সৌরজগৎ ও ভূমণ্ডল সাজেশন
১০০% কমন সাজেশন
আমাদের ওয়েবসাইট “অর্ডিনেট আইটি.কম” ও চ্যানেল ”অর্ডিনেট ক্লাসরুম ”আপনাদের স্বাগতম ।
আমরা একটি ভিন্ন প্রজন্মের স্বপ্ন দেখি। আমরা অধিক চিন্তাশীল প্রজন্ম গড়তে চাই, আলাদা মানুষ যাদের আগে চিন্তা করার অভ্যাস থাকবে। আমরা মানুষ কেন? কারণ আমরা চিন্তা করি, এবং সেই চিন্তাকে মুক্তচিন্তা হতে হবে। আর মুখস্থ করে আর যা ই হোক, বিজ্ঞান শিক্ষা হতে পারে না। আর সেই প্রচেষ্টারই অংশ হল আমাদের কনটেন্ট ও ভিডিও লেকচার। এই কনটেন্ট ও ভিডিওগুলির উদ্দেশ্য হল প্রতিটি বিষয় এমনভাবে শেখানোর চেষ্টা করা যাতে আপনি বইয়ের বাইরেও অনেক কিছু ভাবতে পারেন। আর আপনি যখন চিন্তাশীল মানুষ হবেন, তখন আপনি নিজেই বুঝবেন এই দেশকে আলাদা করতে আমাদের কী করতে হবে, কতদূর যেতে হবে।
MCQ টপ টিপস
- ৪৫° পশ্চিম দ্রাঘিমার প্রতিপাদ স্থান – ১৩৫° পূর্ব [ঢাকা বোর্ড 2024]
- ২৩.৫° উত্তর অক্ষাংশকে বলে কর্কটক্রান্তি [ঢাকা বোর্ড ২০২৪]
- বাংলাদেশ অবস্থিত - ২০° ৩৪'- ২৬°৩৮' ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশে [রাজশাহী বোর্ড]
- পৃথিবীর নিকটতম গ্রহ - শুক্র [রাজশাহী বোর্ড ২০২৪]
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
১. সৌরজগতের প্রাণকেন্দ্র কী?
[য.বো, ২৩]উত্তর: সৌরজগতের প্রাণকেন্দ্র হলো সূর্য।
২. গ্রহ কাকে বলে?
[সি, বো, ২৪, ২০: ]উত্তর: মহাকর্ষ বলের প্রভাবে কতগুলো জ্যোতিষ্ক সূর্যের চারদিকে নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট কক্ষপথে পরিক্রমণ করছে। এদেরকে গ্রহ বলে।
৩. সৌর কলঙ্ক কী?
[ঢা, বো, ২৪; দি, বো, ২০; ব, বো, ২০; চ. বো. ১৯; সি, বো, ১৯]উত্তর: সূর্যের মধ্যে মাঝে মাঝে যে কালো দাগ দেখা যায় তাকে সৌর কলঙ্ক বলে।
৪. প্রতিপাদ স্থান কী?
[ঢা বো. ২০; চ বো. ১৭; রা. বো. ১৭]উত্তর: ভূপৃষ্ঠের ওপর অবস্থিত কোনো বিন্দুর বিপরীত বিন্দুকে সেই বিন্দুর প্রতিপাদ স্থান বলে।
৫.গ্রহাণুপুঞ্জ কাকে বলে?
৬. সূর্য থেকে শুক্র গ্রহের দূরত্ব কত?
উত্তর: ১০.৮ কোটি কিলোমিটার।৭. সৌরজগতের সর্ববৃহৎ গ্রহ কোনটি?
উত্তর: সৌরজগতের সর্ববৃহৎ গ্রহ বৃহস্পতি।
৮. মূল মধ্যরেখা কাকে বলে?
উত্তর: যুক্তরাজ্যের লন্ডন শহরের উপকণ্ঠে গ্রিনিচ মানমন্দিরের উপর দিয়ে উত্তর মেরু ও দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত বিস্তৃত যে মধ্যরেখা অতিক্রম করেছে তাকে মূল মধ্যরেখা বলে।
৯. মেরু রেখা কাকে বলে?
