জীবন পাঠ

অনেক কমন আসবে ইনশাআল্লাহ্…..


আমাদের  ওয়েবসাইট “অর্ডিনেট আইটি.কম” ও  চ্যানেল ”অর্ডিনেট ক্লাসরুম  ”আপনাদের  স্বাগতম । 
আমরা একটি ভিন্ন প্রজন্মের স্বপ্ন দেখি। আমরা অধিক চিন্তাশীল প্রজন্ম গড়তে চাই, আলাদা মানুষ যাদের আগে চিন্তা করার অভ্যাস থাকবে। আমরা মানুষ কেন? কারণ আমরা চিন্তা করি, এবং সেই চিন্তাকে মুক্তচিন্তা হতে হবে। আর মুখস্থ করে আর যা ই হোক, বিজ্ঞান শিক্ষা হতে পারে না। আর সেই প্রচেষ্টারই অংশ হল আমাদের কনটেন্ট ও ভিডিও লেকচার। এই কনটেন্ট ও  ভিডিওগুলির উদ্দেশ্য হল প্রতিটি বিষয় এমনভাবে শেখানোর চেষ্টা করা যাতে আপনি বইয়ের বাইরেও অনেক কিছু ভাবতে পারেন। আর আপনি যখন চিন্তাশীল মানুষ হবেন, তখন আপনি নিজেই বুঝবেন এই দেশকে আলাদা করতে আমাদের কী করতে হবে, কতদূর যেতে হবে।



অধ্যায়:১ জীবন পাঠ(Life Lessons)

জীববিজ্ঞান : জীববিজ্ঞানের ইংরেজি পরিভাষা Biology। Biology শব্দটি দুটি  ল্যাটিন শব্দ bios অর্থ জীবন এবং logos  অর্থ জ্ঞান এর সমন্বয়ে গঠিত। বিজ্ঞানের যে শাখায় জীবের গঠন, জৈবনিক ক্রিয়া এবং জীবনধারণ সম্পর্কে সম্যক বৈজ্ঞানিক জ্ঞান পাওয়া যায় তাকেই জীববিজ্ঞান বলা হয়।
 গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টটলকে (খ্রিষ্টপূর্ব ৩৮৪-৩২২) জীববিজ্ঞানের জনক বলা হয়।

জীববিজ্ঞানের শাখাসমূহ : 

জীবের ধরন অনুসারে জীববিজ্ঞানকে প্রধান দুটি শাখায় ভাগ করা হয়, যথা : উদ্ভিদ বিজ্ঞান ও প্রাণী বিজ্ঞান। জীবের কোন দিক নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে তার ওপর ভিত্তি করে জীববিজ্ঞানকে আবার ভৌত জীববিজ্ঞান ও ফলিত জীববিজ্ঞান এ দুটি শাখায় ভাগ করা হয়। 

ভৌত জীববিজ্ঞান : 

ভৌত জীববিজ্ঞান শাখায় তত্ত্বীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়ে থাকে। এতে সাধারণত যেসব বিষয়গুলো আলোচিত হয় তা হলো :
  •  ১. অঙ্গসংস্থান (Morphology); 
  • ২. শ্রেণিবিন্যাসবিদ্যা (Taxonomy); 
  • ৩. শারীরবিদ্যা (Physiology);
  •  ৪. হিস্টোলজি (Histology);
  •  ৫. ভ্রূণবিদ্যা (Embryology); 
  • ৬. কোষবিদ্যা (Cytology); 
  • ৭. বংশগতিবিদ্যা (Genetics);
  •  ৮. বিবর্তনবিদ্যা (Evolution); 
  • ৯. বাস্তুবিদ্যা (Ecology); 
  • ১০. এন্ডোক্রাইনোলজি (Endocrinology); 
  • ১১. জীবভূগোল (Biogeography) ইত্যাদি।

ফলিত জীববিজ্ঞান : 

