বৃষ্টি সাজেশন
বৃষ্টি
ফররুখ আহমদ
বাংলা ১ম পত্র
আমাদের ওয়েবসাইট “অর্ডিনেট আইটি.কম” ও চ্যানেল ”অর্ডিনেট ক্লাসরুম ”আপনাদের স্বাগতম ।
আমরা একটি ভিন্ন প্রজন্মের স্বপ্ন দেখি। আমরা অধিক চিন্তাশীল প্রজন্ম গড়তে চাই, আলাদা মানুষ যাদের আগে চিন্তা করার অভ্যাস থাকবে। আমরা মানুষ কেন? কারণ আমরা চিন্তা করি, এবং সেই চিন্তাকে মুক্তচিন্তা হতে হবে। আর মুখস্থ করে আর যা ই হোক, বিজ্ঞান শিক্ষা হতে পারে না। আর সেই প্রচেষ্টারই অংশ হল আমাদের কনটেন্ট ও ভিডিও লেকচার। এই কনটেন্ট ও ভিডিওগুলির উদ্দেশ্য হল প্রতিটি বিষয় এমনভাবে শেখানোর চেষ্টা করা যাতে আপনি বইয়ের বাইরেও অনেক কিছু ভাবতে পারেন। আর আপনি যখন চিন্তাশীল মানুষ হবেন, তখন আপনি নিজেই বুঝবেন এই দেশকে আলাদা করতে আমাদের কী করতে হবে, কতদূর যেতে হবে।
MCQ টপ টিপস
- ‘বর্ষণমুখর দিনে অরণ্যের কেয়া শিহরায় - দিকদিগন্তের পথে অপূর্ব আভা দেখে।
- বন্যা পূর্ণ প্রাণের জোয়ার আনে - নদীর ফাটলে।
- বিদগ্ধ আকাশ, মাঠ কীসে ঢেকে গেল - কাজল ছায়ায়।
- ‘বৃষ্টি’ কবিতায় মুগুণ বৃদ্ধ ভিখারির রগ ওঠা হাতের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে- রুক্ষ মাঠ।
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন-১. ‘বৃষ্টি’ কবিতায় ‘সওয়ার’ শব্দটি কোন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?
উত্তর: আরোহী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
প্রশ্ন-২. ‘বৃষ্টি' কবিতায় কোথায় বৃষ্টি এসেছে?
উত্তর: বৃষ্টি এসেছে পদ্মা-মেঘনার দুপাশে আবাদি গ্রামে।
প্রশ্ন-৩. ‘বৃষ্টি’ কবিতায় রুক্ষ মাঠ কীসের সুর শোনে?
উত্তর: ‘বৃষ্টি’ কবিতায় রুক্ষ মাঠ বর্ষণের সুর শোনে।
প্রশ্ন-৪. ‘বৃষ্টি’ কবিতায় নদীর ফাটলে কখন পূর্ণ প্রাণের জোয়ার আসে?
উত্তর: নদীর ফাটলে বন্যা এলে পূর্ণ প্রাণের জোয়ার আসে।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন
- 1. বৃষ্টিকে ‘বহু প্রতীক্ষিত' বলা হয়েছে কেন?
- 2. ‘বৃষ্টি কবিতায় ‘বিষণ্ণ মেদুর' বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
বহুনির্বাচনি
1.‘বর্ষণমুখর দিনে অরণ্যের কেয়া শিহরায় কেন?
(ক) দিকদিগন্তের পথে অপূর্ব আভা দেখে
(খ) নদীর ফাটলে বন্যা আনে বলে
(গ) ভূষিত বনের সাথে জেগে ওঠে বলে
(ঘ) রুক্ষ মাঠে বর্ষণের সুর শোনা যায় বলে
উত্তর:(ক) দিকদিগন্তের পথে অপূর্ব আভা দেখে
2.বন্যা কোথায় পূর্ণ প্রাণের জোয়ার আনে?
(ক) আবাদি গ্রামে
(খ) নদীর ফাটলে
(গ) মেঘে
(ঘ) বর্ষায়
উত্তর:(খ) নদীর ফাটলে
3.বিদগ্ধ আকাশ, মাঠ কীসে ঢেকে গেল?
(ক) কাজল ছায়ায়
(খ) বিষণ্ণ মেঘে
(গ) রুক্ষ মাঠে
(ঘ) কোমল ছায়ায়
উত্তর:(ক) কাজল ছায়ায়
4.রুক্ষ মাঠ আকাশ কীসের সুর শোনে?
(ক) বোধন বাঁশির
(খ) বর্ষণের
(গ) কোকিলের
(ঘ) বাউলের
উত্তর:(খ) বর্ষণের
৫.বিদ্যুৎকে কার সাথে তুলনা করেছেন কবি?
(ক) কন্যা
(খ) পরি
(গ) বৃষ্টি
(ঘ) আলো
উত্তর:(খ) পরি
৬.নদীর ফাটলে পূর্ণ প্রাণের জোয়ার কে আনে?
(ক) মেঘ
(গ) বৃষ্টি
(খ) বন্যা
(ঘ) বর্ষা
উত্তর:
7.রৌদ্রদগ্ধ ধানখেত কার স্পর্শ পেতে চায়?
