জাতীয় আয় ও এর পরিমাপ সাজেশন
ষষ্ঠ অধ্যায় : জাতীয় আয় ও এর পরিমাপ
১০০% কমন সাজেশন
আমাদের ওয়েবসাইট “অর্ডিনেট আইটি.কম” ও চ্যানেল ”অর্ডিনেট ক্লাসরুম ”আপনাদের স্বাগতম ।
আমরা একটি ভিন্ন প্রজন্মের স্বপ্ন দেখি। আমরা অধিক চিন্তাশীল প্রজন্ম গড়তে চাই, আলাদা মানুষ যাদের আগে চিন্তা করার অভ্যাস থাকবে। আমরা মানুষ কেন? কারণ আমরা চিন্তা করি, এবং সেই চিন্তাকে মুক্তচিন্তা হতে হবে। আর মুখস্থ করে আর যা ই হোক, বিজ্ঞান শিক্ষা হতে পারে না। আর সেই প্রচেষ্টারই অংশ হল আমাদের কনটেন্ট ও ভিডিও লেকচার। এই কনটেন্ট ও ভিডিওগুলির উদ্দেশ্য হল প্রতিটি বিষয় এমনভাবে শেখানোর চেষ্টা করা যাতে আপনি বইয়ের বাইরেও অনেক কিছু ভাবতে পারেন। আর আপনি যখন চিন্তাশীল মানুষ হবেন, তখন আপনি নিজেই বুঝবেন এই দেশকে আলাদা করতে আমাদের কী করতে হবে, কতদূর যেতে হবে।
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
১.মোট দেশজ উৎপাদন কাকে বলে? .
উত্তর : কোনো নির্দিষ্ট সময়ে সাধারণত এক বছরে দেশের অভ্যন্তরে যে পরিমাণ চূড়ান্ত পর্যায়ের দ্রব্য ও সেবাকর্ম সৃষ্টি হয় তাকে মোট দেশজ উৎপাদন বলে।২.নিট জাতীয় আয় কাকে বলে?
উত্তর : কোনো নির্দিষ্ট সময়ে কোনো অর্থনীতিতে চূড়ান্ত পর্যায়ের দ্রব্য ও সেবার আর্থিক মূল্য থেকে মূলধন ব্যবহারজনিত অবচয় বাদ দিলে যা থাকে তাকে নিট জাতীয় আয় বলে।৩.মাথাপিছু আয় কী?
উত্তর : মাথাপিছু আয় বলতে জনপ্রতি বার্ষিক আয়কে বোঝায় ।৪.মাথাপিছু জিডিপি কী?
উত্তর : মাথাপিছু জিডিপি হচ্ছে জনপ্রতি বার্ষিক জিডিপি ।৫.মাথাপিছু জিডিপি এর সূত্রটি লিখ।
উত্তর : মাথাপিছু জিডিপি =কোনো নির্দিষ্ট বছরে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ঐ বছরের মধ্য সময়ের মোট জনসংখ্যা ।৬.NNP এর পূর্ণরূপ কী?
উত্তর : NNP-এর পূর্ণরূপ হলো - Net National Product.৭.GNI-এর পূর্ণরূপ লেখ ।
উত্তর : GNI-এর পূর্ণরূপ হলো Gross National Income.৮. CCA-এর পূর্ণরূপ লেখ।
উত্তর : CCA-এর পূর্ণরূপ হলো- Capital Consumption Allowance.৯. GDP এর পূর্ণরূপ ইংরেজিতে লিখ।
উত্তর : GDP এর পূর্ণরূপ হলো- Gross Domestic product.১০. মোট জাতীয় আয় কী?
উত্তর : কোনো নির্দিষ্ট সময়ে সাধারণত এক অর্থ বছরে কোনো দেশের নাগরিকগণ কর্তৃক যে পরিমাণ চূড়ান্ত দ্রব্যসামগ্রী ও সেবাকর্ম উৎপাদিত হয় তার বাজার মূল্যের সমষ্টিকে মোট জাতীয় আয় বলে।১১. আয় পদ্ধতিতে জাতীয় আয় নির্ণয়ের সূত্রটি লেখ।
উত্তর : আয় পদ্ধতিতে জাতীয় আয় = মোট খাজনা + মোট মজুরি + মোট সুদ + মোট মুনাফা।১২. কোনটি থেকে একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জীবনযাত্রার মানের প্রধান সূচক পাওয়া যায়?
উত্তর : মাথাপিছু আয় থেকে একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জীবনযাত্রার মানের প্রধান সূচক পাওয়া যায়।১৩. উৎপাদন পদ্ধতি কী?