ফলিত জীবজ্ঞিান শাখায় জীবন-সংশ্লিষ্ট প্রায়োগিক বিষয়সমূহ আলোচিত হয়। এতে সাধারণত যে বিষয়গুলো আলোচিত হয় তা হলো :-জীববিজ্ঞানের ফলিত শাখাগুলো হলো:
  • ১. প্রত্নতাত্ত্বিকবিদ্যা (Palaeontology)
  • ২. জীবপরিসংখ্যান বিদ্যা (Biostatistics)
  • ৩. পরজীবীবিদ্যা (Parasitology)
  • ৪. মৎস্যবিজ্ঞান (Fisheries)
  • ৫. কীটতত্ত্ব (Entomology)
  • ৬. অণুজীববিজ্ঞান (Microbiology)
  • ৭. কৃষিবিজ্ঞান (Agriculture)
  • ৮. চিকিৎসাবিজ্ঞান (Medical Science)
  • ৯. জিনপ্রযুক্তি (Genetic Engineering)
  • ১০. প্রাণরসায়ন (Biochemistry)
  • ১১. মৃত্তিকা বিজ্ঞান (Soil Science)
  • ১২. পরিবেশ বিজ্ঞান (Environmental Science)
  • ১৩. সামুদ্রিক জীববিজ্ঞান (Oceanography)
  • ১৪. বনবিজ্ঞান (Forestry)
  • ১৫. জীবপ্রযুক্তি (Biotechnology)
  • ১৬. ফার্মেসি (Pharmacy)
  • ১৭. বন্যপ্রাণিবিদ্যা (Wildlife)
  • ১৮. বায়োইন্ফরমেটিকস (Bioinformatics)

জীববিজ্ঞান পাঠের গুরুত্ব :

 জীববিজ্ঞানের শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে কৃষিক্ষেত্রে নানান উচ্চ ফলনশীল ধান, গম, ভুট্টা উদ্ভব করা সম্ভব হয়েছে। প্রাণী প্রজননকে কাজে লাগিয়ে অধিক দুগ্ধ প্রদানকারী গরু ও মহিষ উদ্ভব করা সম্ভব হয়েছে। অধিক পরিমাণ মাংস ও ডিম প্রদানকারী হাঁস ও মুরগি উৎপন্ন করা সম্ভব হয়েছে। মাছ চাষেও ব্যাপক সাফল্য এসেছে। জীববিজ্ঞানের অবদানের ফলে একদিকে যেমন বিভিন্ন রোগের জীবাণু আবিষ্কৃত হয়েছে, তেমনি নানান দুরারোগ্য রোগ দমন করার জন্য বিভিন্ন রকমের অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ সৃষ্টি করা সম্ভব হয়েছে। 

শ্রেণিবিন্যাস : 

জীবের আকৃতিগত ও প্রকৃতিগত বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের পারস্পরিক সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্যের ওপর ভিত্তি করে তাদের বিভিন্ন জগৎ,পর্ব, শ্রেণি, বর্গ, গোত্র, গণ, প্রজাতি ধাপে বিন্যস্ত করার পদ্ধতিকে শ্রেণিবিন্যাস বলে।

শ্রেণিবিন্যাস বিদ্যা : 

জীববিজ্ঞানের যে শাখায় জীবের নামকরণ, শনাক্তকরণ ও শ্রেণিবিন্যাস পদ্ধতি আলোচনা করা হয় তাকে শ্রেণিবিন্যাস বিদ্যা (ঞধীড়হড়সু) বলে।

প্রাণী শ্রেণিবিন্যাস : 

পারস্পরিক সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে প্রাণীদের গোষ্ঠীভুক্ত করার পদ্ধতিকে প্রাণী শ্রেণিবিন্যাস বলে।

শ্রেণিবিন্যাসের ধাপ : 