উত্তর: পৃথিবীর কেন্দ্র দিয়ে উত্তর-দক্ষিণে কল্পিত রেখাকে অক্ষ মেরু রেখা বলে।
১০. সৌরদিন কাকে বলে?
উত্তর: পৃথিবীর একটি পূর্ণ আবর্তনের সময়কে সৌরদিন বলে।
১১. সর্বোচ্চ দ্রাঘিমা কত?
উত্তর: ১৮০।
১২. সৌরজগৎ কাকে বলে?
উত্তর: নক্ষত্র সূর্য এবং এর আওতায় থাকা গ্রহ, উপগ্রহ, গ্রহাণুপুঞ্জ, ধূমকেতু, উল্কা ইত্যাদি নিয়ে যে পরিবার তাকে বলা হয় সৌরজগৎ।
১৩.আহ্নিক গতি কাকে বলে?
[চ. বো, ২০; রা. বো. ১৯]উত্তর: পৃথিবী নিজ অক্ষ বা মেরুরেখায় পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে আবর্তন করে। পৃথিবীর এই গতিকে আহ্নিক গতি বলে।
১৪.অক্ষাংশ কী?
[রা, বা, ২০]উত্তর: নিরক্ষরেখা থেকে উত্তরে বা দক্ষিণে অবস্থিত কোনো স্থানের কৌণিক দূরত্বকে ঐ স্থানের অক্ষাংশ বলা হয়।
১৫.কেন্দ্রাতিগ শক্তি কাকে বলে?
[সকল বোর্ড ১৮]উত্তর: পৃথিবী তার নিজ অক্ষে দ্রুতবেগে ঘোরার কারণে এ গ্রহের কেন্দ্রের | বিপরীত দিকে যে শক্তির সৃষ্টি হয় তাকে কেন্দ্রতিগ শক্তি বলে
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন
- ১. আন্তর্জাতিক তারিখ রেখার প্রয়োজন হয় কেন? [ঢাকা বোর্ড ২০২৪, সিলেট বোর্ড ২০১৯]
- ২. উত্তর গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল ও দক্ষিণ গোলার্ধে শীতকাল হবার কারণ ব্যাখ্যা করো।[স.বো ২০১৮]
- ৩. দুই দেশের স্থানীয় সময়ের মধ্যে পার্থক্য কেন হয়? [ঢাকা বোর্ড ২০১৯]
- ৪. মঙ্গল গ্রহে প্রাণীর অস্তিত্ব থাকা সম্ভব নয় কেন? [দিনাজপুর বোর্ড ২০১৯]
- ৫. ওজোন স্তরের তাপমাত্রা অধিক হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করো। [সিলেট বোর্ড ২০২০]
- ৬. প্রতিপাদ স্থান বলতে কী বোঝায়? [বরিশাল বোর্ড ২০২০, ঢাকা বোর্ড ২০১৭]
- ৭. মঙ্গল গ্রহের রং লাল কেন? [কুমিল্লা বোর্ড ২০১৯]
- ৮. ভূ-অভ্যন্তরের একটি মণ্ডলকে সিমা বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা করো। [চট্টগ্রাম বোর্ড ২০১৯]
- ৯. জোয়ার-ভাটা কেন হয়? [ময়মনসিংহ বোর্ড ২০২০]
- ১০. স্থানীয় সময় বিভিন্ন জায়গায় ভিন্ন হয় কেন? [যশোর বোর্ড ২০১৯]
সম্ভাব্য সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ১ ভূত্বক বলতে কী বোঝ ?
