আলোর প্রতিফলন সাজেশন

 অধ্যায় ৮ আলোর প্রতিফলন

১০০% কমন সাজেশন

আমাদের  ওয়েবসাইট “অর্ডিনেট আইটি.কম” ও  চ্যানেল ”অর্ডিনেট ক্লাসরুম  ”আপনাদের  স্বাগতম । 
আমরা একটি ভিন্ন প্রজন্মের স্বপ্ন দেখি। আমরা অধিক চিন্তাশীল প্রজন্ম গড়তে চাই, আলাদা মানুষ যাদের আগে চিন্তা করার অভ্যাস থাকবে। আমরা মানুষ কেন? কারণ আমরা চিন্তা করি, এবং সেই চিন্তাকে মুক্তচিন্তা হতে হবে। আর মুখস্থ করে আর যা ই হোক, বিজ্ঞান শিক্ষা হতে পারে না। আর সেই প্রচেষ্টারই অংশ হল আমাদের কনটেন্ট ও ভিডিও লেকচার। এই কনটেন্ট ও  ভিডিওগুলির উদ্দেশ্য হল প্রতিটি বিষয় এমনভাবে শেখানোর চেষ্টা করা যাতে আপনি বইয়ের বাইরেও অনেক কিছু ভাবতে পারেন। আর আপনি যখন চিন্তাশীল মানুষ হবেন, তখন আপনি নিজেই বুঝবেন এই দেশকে আলাদা করতে আমাদের কী করতে হবে, কতদূর যেতে হবে।



MCQ টপ টিপস

  • প্রধান অক্ষ ফোকাস তলের সাথে উৎপন্ন করে –90° কোণ 
  • উত্তল দর্পণে বিম্বের প্রকৃতি সর্বদা - অসদ ও সোজা 
  •  অবতল দর্পণের ফোকাসে একটি বস্তু স্থাপন করলে এর বিবর্ধন হবে –অত্যন্ত বিবর্ধিত 
  • দাঁতের ক্ষয় দেখার জন্য ব্যবহৃত হয় - অবতল দর্পণ

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

১. প্রতিফলনের সূত্র দুইটি লিখ। 

উত্তর: প্রথম সূত্র: আপতিত রশ্মি প্রতিফলিত রশ্মি এবং আপতন বিন্দুতে অংকিত অভিলম্ব একই সমতলে অবস্থান করে। দ্বিতীয় সূত্র: আপতন কোণ ও প্রতিসরণ কোণ পরস্পর সমান ।

২. আলোর প্রতিফলন কাকে বলে? 

উত্তর: আলোকরশ্মি যখন এক মাধ্যম দিয়ে চলতে চলতে অন্য এক মাধ্যমের কোনো তলে আপতিত হয় তখন দুই মাধ্যমের বিভেদতল হতে কিছু পরিমাণ আলো আবার প্রথম মাধ্যমে ফিরে আসে। এ ঘটনাকে আলোর প্রতিফলন বলে ।

৩.রূপার প্রলেপ দেয়া বলতে কী বোঝ? 

উত্তর: একটি মসৃণ তলে প্রতিফলক আস্তরণ দিয়ে দর্পণ প্রস্তুত করা হয়। এই আস্তরণ রূপার হলে তাকে রূপার প্রলেপ লাগানো বা সিলভারিং বলা হয়।

৪.দর্পণের মেরু কাকে বলে? 

উত্তর: গোলীয় দর্পণের প্রতিফলক পৃষ্ঠের মধ্যবিন্দুকে দর্পণের মেরু বলে।

৫. দর্পণ কী? 

উত্তর: যে মসৃণ তলে আলোর নিয়মিত প্রতিফলন ঘটে তাই দর্পণ।

৬. বাস্তব প্রতিবিম্ব কাকে বলে? 

উত্তর: কোনো বিন্দু হতে নিঃসৃত আলোক রশ্মিগুচ্ছ কোনো তলে প্রতিফলিত বা প্রতিসরিত হবার পর যদি দ্বিতীয় কোনো বিন্দুতে প্রকৃতপক্ষে মিলিত হয় তাহলে ঐ দ্বিতীয় বিন্দুটিকে প্রথম বিন্দুর | বাস্তব প্রতিবিম্ব বলে।

৭. রৈখিক বিবর্ধন বা বিবর্ধন কাকে বলে?

উত্তর: বিম্বের দৈর্ঘ্য ও লক্ষ্যবস্তুর দৈর্ঘ্যের অনুপাতকে রৈখিক বিবর্ধন বা বিবর্ধন বলে ।

৮. দন্ত চিকিৎসায় কোন ধরনের দর্পণ ব্যবহার করা হয়?

উত্তর: দন্ত চিকিৎসায় অবতল দর্পণ ব্যবহার করা হয়।

৯. পাহাড়ী রাস্তার বাঁকে কোন ধরনের দর্পণ ব্যবহার করা হয়? 