জীবের শ্রেণিবিন্যাস পদ্ধতিতে সাতটি ধাপ অবলম্বন করা হয়। শ্রেণিবিন্যাসের ধাপগুলো হলো : 
জগৎ (Kingdom),পর্ব (Phylum)/ বিভাগ (Division),শ্রেণি (Class),বর্গ (Order,গোত্র (Family),গণ (Genus),প্রজাতি (Species)। 
একটি জীবকে প্রজাতি পর্যন্ত বিন্যাসের ক্ষেত্রে মূলত ৭টি ধাপ আছে।
 ধাপগুলো হলো :
জগৎ (Kingdom)
পর্ব (Phylum)/ বিভাগ (Division)
শ্রেণি (Class)
বর্গ (Order
গোত্র (Family)
গণ (Genus)
প্রজাতি (Species)

শ্রেণিবিন্যাসের জনক : 

শ্রেণিবিন্যাসের জনক হলেন প্রকৃতি বিজ্ঞানী ক্যারোলাস লিনিয়াস।

দ্বিপদ নামকরণ :

একটি জীবের বৈজ্ঞানিক নাম দুটি অংশ নিয়ে গঠিত হয়। প্রথম অংশটি তার গণ নাম ও দ্বিতীয় অংশটি তার প্রজাতিক নাম। এরূপ দুটি পদ নিয়ে গঠিত নামকে দ্বিপদ নাম বলে এবং নামকরণের প্রক্রিয়াকে দ্বিপদ নামকরণ বলে। দ্বিপদ নামকরণ প্রবর্তন করেন  ক্যারোলাস লিনিয়াস।
শ্রেণিবিন্যাসের ধাপ বা একক : জীবের শ্রেণিগত অবস্থান নির্ণয়ের জন্য যেসব ধাপ ব্যবহার করা হয় তাদের শ্রেণিবিন্যাসের ধাপ বা একক বলা হয়।

জীবজগতের শ্রেণিবিন্যাস :

 ১৯৬৯ সালে হুইটেকার একটি পাঁচজগৎ শ্রেণিবিন্যাস পদ্ধতির প্রস্তাব করেন। এগুলো হচ্ছে 
  • মনেরা, 
  • প্রোটিস্টা, 
  • ফানজাই, 
  • প্লানটি ও 
  • অ্যানিমেলিয়া। 
পরবর্তীকালে মারগুলিস ১৯৭৪ সালে এটি সংশোধন করেন। তিনি সমস্ত জীবজগৎকে দুটি সুপার কিংডমে ভাগ করেন এবং পাঁচটি জগৎকে এ দুটি সুপার কিংডমের আওতাভুক্ত করেন।





সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর

প্রশ্ন : ১ জীববিজ্ঞান শিক্ষার গুরুত্ব কী?

উত্তর : জীববিজ্ঞানের শিক্ষায় জীবদেহের বিভিন্ন অংশ ও অঙ্গের গঠন, দেহের বিভিন্ন রাসায়নিক কর্মকাণ্ড, জীবের পুষ্টি গ্রহণ, পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়ানো এবং প্রজনন সম্বন্ধে জানা যায়।

প্রশ্ন : ২ জীববিজ্ঞানের ভৌত শাখাগুলোর নাম লিখ।

উত্তর : জীববিজ্ঞানের ভৌত শাখাগুলো হলো :
  • ১. অঙ্গসংস্থান (Morphology)
  • ২. শ্রেণিবিন্যাস (Taxonomy)
  • ৩. শারীরবিদ্যা (Physiology)
  • ৪. হিস্টোলজি (Histology)
  • ৫. ভ্রূণবিদ্যা (Embryology)
  • ৬. কোষবিদ্যা (Cytology)
  • ৭. বংশগতিবিদ্যা (Genetics)
  • ৮. বিবর্তনবিদ্যা (Evolution)
  • ৯. বাস্তুবিদ্যা (Ecology)
  • ১০. এন্ডোক্রাইনোলজি (Endocrinology) ও
  • ১১. জীবভূগোল (Biogeography)।

