বল সাজেশন

 অধ্যায় ৩ বল

১০০% কমন সাজেশন

আমাদের  ওয়েবসাইট “অর্ডিনেট আইটি.কম” ও  চ্যানেল ”অর্ডিনেট ক্লাসরুম  ”আপনাদের  স্বাগতম । 
আমরা একটি ভিন্ন প্রজন্মের স্বপ্ন দেখি। আমরা অধিক চিন্তাশীল প্রজন্ম গড়তে চাই, আলাদা মানুষ যাদের আগে চিন্তা করার অভ্যাস থাকবে। আমরা মানুষ কেন? কারণ আমরা চিন্তা করি, এবং সেই চিন্তাকে মুক্তচিন্তা হতে হবে। আর মুখস্থ করে আর যা ই হোক, বিজ্ঞান শিক্ষা হতে পারে না। আর সেই প্রচেষ্টারই অংশ হল আমাদের কনটেন্ট ও ভিডিও লেকচার। এই কনটেন্ট ও  ভিডিওগুলির উদ্দেশ্য হল প্রতিটি বিষয় এমনভাবে শেখানোর চেষ্টা করা যাতে আপনি বইয়ের বাইরেও অনেক কিছু ভাবতে পারেন। আর আপনি যখন চিন্তাশীল মানুষ হবেন, তখন আপনি নিজেই বুঝবেন এই দেশকে আলাদা করতে আমাদের কী করতে হবে, কতদূর যেতে হবে।



MCQ টপ টিপস

  •  ঢালু তলের সাথে গতিঘর্ষণ সহগের মান বৃদ্ধি পায় – একটি বস্তুকে 30° কোণে ছেড়ে দিলে 
  •  1500 kg ভরের একটি গাড়ি 72 kmh^-1 বেগে গতিশীল হলে এর ভরবেগ হবে - 3 x 10^4 kg ms-1 
  •  রকেটের গতি – ভরবেগের সংরক্ষণের সূত্র 
  • বলের সংজ্ঞা পাওয়া যায় - নিউটনের প্রথম গতিসূত্র থেকে
  •  সবল নিউক্লিয় বল কাজ করে 10^-15

জ্ঞানমূলক গ্রন্থ  ও উত্তর

১. প্রবাহী ধর্ষণ কী? 

উত্তর: যখন কোনো বস্তু তরল বা বায়বীয় পদার্থ এর ভেতর দিয়ে যায়। তখন এর গতির বিপরীতে যে ঘর্ষণ বল অনুভূত হয়, তাকে প্রবাহী ঘর্ষণ বলে।

২. জড়তা কাকে বলে? 

উত্তর: বস্তু যে অবস্থায় আছে চিরকাল সে অবস্থা বজায় রাখতে চাওয়ার যে প্রবণতা বা সে অবস্থা বজায় রাখতে চাওয়ার যে ধর্ম তাকে জড়তা বলে।

৩. ঘর্ষণ কাকে বলে? 

উত্তর:একটি বস্তু যখন অন্য একটি বস্তুর সংস্পর্শে থেকে একের উপর দিয়ে অপরটি চলতে চেষ্টা করে বা চলতে থাকে তখন বস্তুদ্বয়ের স্পর্শতলে গতির বিরুদ্ধে একটি বাধার উৎপত্তি হয়, এ বাধাকে ঘর্ষণ বলে ।

৪. সাম্য বল কাকে বলে? 

উত্তর: যে সব বলের কারণে সাম্যাবস্থা সৃষ্টি হয় তাদেরকে সাম্যবল বলে ।

 ৫. ভরবেগের সংরক্ষণ সূত্র কী? 

 উত্তর: ভরবেগের সংরক্ষণ সূত্র: “যখন কোনো ব্যবস্থার উপর প্রযুক্ত নিট বাহ্যিকবল শূন্য হয়, তখন ব্যবস্থাটির মোট ভরবেগ সংরক্ষিত থাকে।” 

৬. নিউটনের গতির দ্বিতীয় সূত্রটি বিবৃত করো।

উত্তর: "কোনো বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তনের হার বস্তুর উপর প্রযুক্ত বলের সমানুপাতিক এবং বল যেদিকে ক্রিয়া করে বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তনও সেদিকে ঘটে

৭. মহাকর্ষ বল কী?

উত্তর: মহাবিশ্বের যে কোনো দুটি বস্তুর মধ্যকার পারস্পরিক | আকর্ষণ বলকে মহাকর্ষ বল বলে।

৮. ওজনহীনতা কী? 

উত্তর: কোনো বস্তুর উপর পৃথিবীর আকর্ষণ বল না থাকা অথবা থাকলেও প্রয়োজনীয় প্রতিক্রিয়ার অভাবে তা অনুভূত না হওয়াকে ওজনহীনতা বলে।

৯. বলের সংজ্ঞা দাও । 

উত্তর: যার প্রয়োগের কারণে স্থির বস্তু চলতে শুরু করে আর সমবেগে চলতে থাকা বস্তুর বেগের পরিবর্তন হয় সেটাই হচ্ছে বল ।

১০.স্পর্শ বল কাকে বলে? 