(ক) হাওয়ার
(গ) বৃষ্টির
(খ) পরির
(ঘ) ছায়ার
উত্তর:
৮. বর্ষণমুখর দিনে ভূষিত বনে কী জেগে উঠেছে?
(ক) বিষণ্ণ মেদুর হয়ে
(খ) বিদগ্ধ আকাশ দেখে
(গ) পুবের হাওয়ায় ভেসে
(ঘ) বর্ষণের সুর শুনে
উত্তর:
9.‘বৃষ্টি” কবিতায় মুগুণ বৃদ্ধ ভিখারির রগ ওঠা হাতের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে-
(ক) আবাদি গ্রাম
(গ) রুক্ষ মাঠ
(খ) বিদগ্ধ আকাশ
(ঘ) বিষণ্ন মেদুর
উত্তর:
১০. ‘বৃষ্টি’ কবিতায় ভূষিত বনের সাথে কী জেগে ওঠার কথা বলা হয়েছে?
(ক) রৌদ্র-দগ্ধ ধানখেত
(খ) বিদগ্ধ আকাশ
(গ) তৃষাতপ্ত মন
(ঘ) রুক্ষ মাঠ
উত্তর:
১১. ‘বৃষ্টি” কবিতায় কোন নদীর উল্লেখ রয়েছে?
(ক) সুরমা
(খ) বুড়িগঙ্গা
(গ) পদ্মা
(ঘ) যমুনা
উত্তর:
১২.‘বৃষ্টি’ কবিতায় বর্ষায় সর্বত্র মোহিত হয় কীসের মাধ্যমে?
(ক) ফুল ফোটার মাধ্যমে
(খ) মেঘের গর্জনে
(গ) পুবের হাওয়ায়
(ঘ) বন্যার ভাসানোতে
উত্তর:(ক) ফুল ফোটার মাধ্যমে
১৩. নদীর ফাটলে বন্যা কী আনে?
(ক) প্লাবন
(খ) জীবন ও ফসলের ক্ষতি
(গ) অলোচ্ছ্বাস
(ঘ) প্রাণের জোয়ার
উত্তর:(ঘ) প্রাণের জোয়ার
১৪. বিদগ্ধ আকাশ কীরূপ ছায়ায় ঢেকে গেল বলে কবির ধারণা?
(ক) গাঢ়
(খ) কাজল
(গ) কোমল
(ঘ) মেঘাচ্ছন্ন
উত্তর:(খ) কাজল
১৫. বর্ষণমুখর দিনে মানবমনে কী জাগে?
(ক) আনন্দ
(খ) বেদনা
(গ) স্মৃতি
(ঘ) স্বপ্ন
উত্তর:(গ) স্মৃতি
১৬. নিঃসঙ্গ জীবনে বৃষ্টি কী বাড়ায়?
(ক) বিরহ
(খ) বিরক্তি
(গ) সবুজ
(ঘ) স্মৃতি
উত্তর:(খ) বিরক্তি
সম্ভাব্য সৃজনশীল রচনামূলক প্রশ্নের ধরন
প্রশ্ন ১ কেউবা রঙিন কাঁথায় মেলিয়া বুকের স্বপনখানি, তারে ভাষা
দেয় দীঘল সুতায় মায়াবী আখর টানি। আজিকে বাহিরে শুধু ক্রন্দন ছলছল জলধারে
বেণু-বনে বায়ু নীড়ে এলোকেশ, মন যেন চায় কারে।
গ. উদ্দীপকের শেষ পঙ্ক্তিটির সঙ্গে বৃষ্টি কবিতার মিল কতটুকু তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘উদ্দীপকটি ‘বৃষ্টি’ কবিতার একটা বিশেষ ভাব প্রকাশ করে মাত্র, সমগ্র ভাব নয়' –তোমার উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও।
সৃজনশীল রচনামূলক ও অনুধাবনমূলক প্রশ্নের জন্য যা জানতে হবে
‘বৃষ্টি' কবিতাটি কৃষিপ্রধান বাংলার বহুপ্রতীক্ষিত বৃষ্টি নিয়ে লিখিত। প্রকৃতিতে বর্ষা আসে প্রাণস্পন্দন নিয়ে। আর বৃষ্টিই বর্ষার প্রাণ। এ সময় নদীর দু-ধারে প্লাবন দেখা দেয়, ফলে পলিমাটির গৌরবে ফসল ভালো হয়।বৃষ্টির সময় আকাশের সর্বত্র মেঘের খেলা দেখা যায়, বর্ষার ফুল ফুটে সর্বত্র মোহিত হয়, রুক্ষ মাটি বৃষ্টিতে প্রাণ জুড়ায়। বৃষ্টির দিনে সংবেদনশীল মানুষও রসসিক্ত হয়ে ওঠে। তার মনে পড়ে সুখময় অতীত, পুরনো স্মৃতি, আর সে ভালোলাগার আলপনা আঁকে মনে মনে।
এ বৃষ্টি কখনো বিষণ্ণও করে মন, একাকী জীবনে বাড়ায় বিরহ। সুতরাং বৃষ্টি শুধু প্রাকৃতিক ঘটনা বা প্রাকৃতিক পালাবদলের নিয়ামক নয়, এর সঙ্গে ব্যক্তির জীবনও কতটা সম্পৃক্ত তারই কাব্যরূপটি কবিতায় ফুটে উঠেছে।
অর্ডিনেট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url