প্রশ্ন :৩ জীববিজ্ঞানের ফলিত শাখাগুলোর নাম লিখ।

উত্তর : জীববিজ্ঞানের ফলিত শাখাগুলো হলো:
  • ১. প্রত্নতাত্ত্বিকবিদ্যা (Palaeontology)
  • ২. জীবপরিসংখ্যান বিদ্যা (Biostatistics)
  • ৩. পরজীবীবিদ্যা (Parasitology)
  • ৪. মৎস্যবিজ্ঞান (Fisheries)
  • ৫. কীটতত্ত্ব (Entomology)
  • ৬. অণুজীববিজ্ঞান (Microbiology)
  • ৭. কৃষিবিজ্ঞান (Agriculture)
  • ৮. চিকিৎসাবিজ্ঞান (Medical Science)
  • ৯. জিনপ্রযুক্তি (Genetic Engineering)
  • ১০. প্রাণরসায়ন (Biochemistry)
  • ১১. মৃত্তিকা বিজ্ঞান (Soil Science)
  • ১২. পরিবেশ বিজ্ঞান (Environmental Science)
  • ১৩. সামুদ্রিক জীববিজ্ঞান (Oceanography)
  • ১৪. বনবিজ্ঞান (Forestry)
  • ১৫. জীবপ্রযুক্তি (Biotechnology)
  • ১৬. ফার্মেসি (Pharmacy)
  • ১৭. বন্যপ্রাণিবিদ্যা (Wildlife)
  • ১৮. বায়োইন্ফরমেটিকস (Bioinformatics)

প্রশ্ন : ৪ দ্বিপদ নামকরণ পদ্ধতি কী?

উত্তর : প্রত্যেক জীবের বিজ্ঞানসম্মত নামে সাধারণত দুটি পদ থাকে। প্রথমটি গণের (Genus) নাম এবং দ্বিতীয়টি প্রজাতির (species) নাম। জীবদের গণ ও প্রজাতি নামক দুটি পদের সমন্বয়ে গঠিত নামকে দ্বিপদ নাম এবং নামকরণের প্রক্রিয়াকে দ্বিপদ নামকরণ পদ্ধতি বলে।

প্রশ্ন : ৫ শ্রেণিবিন্যাসের ধাপগুলো উল্লেখ কর।

উত্তর : একটি জীবকে প্রজাতি পর্যন্ত বিন্যাসের ক্ষেত্রে মূলত ৭টি ধাপ আছে।
 ধাপগুলো হলো :
জগৎ (Kingdom)
পর্ব (Phylum)/ বিভাগ (Division)
শ্রেণি (Class)
বর্গ (Order
গোত্র (Family)
গণ (Genus)
প্রজাতি (Species)

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 

প্রশ্ন : ১  বায়োলজি শব্দের প্রবক্তা বা জনক কে?

উত্তর : বায়োলজি শব্দের প্রবক্তা বা জনক গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টটল।

প্রশ্ন : ২ জীববিদ্যা কাকে বলে?

উত্তর : বিজ্ঞানের যে শাখায় জীবের গঠন এবং জীবনধারণ সম্পর্কে সম্যক বৈজ্ঞানিক জ্ঞান পাওয়া যায় তাকেই জীববিদ্যা বা জীববিজ্ঞান বলা হয়।

প্রশ্ন : ৩  হিস্টোলজি বলতে কী বোঝ?

উত্তর : জীবদেহের টিস্যুসমূহের গঠন, বিন্যাস ও কার্যাবলি সম্বন্ধে জীববিজ্ঞানের যে শাখায় আলোচনা করা হয় তাকে হিস্টোলজি বলে।

প্রশ্ন: ৪  ICBN এর পুরো নাম কী?

উত্তর : ICBN এর পুরো নাম International Code of Botanical Nomenclature|

প্রশ্ন :৫ ICZNএর পুরো নাম কী?