উত্তর : উৎপাদন পদ্ধতি অনুযায়ী কোনো দেশে উৎপাদিত সব পণ্য সামগ্রীর অর্থ মূল্য বা বিনিময় মূল্য হিসাবের মাধ্যমে জাতীয় আয় পরিমাপ করা হয়।১৪- বাংলাদেশের জাতীয় আয় গণনার দায়িত্ব কোন প্রতিষ্ঠানের?
উত্তর : বাংলাদেশে জাতীয় আয় গণনার দায়িত্ব বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর।১৫. বাংলাদেশে কোন পদ্ধতি ব্যবহার করে জাতীয় আয় গণনা করে?
উত্তর : বাংলাদেশে উৎপাদন পদ্ধতি ও ব্যয় পদ্ধতি ব্যবহার করে জাতীয় আয় গণনা করে।১৬. কোনগুলোকে মোট দেশজ উৎপাদনের নির্ধারক বলা হয়?
উত্তর : ভূমি ও প্রাকৃতিক সম্পদ, শ্রম, মূলধন, প্রযুক্তি, সম্পদের সচলতা ইত্যাদিকে মোট দেশজ উৎপাদনের নির্ধারক বলা হয়।১৭. নিট জাতীয় উৎপাদন কাকে বলে?
উত্তর : মোট জাতীয় উৎপাদন থেকে মূলধন সামগ্রীর ক্ষয়-ক্ষতির খরচ বাদ দিলে যা থাকে তাকে নিট জাতীয় উৎপাদন বলে।১৮. নিট রপ্তানি কী?
উত্তর : মোট রপ্তানি থেকে মোট আমদানি বাদ দিলে যা পাওয়া যায় তাই নিট রপ্তানি।১৯. নিট জাতীয় উৎপাদনের সূত্রটি কী?
উত্তর : নিট জাতীয় উৎপাদন = মোট জাতীয় উৎপাদন – ক্ষয়ক্ষতিজনিত খরচ।২০.বাংলাদেশে জাতীয় আয় গণনার দায়িত্ব কোন প্রতিষ্ঠানের?
উত্তর : বাংলাদেশে জাতীয় আয় গণনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।২১. প্রাথমিক পর্যায়ে কোনটিকে জাতীয় আয় গণনার সময় বিবেচনা করা হয় না?
উত্তর : প্রাথমিক পর্যায়ে দ্রব্য ও সেবাকে জাতীয় আয় গণনার সময় বিবেচনা করা হয় না।২২. ব্যয় পদ্ধতি কী?
উত্তর : এ পদ্ধতিতে মোট দেশজ উৎপাদন হলো কোনো নির্দিষ্ট সময়ে সমাজের সব ধরনের ব্যয়ের যোগফল।অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন-১. নিট জাতীয় আয় বলতে কী বুঝ?
অথবা, নিট জাতীয় উৎপাদন বলতে কী বোঝায়?উত্তর : কোনো নির্দিষ্ট সময়ে কোনো অর্থনীতিতে চূড়ান্ত পর্যায়ের দ্রব্য ও সেবার আর্থিক মূল্য থেকে মূলধন ব্যবহারজনিত অবচয় ব্যয় (CCA) বাদ দিলে যা থাকে তাকে নিট জাতীয় উৎপাদন বলে। মূলধন ব্যবহারজনিত অবচয় ব্যয় বলতে উৎপাদন ব্যবস্থায় মূলধন ব্যবহারের জন্যে মূলধন ক্ষয়ক্ষতি হয়, তা রক্ষণাবেক্ষণ ও ক্ষতিপূরণ করার জন্যে যে ব্যয় বহন করতে হয় তাকে বুঝায় ।
প্রশ্ন-২. জিডিপি নির্ণয়ে কেন মাধ্যমিক দ্রব্যকে বিবেচনায় আনা হয় না? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : দ্বৈত গণনা সমস্যা পরিহার করার জন্য জিডিপি নির্ণয়ের মধ্যবর্তী দ্রব্য ও সেবা বাদ দেওয়া হয়।জিডিপি নির্ণয়ে শুধু চূড়ান্ত পর্যায়ের দ্রব্য ও সেবা বিবেচিত হয়। কারণ চূড়ান্ত । দ্রব্যের মধ্যেই মাধ্যমিক পর্যায়ের দ্রব্য ও সেবার মূল্য অন্তর্ভুক্ত থাকে। উদাহরণ- তুলা থেকে সুতা, সুতা থেকে কাপড় ও কাপড় থেকে শার্ট উৎপাদন করা হয়।এক্ষেত্রে শার্টের মধ্যেই তুলা, সুতা ও কাপড়ের মূল্য অন্তর্ভুক্ত থাকে। তাই জাতীয় আয় পরিমাপের সময় দ্বৈত গণনা সমস্যার ত্রুটি পরিহার করতে মাধ্যমিক দ্রব্য ও সেবা বাদ দেওয়া হয়।