 উত্তর: যে বল সৃষ্টির জন্য দুইটি বস্তুর প্রত্যক্ষ সংস্পর্শের প্রয়োজন হয় তাকে স্পর্শ বল বলে।

১১. স্থিতি ঘর্ষণ কী? 

উত্তর:দুটো বস্তু একে অন্যের সাপেক্ষে স্থির থাকা অবস্থায় যে ঘর্ষণ বল থাকে,সেটা হচ্ছে স্থিতি ঘর্ষণ বল ।

১২. তাড়িত চৌম্বক বল কী? 

উত্তর: পরস্পরের সাপেক্ষে স্থির বা গতিশীল দুটি তড়িৎ চার্জ, অথবা চুম্বকের দুই মেরু অথবা একটি চুম্বক এবং একটি গতিশীল তড়িৎ চার্জের মধ্যে ক্রিয়াশীল অস্পর্শ বলই তড়িত চৌম্বক বল ।

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন

  • ১. দুটি বস্তুকে একই বল প্রয়োগ করলে বেগ সমান হয় না –ব্যাখ্যা করো। 
  • ২. বৈদ্যুতিক পাখার সুইচ বন্ধ করার সাথে সাথে থেমে যায় না কেন— ব্যাখ্যা কর।
  • ৩. সাম্য ও অসাম্য বলের মধ্যে দুটি পার্থক্য লিখ। 
  • ৪. দেখাও যে, বলের ঘাত ভরবেগের পরিবর্তনের সমান। 
  • ৫. প্যাচযুক্ত পানির কল যা ঘুরিয়ে খুলতে হয়, সাবানযুক্ত ভেজা হাতে তা খোলা কষ্টকর কেন? 
  • ৬. 50 N বল বলতে কী বুঝ?
  • ৭. কর্দমাক্ত রাস্তায় হাঁটা কষ্টকর কেন? ব্যাখ্যা করো। 
  • ৮. একটি মাইক্রোবাস ও একটি ট্রাকের মধ্যে কোনটির জড়তা বেশি এবং কেন?
  • ৯. রাস্তার মসৃণতায় ঘর্ষণের ভূমিকা ব্যাখ্যা কর।
  • ১০. দেয়ালে পেরেক ঢুকালে আটকে থাকে কেন? ব্যাখ্যা কর। 

সম্ভাব্য সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ১ থেমে থাকা বাস হঠাৎ চলতে শুরু করলে বাসযাত্রী পেছনের দিকে হেলে পড়েন কেন?

উত্তর : থেমে থাকা বাস হঠাৎ চলতে শুরু করলে বাসযাত্রী পেছনের দিকে হেলে পড়েন স্থিতি জড়তার জন্য।বাস যখন থেমে থাকে তখন যাত্রীর শরীরও স্থির থাকে। কিন্তু বাস হঠাৎ চলতে শুরু করলে যাত্রীর শরীরের বাস সংলগ্ন অংশ গতিশীল হয়। কিন্তু শরীরের উপরের অংশ স্থিতি জড়তার জন্য স্থির থাকতে চায়। তাই শরীরের নিচের অংশ থেকে উপরের অংশ পিছিয়ে পড়ে। ফলে যাত্রী পেছনের দিকে হেলে পড়ে।

প্রশ্ন ২ চলন্ত বাস হঠাৎ ব্রেক করলে যাত্রীরা সামনের দিকে ঝুঁকে পড়েন কেন?

উত্তর : চলন্ত বাস হঠাৎ ব্রেক করলে যাত্রীরা সামনের দিকে ঝুঁকে পড়েন গতি জড়তার জন্য ।চলন্ত অবস্থায় বাসের সাথে যাত্রীরাও একই গতি প্রাপ্ত হয়। কিন্তু বাস হঠাৎ থেমে গেলে বাসের সাথে সাথে যাত্রীর শরীরের নিচের অংশ স্থির হয়। কিন্তু শরীরের উপরের অংশ গতি জড়তার জন্য সামনের দিকে এগিয়ে যায়। ফলে যাত্রীরা সামনের দিকে ঝুঁকে পড়ে।

প্রশ্ন ৩ প্রযুক্ত বল কোনো গতিশীল বস্তুর বেগের তথা গতির দিক পরিবর্তন করতে পারে— ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : ক্রিকেট খেলায় একজন খেলোয়াড় বিপরীত দিক থেকে আগত ক্রিকেট বলকে ব্যাট দ্বারা আঘাত করেন। ব্যাট দ্বারা আঘাতের ফলে বলটির বেগের মান ও দিক উভয়েই পরিবর্তিত হয়। যেদিক থেকে বলটি আসছিল ব্যাট দ্বারা আঘাতের ফলে এটি অন্য কোনো দিকে গতিশীল হয়। এক্ষেত্রেও ত্বরণ রয়েছে।