উত্তর : ICZN এর পুরো নাম - International Code of Zoological Nomenclature.

প্রশ্ন : ৬  কে সর্বপ্রথম শ্রেণিবিন্যাসের ভিত্তি প্রবর্তন করেন?

উত্তর : ক্যারোলাস লিনিয়াস সর্বপ্রথম শ্রেণিবিন্যাসের ভিত্তি প্রবর্তন করেন।

প্রশ্ন : ৭  দ্বিপদ নামকরণের মূল লক্ষ্য কী?

উত্তর : বৈচিত্র্যময় জীব জগতের প্রতিটি জীবকে আলাদা নামে সঠিকভাবে জানাই দ্বিপদ নামকরণের মূল লক্ষ্য।

প্রশ্ন : ৮  পিঁয়াজের বৈজ্ঞানিক নাম কী?

উত্তর : Allium cepa

প্রশ্ন : ৯ প্রজাতি কী?

উত্তর : প্রজাতি হল শ্রেণিবিন্যাসের মৌলিক একক যা দ্বিপদী নামের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়।

প্রশ্ন : ১০ ভৌত জীব বিজ্ঞান শাখার আলোচ্য বিষয় কী?

উত্তর : জীব বিজ্ঞানের তত্ত্বীয় বিষয়গুলোই হল ভৌত জীব বিজ্ঞানের আলোচ্য বিষয়।

প্রশ্ন : ১১  ফানজাই রাজ্যের জীবদের খাদ্যগ্রহণ পদ্ধতি কীরূপ?

উত্তর : ফানজাই রাজ্যের জীবদের খাদ্যগ্রহণ পদ্ধতি হলো শোষণ।

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 

প্রশ্ন : ১ শ্রেণিবিন্যাস কাকে বলে? জীববিদ্যায় বৈজ্ঞানিক নাম ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা কী কী?

উত্তর : জীবের আকৃতিগত ও প্রকৃতিগত বিভিন্ন ধরনের বৈশিষ্ট্যাবলির পারস্পরিক সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্যের ওপর ভিত্তি করে একে বিভিন্ন দলে সজ্জিত করণকে শ্রেণিবিন্যাস বলে।
জীবজগতে প্রতিটি জীবের বৈজ্ঞানিক নাম অনন্য (unique)।
 কারণ একই নাম দুটি পৃথক জীবের জন্য ব্যবহারের অনুমতি নেই unique অনুসারে। বৈজ্ঞানিক নাম ব্যবহারের সুবিধা হলো, আঞ্চলিক ভাষায় একটি প্রাণীর বা একটি উদ্ভিদের যে নামেই থাকুক না কেন, সারাবিশ্বে জীববিজ্ঞানীরা একটি প্রাণী বা একটি উদ্ভিদকে একই নামে চিনতে পারবে। 
যেমন : ধান গাছকে আমরা ধান গাছ বলি কিন্তু বিশ্বের অন্য দেশে ধান বললে চিনতে পারবে না কিন্তু Oryza sativa বললে বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারবে এটি কী ধরনের উদ্ভিদ।