উত্তর: পাহাড়ি রাস্তার বাঁকে সমতল দর্পণ ব্যবহার করা হয়। 

১০. বক্রতার কেন্দ্র কাকে বলে?

উত্তর: গোলীয় দর্পণ যে গোলকের অংশবিশেষ সেই গোলকের কেন্দ্রকে বক্রতার কেন্দ্র বলে।

১১. ফোকাস দূরত্ব কাকে বলে? 

উত্তর: প্রধান অক্ষের সমান্তরাল একগুচ্ছ আলোক রশ্মি প্রতিফলন বা  প্রতিসরণের পর মেরু বা আলোক কেন্দ্র থেকে প্রধান অক্ষের উপর যত দূরে মিলিত হয় বা যত দূর থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হয়, তাকেই ফোকাস দূরত্ব বলে ।

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন

  • ১. বাস্তব প্রতিবিম্ব ও অবাস্তব প্রতিবিম্ব দুটির পার্থক্য লেখ ।
  • ২. ব্যাপ্ত প্রতিফলন ব্যাখ্যা কর। 
  • ৩. অন্ধকার ঘরে আমরা দেখতে পাইনা কেন ব্যাখ্যা করো। 
  • ৪. অবতল দর্পণ একটি অভিসারী দর্পণ কেন? ব্যাখ্যা কর। 
  • ৫. কোণের মান শূন্য হয় কেন? 
  • ৬. স্পর্শ ছাড়া দর্পণ চেনার উপায় কী?
  • ৭. রৈখিক বিবর্ধনের মান 1.25 বলতে কী বুঝ? 
  • ৮. দাঁতের চিকিৎসায় অবতল দর্পণ ব্যবহৃত হয় কেন? ব্যাখ্যা কর।
  • ১০. উত্তল দর্পণের সাহায্যে বাস্তব বিষ গঠন করা যায় না কেন? ব্যাখ্যা কর। 

সম্ভাব্য সংক্ষিপ্ত  প্রশ্ন ও উত্তর 

প্রশ্ন ১ আমরা কীভাবে দেখতে পাই- ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : দীপ্তিমান বস্তুসমূহ হতে আলো সরাসরি এসে আমাদের চোখে প্রবেশ করে বলে আমরা ঐ বস্তুসমূহ দেখতে পাই। অপর দিকে, দীপ্তিহীন বস্তুসমূহ দেখতে দীপ্তিমান বস্তু হতে নির্গত আলো এবং আলোর প্রতিফলন কাজে লাগে।

এক্ষেত্রে, দীপ্তিমান বস্তুসমূহ হতে গত আলো দীপ্তিহীন বস্তুসমূহের উপর আপতিত হয়ে প্রতিফলনের পর আমাদের চোখে প্রবেশ করে। সুতরাং যেকোনো বস্তু দেখতে আলোর ভূমিকা অনস্বীকার্য।

২ প্রতিফলনের সূত্রসমূহ লেখ।

উত্তর:  আলোর প্রতিফলনের সূত্রসমূহ হলো-

  • ১. “আপতিত রশ্মি, প্রতিফলিত রশ্মি এবং আপতন বিন্দুতে প্রতিফলকের উপর অঙ্কিত অভিলম্ব একই সমতলে অবস্থান করে। 
  • ২. “প্রতিফলন কোণ আপতন কোণের সমান হয়।”

3:দর্পণ কী উদ্দেশে ব্যবহৃত হয়? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : দর্পণ মূলত প্রতিবিম্ব দেখার কাজে ব্যবহৃত হয়। 

এক্ষেত্রে অভীষ্ট প্রতিবিম্বের আকারের উপর নির্ভর করে সমতল, অবতল বা উত্তল দর্পণ ব্যবহার করা হয়। বস্তুর আকারের সমান প্রতিবিম্ব দেখতে হলে সমতল দর্পণ, দম্ভ চিকিৎসায় বিবর্ধিত সোজা বিম্ব দেখতে অবতল দর্পণ এবং গাড়ি চালানোর সময় খর্বিত বিম্ব দেখার কাজে উত্তল দর্পণ ব্যবহৃত হয়।

4: গোলীয় দর্পণের পৃষ্ঠের আকৃতির উপর নির্ভর করে কীভাবে শ্রেণিবিভাগ করা হয়- ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : একটি কাচের ফাঁপা গোলকের খানিকটা অংশ কেটে নিয়ে যদি তার এক পৃষ্ঠে পারা লাগানো হয়, তবে গোলীয় দর্পণ তৈরি হয়। এক্ষেত্রে অবতল পৃষ্ঠে বা ভেতরের দিকে প্রবিষ্ট পৃষ্ঠে আলোর প্রতিফলন ঘটলে তাকে অবতল দর্পণ বলে। অপর দিকে স্ফীত পৃষ্ঠে হালের প্রতিফলন ঘটলে তাকে উত্তল দর্পণ বলে। 