উত্তর : পৃথিবী সৃষ্টি হওয়ার সময় বাষ্পীয় অবস্থায় ছিল। কোটি কোটি বছরের ঘূর্ণনের মধ্য দিয়ে তাপ বিকিরণ করতে করতে পৃথিবী শীতল ও ঘনীভূত হয়েছে। এভাবে পৃথিবীর উপরিভাগে কঠিন আবরণের সৃষ্টি হয়। এ কঠিন আবরণই ভূত্বক। পৃথিবীর উপরিভাগ কঠিন হলেও অভ্যন্তরভাগ উত্তপ্ত ও গলিত অবস্থায় রয়েছে। উত্তপ্ত পদার্থ শীতল হলে সংকুচিত হয়ে যায়। ক্রমাগত সংকুচিত হওয়ার ফলে উপরের পাতলা আবরণের উপরিভাগ কুচকে উঁচু-নিচু বিভিন্ন ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়েছে। ভূপৃষ্ঠের অবনমিত অংশে সাগর ও মহাসাগরের সৃষ্টি হয়েছে। আর ভূপৃষ্ঠের এ বহিরাবরণই ভূত্বক।
প্রশ্ন ২ গ্রহ কী? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : মহাকর্ষ বলের প্রভাবে মহাকাশে কতকগুলো জ্যোতিষ্ক সূর্যের চারদিকে নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট কক্ষপথে পরিক্রমণ করছে; এদের গ্রহ বলা হয়। যথা : বুধ (Murcury), শুক্র (Venus), পৃথিবী (Earth), মঙ্গল (Mars), বৃহস্পতি (Jupiter), শনি (Saturn), ইউরেনাস (Uranus), নেপচুন (Neptune)। গ্রহগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় গ্রহ হচ্ছে বৃহস্পতি এবং সবচেয়ে ছোট গ্রহ বুধ।
প্রশ্ন ৩ বৃহস্পতি গ্রহ সম্পর্কে বর্ণনা কর।
উত্তর : সৌরজগতের সর্ববৃহৎ গ্রহ বৃহস্পতি। সূর্য থেকে বৃহস্পতি গ্রহের অবস্থান পঞ্চম স্থানে। এর আয়তন পৃথিবীর প্রায় ১,৩০০ গুণ। এর ব্যাস ১,৪২,৮০০ কিলোমিটার। এটি সূর্য থেকে প্রায় ৭৭.৮ কোটি কিলোমিটার দূরে। বৃহস্পতি ১২ বছরে একবার সূর্যকে এবং ৯ ঘণ্টা ৫৩ মিনিটে নিজ অক্ষে একবার আবর্তন করে। এই গ্রহটিতে পৃথিবীর একদিনে দু'বার সূর্য ওঠে ও দু'বার অন্ত যায়।
প্রশ্ন ৪ জোয়ার-ভাটার ব্যবধান ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : চন্দ্র নিজ কক্ষপথে ২৭ দিনে পৃথিবীকে একবার প্রদক্ষিণ করে। ফলে পৃথিবীর একবার আবর্তনকালে অর্থাৎ প্রায় ২৪ ঘণ্টায় চন্দ্র (৩৬০ × ২৭) বা ১৩° পথ অতিক্রম করে। পৃথিবী ও চন্দ্র উভয়ই যেহেতু পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে ঘুরছে তাই পৃথিবী উক্ত ১৩° পথ আরও (১৩ × ৪) = ৫২ মিনিটে অগ্রসর হয়। তাই কোনো নির্দিষ্ট স্থানে নির্দিষ্ট একটি সময়ে মুখ্য জোয়ার হওয়ার ১২ ঘণ্টা ২৬ মিনিট পরে সেখানে গৌণ জোয়ার হয় এবং মুখ্য জোয়ারের ২৪ ঘণ্টা ৫২ মিনিট পর সেখানে আবার মুখ্য জোয়ার হয়। তাই প্রত্যেক স্থানে জোয়ারের ৬ ঘণ্টা ১৩ মিনিট পরে ভাটা হয়ে থাকে।
প্রশ্ন ৫ ইউরেনাস গ্রহ সম্পর্কে কী জান লেখ।
উত্তর : ইউরেনাস তৃতীয় বৃহত্তম গ্রহ। সূর্য থেকে এর দূরত্ব ২৮৭ কোটি কিলোমিটার। ৮৪ বছরে এটি সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করে। এর গড় ব্যাস প্রায় ৪৯,০০০ কিলোমিটার। এর আয়তন পৃথিবীর প্রায় ৬৪ গুণ, ওজন পৃথিবীর মাত্র ১৫ গুণ। গ্রহটির আবহমণ্ডলে মিথেন গ্যাসের পরিমাণ অধিক। এর ৫টি উপগ্রহ রয়েছে। ইউরেনাসেরও শনির মতো বলয় আবিষ্কৃত হয়েছে। মিরিন্ডা, এরিয়েল, ওবেরন, আম্ব্রিয়েল, টাইটানিয়া প্রভৃতি ইউরেনাসের উপগ্রহ।

অর্ডিনেট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url