প্রশ্ন-৩.উৎপাদনের উপকরণের সচলতা বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : একটি অর্থনীতিতে পিছিয়ে পড়া বা অবনতিশীল অর্থনৈতিক কার্যকলাপ থেকে সম্পদ সরিয়ে নতুন প্রসারণ অর্থনৈতিক কার্যকলাপে সম্পদ ব্যবহার করার ক্ষমতার উপর মোট দেশজ উৎপাদন নির্ভর করে।উদাহরণস্বরূপ বাংলাদেশে পাট চাষ কমিয়ে ধান, গম বা ভুট্টা চাষে ভূমি ও অন্যান্য উপকরণের ব্যবহার বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করা যায়।প্রশ্ন-৪. মোট দেশজ উৎপাদন বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : একটি নির্দিষ্ট সময়ে সাধারণত একটি অর্থ বছরে কোনো দেশের অভ্যন্তরে যে পরিমাণ চূড়ান্ত দ্রব্যসামগ্রী ও সেবা উৎপাদিত হয় তার অর্থমূল্যের সমষ্টিকে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) বলে। জিডিপি হিসাবের সময় দেশের অভ্যন্তরে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগ দ্বারা উৎপাদিত সবরকম দ্রব্য ও `সেবাকর্মকে ধরা হয়। কিন্তু বিদেশে অবস্থানরত দেশীয় নাগরিকদের দ্বারা সৃষ্ট উৎপাদন বা আয় জিডিপির অন্তর্ভুক্ত হয় না।প্রশ্ন-৫.মোট জাতীয় আয় ও নিট জাতীয় আয়ের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ কর।
উত্তর : একটি নির্দিষ্ট সময়ে সাধারণত এক বছরে একটি দেশের ভৌগোলিক সীমানার মধ্যে মোট যে পরিমাণ চূড়ান্ত দ্রব্য ও সেবা উৎপাদন হয় তার বাজার মূল্যের সমষ্টিকে জাতীয় আয় বলে। পক্ষান্তরে, কোনো নির্দিষ্ট সময়ে কোনোঅর্থনীতিতে চূড়ান্ত পর্যায় দ্রব্য ও সেবার আর্থিক মূল্য থেকে মূলধন ব্যবহারজনিত অবচয় বাদ দিলে যা থাকে তাকে নিট জাতীয় আয় বলে।
প্রশ্ন-৬. আয় পদ্ধতিতে কীভাবে জাতীয় আয় পরিমাপ করা হয়? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : আয় পদ্ধতিতে জাতীয় আয় হলো উৎপাদন কাজে ব্যবহৃত উপকরণসমূ হের প্রাপ্ত আয়ের সমষ্টি। উৎপাদন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত মৌলিক উপকরণ হচ্ছে ভূমি, শ্রম, মূলধন ও সংগঠন। এগুলোতে প্রাপ্ত আয় যথাক্রমে খাজনা, মজুরি, সুদ ও মুনাফা। সুতরাং এ পদ্ধতিতে এক বছরের মোট খাজনা, মোট মজুরি, মোট সুদ ও মোট মুনাফার যোগফলকে জাতীয় আয় বলা হয়। এক্ষেত্রে ব্যক্তিগত আয়ের মধ্যে যদি হস্তান্তর পাওনা অন্তর্ভুক্ত থাকে, তবে তা জাতীয় আয় পরিমাপ হতে বাদ দেওয়া হয় ।প্রশ্ন-৭. জাতীয় ব্যয় পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : এ পদ্ধতিতে জাতীয় ব্যয় হলো কোনো নির্দিষ্ট সময়ে সমাজের সব ধরনের ব্যয়ের যোগফল। সমাজের মোট ব্যয় বলতে ব্যক্তি খাতের ভোগ ও বিনিয়োগ ব্যয় এবং সরকারি ব্যয় ও নিট রপ্তানিকে বোঝায়।অতএব, ভোগ + বিনিয়োগ + সরকারি ব্যয় + নিট রপ্তানি (= রপ্তানি – আমদানি) = মোট দেশজ উৎপাদন। মোট দেশজ উৎপাদন বা Y = C + 1 + G (X - M)
এখানে
- C = ভোগ,
- I = বিনিয়োগ,
- G = সরকারি ব্যয়,
- (X - M) (রপ্তানি – আমদানি) = নিট রপ্তানি।
প্রশ্ন-৮.কখন দ্বিত্ব গণনা সমস্যা দেখা দেয়?
