড ছিল না। কিন্তু আধুনিক কালে দ্রব্য ও সেবাকর্মের মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে অর্থ মাপকাঠি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়- একটি বইয়ের দাম ৫০ টাকা। এক্ষেত্রে ৫০ টাকা হলো উক্ত বইটির মূল্যের পরিমাপক। এভাবে অর্থের সাহায্যে আমরা সহজেই পণ্য ও সেবার মূল্য পরিমাপ করে অতীত ও ভবিষ্যতের পণ্য ও সেবার মূল্য সম্বন্ধে তুলনামূলক আলোচনা করতে পারি ।
বাণিজ্যিক ব্যাংক

প্রশ্ন-১০. বাণিজ্যিক ব্যাংক বলতে কী বোঝ? 

উত্তর: যে ব্যাংক মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যে পরিচালিত হয় তা-ই হলো বাণিজ্যিক ব্যাংক। মুনাফা অর্জন করতে হলে ব্যাংককে অর্থের লেনদেন করতে হয়। সেজন্য ব্যাংক জনসাধারণের অর্থ জমা রাখে এবং তার বিনিময়ে জনসাধারণকে স্বল্প সুদ প্রদান করে। ব্যবসায়-বাণিজ্যের লক্ষ্যে উচ্চ অর্থ ব্যাংক বিনিয়োগকারীকে ঋণ দিয়ে তার কাছে থেকে অধিক সুদ আদায় করে। এভাবে বাণিজ্যিক ব্যাংক তার কার্যক্রম পরিচালনা করে। বাণিজ্যিক ব্যাংককে স্বল্পমেয়াদি ঋণের কারবারিও বলা হয়।

 প্রশ্ন-১১. বাণিজ্যিক ব্যাংক কীভাবে তার মূল উদ্দেশ্য সাধন করে?

উত্তর: বাণিজ্যিক ব্যাংকের মূল উদ্দেশ্য মুনাফা অর্জন করা। বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাজ করতে গিয়ে ব্যাংক অর্থ আমানতকারীদেরকে। ছয় হারে সুদ দেয় এবং ঋণ গ্রহীতাদের কাছ থেকে উচ্চহারে সুদ আদায় করে। এ দুয়ের ব্যবধানই ব্যাংকের মুনাফা। ব্যাংক আমানত গ্রহণ ও ঋণ প্রদানের মধ্য দিয়ে তার মূল উদ্দেশ্য সাধন করে।

প্রশ্ন-১২.স্থায়ী আমানত বলতে কী বোঝায়?

উত্তর: যে আমানতের অর্থ একটি নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত তোলা যায় না তাকে স্থায়ী আমানত বলে ।
স্থায়ী আমানত নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য করা হয়। যেমন- ৩ মাস, ৬ মাস, ১ বছর, ৩ বছর, ৫ বছর ১০ বছর ইত্যাদি। ব্যাংক এ ধরনের আমানতের ওপর বেশি হারে সুদ প্রদান করে থাকে। এ আমানতের অর্থ মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেও তোলা যায়। তবে এক্ষেত্রে কিছু শর্ত প্রযোজ্য থাকে। 

প্রশ্ন-১৩.বাণিজ্যিক ব্যাংক কীভাবে ঋণ এবং আমানত সৃষ্টি করে?

উত্তর: বাণিজ্যিক ব্যাংক বিভিন্ন হিসাবের মাধ্যমে জনগণের সজ্জিত অর্থ আদালত হিসেবে সংগ্রহ করে।
এ আমানতের কিছু অংশ গ্রাহকের দৈনন্দিন চাহিদা মেটানোর জন্য হাতে রেসে বাকি অর্থ গ্রাহককে ঋণ দেয়। ব্যাংক গ্রাহককে সরাসরি ঋণ না দিয়ে গ্রাহকের হিসাবে ঋণের টাকা জমা করে দেয়। এভাবেই বাণিজ্যিক ব্যাংক ক্ষণ ও আমানত সৃষ্টি করে।

প্রশ্ন-১৪.কীভাবে বাণিজ্যিক ব্যাংক মুনাফা অর্জন করে?