প্রশ্ন :২ মারগুলিস এর শ্রেণিবিন্যাসের রূপরেখা ছকের মাধ্যমে দেখাও।

উত্তর : মারগুলিস এর পাঁচ জগৎ শ্রেণিবিন্যাসের ছক-


প্রশ্ন : ৩  দ্বিপদ নামকরণের প্রধান চারটি নিয়ম উল্লেখ কর।

উত্তর : দ্বিপদ নামকরণের প্রধান চারটি নিয়ম নিচে উল্লেখ করা হলো :
  • কেবলমাত্র ল্যাটিন ভাষায় জীবের নামকরণ করতে হবে। অন্য কোনো ভাষায় নামকরণ সিদ্ধ নয়।
  • বৈজ্ঞানিক নামের দুটি অংশ থাকবে, প্রথম অংশটি গণ নাম এবং দ্বিতীয় অংশটি প্রজাতি নাম যেমন : Labeo rohita  রুই মাছের বৈজ্ঞানিক নাম।
  • গণ-এর নামের প্রথম অক্ষর বড় হরফে এবং প্রজাতির নাম ছোট হরফে লিখতে হবে। যিনি প্রথম কোনো জীবের বৈজ্ঞানিক নাম দেন উক্ত জীবের বৈজ্ঞানিক নামের শেষে তাঁর নাম সংক্ষেপে দিতে হবে। 
  • যেমন : Panthera tigris  খ (খ অর্থাৎ Linnaeus)। জীবের বৈজ্ঞানিক নাম সবসময় Italic অক্ষরে লিখতে হবে।

প্রশ্ন : ৪  একটি উদ্ভিদ বা প্রাণী সম্বন্ধে ধারণা নিতে হলে জীববিজ্ঞানের কোন কোন শাখার সাহায্য নিতে হয়? 

উত্তর : একটি উদ্ভিদ বা প্রাণী সম্বন্ধে ধারণা নিতে হলে জীবটির আকৃতি, কোষের গঠন, জৈবনিক প্রক্রিয়া, জীবজগতে তার অবস্থান ও তার আবাসস্থান সম্বন্ধে ধারণা নিতে হবে। 
এ ধারণাগুলো জীববিজ্ঞানের কতগুলো ভৌত শাখা
 যেমন : 
  • অঙ্গসংস্থান, 
  • কোষবিদ্যা, 
  • শারীরবিদ্যা, 
  • শ্রেণিবিন্যাসবিদ্যা ও 
  • বাস্তুবিদ্যার 
সাহায্য পাওয়া যাবে।

প্রশ্ন :৫ফানজাই এর দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর।

উত্তর : ফানজাই এর দুটি বৈশিষ্ট্য-
  • i) এরা মৃতজীবী বা পরজীবী।
  • ii) এদের কোষপ্রাচীর কাইটিন দ্বারা নির্মিত।

প্রশ্ন: ৬ পাঁচ রাজ্যের শ্রেণিবিন্যাসের রাজ্যগুলোর নাম কী কী?

উত্তর : জীবের শ্রেণিবিন্যাসের পাঁচটি রাজ্য-
রাজ্য - 1 Monera
রাজ্য - 2 Protista
রাজ্য - 3 Fungi
রাজ্য - 4 Plantae
রাজ্য - 5 Animalia

প্রশ্ন :৭ ট্যাক্সোনমি ও শ্রেণিবিন্যাসের পার্থক্য উল্লেখ কর।

উত্তর : ট্যাক্সোনমি জীববিজ্ঞানের একটি শাখা। এখানে জীবের নামকরণ, শনাক্তকরণ ও শ্রেণিবিন্যাস আলোচনা করা হয়। শ্রেণিবিন্যাস ট্যাক্সোনমির একটি অংশ। জীবের নামকরণ ও শনাক্তকরণের পর তাদের বিভিন্ন গোষ্ঠীতে ভাগ করার পদ্ধতি হলো শ্রেণিবিন্যাস।

প্রশ্ন : ৮  ICBN অনুসারে ধানের বৈজ্ঞানিক নাম কী কী ভাবে লিখতে পারবে?

উত্তর : ICBN অনুসারে ধানের বৈজ্ঞানিক নাম লিখতে হবে-
ইটালিক হরফে Oryza sativa
রোমান হরফে বা হাতে লিখলে Oryza sativa

প্রশ্ন : ৯  প্লানটি এবং অ্যানিমেলিয়া রাজ্যের পার্থক্য লেখ।

উত্তর : প্লানটি এবং অ্যানিমেলিয়ার মধ্যে পার্থক্য নিচে লেখা হলো :


প্রশ্ন : ১০  বিবর্তন বিদ্যায় আলোচনার বিষয়গুলো উল্লেখ কর।

উত্তর : বিবর্তন বিদ্যায় আলোচনার বিষয়গুলো হলো পৃথিবীতে প্রাণের বিকাশ, জীবের বিবর্তন এবং ক্রমবিকাশ তথ্যসমূহের পর্যালোচনা।

প্রশ্ন :১১  মনেরা কিংডমের বৈশিষ্ট্য কী কী?