উত্তর : জাতীয় আয় গণনায় শুধু চূড়ান্ত পর্যায়ের দ্রব্য ও সেবা বিবেচিত হয়। কারণ চূড়ান্ত পর্যায়ের দ্রব্যের ভেতরেই মাধ্যমিক পর্যায়ের দ্রব্য ও সেবার মূল্য অন্তর্ভুক্ত হয়। চূড়ান্ত দ্রব্যের পরে আবার মাধ্যমিক পর্যায়ের দ্রব্য ও সেবা বিবেচনা করলে জাতীয় আয় গণনার ক্ষেত্রে দ্বিত্ব গণনা (Double Counting) সমস্যা দেখা দেয়। এ জন্য মাধ্যমিক পর্যায়ের দ্রব্য ও সেবাকে জাতীয় আয় গণনার সময় বিবেচনা করা হয়।প্রশ্ন-৯. CCA বলতে কী বোঝ? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : CCA বলতে (Capital Consumption Allowance) মূলত মূলধনের খরচজনিত ব্যয়কে বুঝিয়ে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে মূলধন দ্রব্য ব্যবহারের ফলে এই মূলধন দ্রব্য বা যন্ত্রাংশের অবচয়জনিত যে ব্যয় হয়এই ব্যয়ের পরিমাণকেই (CCA) বা মূলধনের খরচজনিত অর্থ বলা হয়।
প্রশ্ন-১০.মাথাপিছু আয় কীভাবে নির্ণয় করা হয়?
উত্তর : কোনো দেশের লোকদের মাথাপিছু আয় নির্ণয় করতে হলে মোট জাতীয় উৎপাদন তথা মোট জাতীয় আয় কোনো বছরের মধ্য সময়ের মোট জনসংখ্যা জানা দরকার। দেশের মোট জাতীয় আয়কে মোট জনসংখ্যা জানা দরকার।দেশের মোট জাতীয় আয়কে মোট জনসংখ্যা দ্বারা ভাগ করলে যে আয় পাওয়া মোট জাতীয় আয়
যায় তাকে মাথাপিছু আয় বলে। অর্থাৎ মাথাপিছু আয় = • মোট জনসংখ্যা
প্রশ্ন-১১. মাথাপিছু GDP একটি দেশের উন্নয়ন ও জীবনযাত্রার মানের প্রধান সূচক- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : মাথাপিছু আয় দ্বারা কোনো দেশ উন্নত নাকি অনুন্নত তা সহজেই পরিমাপ করা যায়। যদি মাথাপিছু আয় বেশি হয় তবে বুঝতে হবে দেশকি উন্নত, আবার যদি মাথাপিছু আয় কম হয় তবে বুঝতে হবে দেশটি উন্নয়নশীল বা অনুন্নত।এ কারণে বলা হয়, মাথাপিছু আয় হলো একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জীবনযাত্রার মানের প্রধান সূচক।
প্রশ্ন-১২. GDP পরিমাপের দুটি নির্ধারক বর্ণনা কর।
উত্তর : দক্ষ ও কর্মক্ষম শ্রম মোট দেশজ উৎপাদন বৃদ্ধির সহায়ক। শ্রমিক যদি প্রযুক্তির ব্যবহার জানে এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয় তবে মোট দেশজ উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব।আজকের উন্নত দেশসমূহ মোট দেশজ উৎপাদন বৃদ্ধির মূলে রয়েছে মূলধনের ভূমিকা। আবার অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশ মূলধনের অভাবের কারণে মোট জাতীয় আয় ও মোট দেশজ উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারে না।
সুতরাং, মূলধন মোট দেশজ উৎপাদনের একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্ধারক।
প্রশ্ন-১৩. সরকারি ঋণের সুদ জিডিপি থেকে কেন বাদ দেওয়া হয়?
উত্তর : সরকারি ঋণের বিপরীতে যে সুদ দেয়া হয় তা GDP এর অন্তর্ভুক্ত নয়। যেমন- যুদ্ধকালীন সরকার যে ঋণ করে তা জাতীয় উৎপাদনে কোনো ভূমিকা থাকে না। এজন্যে GDP থেকে বাদ দেয়া হয়।প্রশ্ন-১৪. GDP পরিমাপে হিসাব বহির্ভূত একটি বিষয় বর্ণনা কর।
উত্তর : বেআইনি কাজ: বেআইনি কাজ থেকে প্রাপ্ত আয় জাতীয় আয় গণনার ক্ষেত্রে বিবেচনা করা হয় না। বেআইনি কার্যকলাপ বলতে সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয় এবং দেশের প্রচলিত আইনের বিরোধী কাজকে বুঝায়।যেমন— মাদকদ্রব্য, জুয়াখেলা, কালোবাজারে দ্রব্য ক্রয়-বিক্রয়, ঘুষ, দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত আয়, রক্ত বিক্রি ইত্যাদি কাজের ফলে সৃষ্ট মূল্য জাতীয় উৎপাদন গণনার সময় বিবেচনা করা হয় না।
অর্ডিনেট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url