প্রশ্ন ৪ বল কীভাবে বস্তুর আকারের ওপর প্রভাব ফেলে বর্ণনা কর।

উত্তর : বলের ক্রিয়ায় অনেক সময় বস্তুতে গভির সৃষ্টি না হয়ে এর আকারের পরিবর্তন হয়। একটি খালি প্লাস্টিকের পানির বোতল চেপে ধরলে বোতলের আকারের পরিবর্তন হয়। আবার যখন কোনো রাবার ব্যান্ডকে টেনে প্রসারিত করা হয় তখন এটি সরু হয়ে যায়। অর্থাৎ এর আকারের পরিবর্তন হয়। কখনো কখনো বলের ক্রিয়ায় বস্তুর এই আকার পরিবর্তন ক্ষণস্থায়ী হয়। 

আবার কখনো বল প্রয়োগের ফলে স্থায়ীভাবে বস্তুর আকারের পরিবর্তন সংঘটিত হয়। উদাহরণ হিসেবে দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া ধাতব ক্যান অথবা দুর্ঘটনার পরে কোনো গাড়ির ক্ষেত্রে এ ধরনের পরিবর্তন ঘটে।

প্রশ্ন ৫ ক্রিয়া এবং প্রতিক্রিয়া সমান হওয়া সত্ত্বেও স্থির বস্তুতে কেন গতির সৃষ্টি হয়— ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : নিউটনের তৃতীয় সূত্রানুসারে ক্রিয়া এবং প্রতিক্রিয়া বল সমান ও বিপরীতমুখী। এদের লব্ধি শূন্য হতো যদি এরা একই বস্তুর উপর ক্রিয়া করত।কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া বল দুটি ভিন্ন বস্তুর উপর ক্রিয়া করে, অর্থাৎ একটি বস্তুর উপর একটিমাত্র বল ক্রিয়া করে।

 এক্ষেত্রে ওই বস্তুতে তৃতীয় কোনো বল প্রযুক্ত না হলে তাতে গতির পরিবর্তন তথা ত্বরণ সৃষ্টি হতে বাধ্য।

প্রশ্ন ৬ গাতির উপর ঘর্ষণের প্রভাব ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : কোনো বস্তুর গতির উপর ঘর্ষণের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। ঘর্ষণ হলো এক ধরনের বাধাদানকারী বল, যা বস্তুর গতিকে মহুর করে। ঘর্ষণ আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক সমস্যা সৃষ্টি করলেও চলাচল ও যানবাহন চালনার জন্য ঘর্ষণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।রাস্তা ও টায়ারের পৃষ্ঠ প্রয়োজনমতো অমসৃণ করা হয় যাতে গাড়ি সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে। গতি নিয়ন্ত্রণে যে ব্রেক ব্যবহার করা হয় তা ঘর্ষণের নীতির উপর কাজ করে।

প্রশ্ন ৭ প্রবাহী ঘর্ষণ বলতে কী বোঝ?

উত্তর : যখন কোনো তরল পদার্থ বা বায়বীয় পদার্থের গতিপথে কোনো স্থিরবস্তু রাখা হয় বা কোনো বস্তুকে তরল বা বায়বীয় পদার্থের মাঝ দিয়ে গতিশীল হতে হয় তখন উভয়ের মধ্যে ঘর্ষণ উৎপন্ন হয়।এ ধরনের ঘর্ষণকে প্রবাহী ঘর্ষণ বলে। সাধারণ জাহাজ পানিতে চলার সময়ে বা বৃষ্টির ফোঁটা বাতাসের মাঝ দিয়ে পড়ার সময়ে এই ধরনের ঘর্ষণের উৎপত্তি হয়।

প্রশ্ন ৮ ঘর্ষণের অপকারিতাসমূহ ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : অতিরিক্ত ঘর্ষণের কারণে যানবাহন সহজে চলতে পারে না। যন্ত্রপাতির গতিশীল অংশগুলোর মধ্যে ঘর্ষণের ফলে এরা ক্ষয়প্রাপ্ত হয় এবং ছিঁড়ে যায়। যেকোনো ধরনের যানবাহনকে অতিরিক্ত ঘর্ষণ অতিক্রম করতে অতিরিক্ত জ্বালানি খরচ করতে হয়। যার দরুন ঘর্ষণের ফলে জ্বালানির শক্তির অপচয় হয় যা প্রধানত তাপশক্তিরূপে আবির্ভূত হয়। ঘর্ষণের ফলে শুধু যে শক্তি তাপে পরিণত হয় তাই নয়।

 এর ফলে ইঞ্জিনের যন্ত্রাংশ অত্যধিক উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যার দরুন ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

এই অধ্যায়ের উপর আরো পড়ুন:বল সাজেশন


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনেট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url