সুতরাং পৃষ্ঠের আকৃতির উপর নির্ভর করে গোলীয় পর্পণ দু'প্রকার উত্তল ও অবতল।

5: সমতল দর্পণে গঠিত প্রতিবিম্বের বৈশিষ্ট্যগুলো লেখ। সমতল দর্পণে গঠিত প্রতিবিম্বের বৈশিষ্ট্যগুলো লেখ।

উত্তর : সমতল দর্পণ থেকে বস্তুর দূরত্ব যত, দর্পণ থেকে প্রতিবিশ্বের দূরত্বও তত। প্রতিবিম্বের আকার লক্ষ্যবস্তুর আকারের সমান। প্রতিবিম্ব অবাস্তব অর্থাৎ প্রতিবিম্ব পর্দায় গঠন করা যায় না এবং সোজা। প্রতিবিম্বের পার্শ্বীয় পরিবর্তন ঘটে অর্থাৎ প্রতিবিম্বের বামপাশ ডানপাশ বিনিময় করেছে বলে মনে হয়।

প্রশ্ন ৬.উত্তল দর্পণ কি কি কাজে ব্যবহৃত হয় ? 

উত্তর : উত্তল দর্পণ সর্বদা অবাস্তব, সোজা এবং খর্বিত প্রতিবিম্ব গঠন করে বিধায় পেছনের যানবাহন বা পথচারী দেখার জন্য গাড়িতে এ দর্পণ ব্যবহার করা হয়। উত্তল দর্পণের সাহায্যে বিস্তৃত এলাকা দেখা যায় বলে দোকান বা শপিংমলে নিরাপত্তার কাজে উত্তল দর্পণ ব্যবহার করা হয়। প্রতিফলক টেলিস্কোপ তৈরিতে এ দর্পণ ব্যবহৃত হয়।

 এ দর্পণ বিস্তৃত এলাকায় আলোকরশ্মি ছড়িয়ে দেয় বলে রাস্তার বাতিতে প্রতিফলকরূপে ব্যবহৃত হয়।

প্রশ্ন ৭ অবতল দর্পণক অভিসারী দর্পণ কেন বলা হয়? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : একটি কাচের ফাঁপা গোলকের খানিকটা অংশ কেটে নিয়ে যদি তার স্ফীত বা উত্তল পৃষ্ঠে পারা লাগানোর ফলে যদি এর অবতল পৃষ্ঠে আলোর নিয়মিত প্রতিফলন ঘটে তবে তাকে অবতল দর্পণ বলা হয়। আকৃতিগত কারণেই প্রধান অক্ষের সমান্তরাল একগুচ্ছ আলোকরশ্মি অবতল দর্পণে প্রতিফলনের পর অভিসারীগুচ্ছে পরিণত হয়। তাই অবতল দর্পণকে অভিসারী দর্পণ বলা হয়।

প্রশ্ন ৮. সমতল দর্পণে একটি বিন্দু লক্ষ্যবস্তুর প্রতিবিম্ব গঠন প্রক্রিয়া সংক্ষেপে ব্যাখ্যা কর।

উত্তর: বিন্দু লক্ষ্যবস্তু হতে একটি রশ্মি সমতল দর্পণগাত্রে লম্বভাবে আপতিত হলে একই পথে প্রতিফলিত হয়। অপর একটি আলোকরশ্মি দর্পণে নির্দিষ্ট কোণে আপতিত হলে একই কোণে প্রতিফলিত হয়।এ দুটি আলোকরশ্মি একে অপর হতে দূরে সরে যায় অর্থাৎ মিলিত হয় না। কিন্তু এদেরকে পেছন দিকে বর্ধিত করলে যে বিন্দুতে মিলিত হয় সেখানে কিন্তু লক্ষ্যবস্তুটির প্রতিবিম্ব গঠিত হয়য়।

প্রশ্ন ৯ পাহাড়ি রাস্তায় গাড়ি চলাচলের ক্ষেত্রে দর্পণ কী কাজে লাগে? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : পাহাড়ি রাস্তায় গাড়ি চালনার জন্য অনেক সময় ৯০° কোণে বাঁক নিতে হয়। এই বাঁক নেওয়ার সময় যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।অদৃশ্য বাঁকে বিপরীত দিক থেকে আসা গাড়ির চালক পরস্পরকে দেখতে পান না।এছাড়া বাকের অপর পাশে কী আছে তা আদৌ তারা জানেন না। এ সমস্যা সমাধানের জন্য বিপজ্জনক বাঁকে 45° কোণে বৃহৎ আকৃতির সমতল দর্পণ বসানো হয়।এর ফলে গাড়ি চালকগণ বাঁকের আশপাশে সবকিছু দেখতে পান এবং নিরাপদে গাড়ি চালাতে সক্ষম হন।

এই অধ্যায়ের উপর আরো পড়ুন:আলোর প্রতিফলন সাজেশন




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনেট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url