উত্তর: যে ব্যাংক মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যে পরিচালিত হয় তা-ই হলো ৰাণিজ্যিক ব্যাংক। বাণিজ্যিক ব্যাংক জনসাধারণের কাছ থেকে তাদের সঞ্চয় বা উদ্বৃত্ত অর্থ আমানত হিসেবে গ্রহণ করে পাশাপাশি ব্যবসায়ী, শিল্পপতি ও উদ্যোক্তাদের স্বল্পমেয়াদি ঋণ প্রদান করে মুনাফা অর্জনই বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান উদ্দেশ্য।

প্রশ্ন-১৫.চলতি হিসাব খোলার সুবিধা বর্ণনা করো।

উত্তর: চলতি হিসাব খোলার সুবিধা হচ্ছে, যেকোনো সময় টাকা তোলা
যায়।এমনকি একই দিনে ইচ্ছা করলে যতবার প্রয়োজন টাকা তোলা যায়।
সঞ্জয়ী কিংবা স্থায়ী হিসাবের ক্ষেত্রে এরূপ সুবিধা নেই। ব্যবসায়ীরা এ হিসাব বেশি খুলে থাকে। বড় অংকের ব্যাংক ঋণ পেতে হলে ঋণের শর্ত পূরণের জন্য এরূপ হিসাব খোলা আবশ্যক হয়ে পড়ে।

প্রশ্ন-১৬.চলতি হিসাব বলতে কী বোঝায়? 

উত্তর: যে আমানত থেকে যেকোনো সময় অর্থ উঠানো যায় তাকে চলতি হিসাব বলে।
কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যখন মনে করেন যে, তার জমাকৃত অর্থ যে কোনো সময় উত্তোলনের প্রয়োজন হতে পারে তখন তারা ব্যাংকে যে আমানত করে সেটাই চলতি হিসাব। এই হিসাবের ক্ষেত্রে আমানতকারী যে কোনো সময় আমানতের অর্থ উত্তোলন করতে পারে। ফলে এ ধরনের আমানত নগদ অর্থের গুণসম্পন্ন। চলতি হিসাবের জন্য ব্যাংক কোনো সুদ দেয় না ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক

প্রশ্ন-১৭. কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সর্বশেষ ঋণদাতা বলা হয় কেন?

 উত্তর: কেন্দ্রীয় ব্যাংক অন্যান্য ব্যাংকের ঋণ লাভের শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে কাজ করে।
দেশে ব্যবসায়রত ব্যাংকগুলো কখনো আর্থিক সংকটের সম্মুখীন হয়ে অন্য কোনো উৎস থেকে ঋণ সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শরণাপন্ন হয়। তখন এ ব্যাংক প্রথম শ্রেণির বিনিময় বিল পুনঃবাট্টা করে কিংবা স্বল্পমেয়াদি ঋণপত্র জমা রেখে ব্যাংকগুলোকে ঋণ প্রদান করে এজন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সর্বশেষ ঋণদাতা বলা হয়।

প্রশ্ন-১৮. কোন ব্যাংক কীভাবে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করে? ব্যাখ্যা করো। 

উত্তর: কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করে।কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করে। অতিরিক্ত ঋণ দামস্তর এবং অর্থের মূল্যের ওপর প্রভাব বিস্তার করে। ঋণের আধিক্যের জন্য মুদ্রাস্ফীতি হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশে অর্থ s ঋণের পরিমাণ কমাতে পারে। এর ফলে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে যায় এবং মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রিত হয়।

প্রশ্ন-১৯."নিকাশঘর' বলতে কী বোঝায়? 

উত্তর: নিকাশঘর হলো এমন একটি স্থান বা প্রতিষ্ঠান, যেখানে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক বিভিন্ন ব্যাংকের দেনা-পাওনা নিষ্পত্তি করা হয়।বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ বিভিন্ন চেক, ড্রাফট, হুন্ডি প্রভৃতি ভাঙানোর মাধ্যমে একে অন্যের কাছে পাওনাদার বা দেনাদার হয়। তখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ লেনদেনের 'নিকাশঘর' হিসেবে পারস্পরিক দেনা-পাওনার হিসাব পরিশোধ করে।

প্রশ্ন-২০.মানবসম্পদ উন্নয়নে গ্রামীণ ব্যাংক কীভাবে কাজ করে?

উত্তর: মানবসম্পদ উন্নয়নে গ্রামীণ ব্যাংক বন্ধুমুখী কার্যক্রম সম্পাদন করে থাকে।
দেশের অবহেলিত জনসাধারণকে শিল্পখাতে সম্পৃক্ত করে মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য গ্রামীণ ব্যাংক ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে ঋণ প্রদানসহ উপকরণ সরবরাহ ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করে। এছাড়াও বেকার জনগোষ্ঠীকে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর আওতায় সংঘবদ্ধ করে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে। এ ব্যাংক ভিক্ষুকদের সুদবিহীন ঋণ প্রদান করে আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ প্রদান করে। নারীদের কর্মে উদ্বুত্তকরণ ও নেতৃত্বের গুণাবলি বিকাশে গ্রামীণ ব্যাংক নানাভাবে সহায়তা করে।


   

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনেট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url