উত্তর : মনেরা কিংডমের বৈশিষ্ট্য :
  • i) এরা প্রোক্যারিওটিক জীব।
  • ii) এককোষী জীব।
  • iii) নিউক্লিয়াস নির্দিষ্ট করা যায় না বা থাকে না।

প্রশ্ন : ১২ কোন কোন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে জীবজগতকে পাঁচটি রাজ্যে ভাগ করা হয়?

উত্তর : নিচের বিষয়গুলোর উপর ভিত্তি করে জীব জগতকে পাঁচটি রাজ্যে ভাগ করা হয়। যথা :
  • i) কোষের DNA ও RNA এর প্রকারভেদ
  • ii) জীবদেহে কোষের বৈশিষ্ট্য
  • iii) কোষের সংখ্যা ও 
  • iv) খাদ্যাভ্যাস।

১ম  অধ্যায় ➤   ১ম  অধ্যায় :জীবন পাঠ (MCQ)

১। প্রকৃতি বিজ্ঞনের প্রাচীনতম শাখা কোনটি ?

  • (ক) জীববিজ্ঞান 
  • (খ)  কৃষিবিজ্ঞন  
  • (গ) বনবিজ্ঞান     
  • (ঘ) সমুদ্রবিজ্ঞান

উত্তর: ক

২। টিস্যুসমূহের গঠন কোন শাখায় আলোচনা করা হয় ?

  • (ক)  হিস্টোলজি     
  • (খ)  এমব্রায়োলজি    
  • (গ)  এন্ডোক্রাইনোলজি    
  • (ঘ) সাইটোলজি

উত্তর: ক

৩। জীবদেহের শ্বাসন, রেচন ইত্যাদি সম্পর্কিত বিজ্ঞান কোনটি ?

  • (ক) শারিরবিদ্যা  
  • (খ) চিকিৎসা বিজ্ঞান  
  • (গ) ফার্মেসি  
  • (ঘ) প্রান রসায়ন

উত্তর: ক

৪। ঔষধ শিল্প ও প্রযুক্তি বিষয়ক বিজ্ঞান কোনটি ?

  • (ক) Forestry  
  • (খ) Pharmacy      
  • (গ)  Biotechnolgy    
  • (ঘ) Medical science

উত্তর: খ

৫। জীববিজ্ঞানের ফলিত শাখা কোনটি ?

  • (ক) ভ্রূণবিদ্যা     
  • (খ)  বাস্তুবিদ্যা      
  • (গ)  জিব প্রযুক্তি        
  • (ঘ) জীবভূগোল

উত্তর: গ

৬। নিচের কোনটি ফলিত জীববিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত ?

  • (ক) বংশগতিবিদ্যা     
  • (খ)  বিবর্তনবিদ্যা        
  • (গ)  সামুদ্রিক জীববিজ্ঞান       
  • (ঘ) জীবভূগোল

উত্তর: গ

৭। কোনটির কোষপ্রাচীর কাইটিন দিয়ে তৈরি ?

  • (ক)  অ্যামিবা   
  • (খ) ডায়াটম       
  • (গ) পেনিসিলিয়াম     
  • (ঘ) প্যারামেসিয়াম

উত্তর: গ

৮। বাঙালী বিজ্ঞানী সাজিদ আলী হাওলাদার কর্তৃক আবিষ্কৃত ব্যাঙের গণের নাম কী ?

  • (ক)  Zakerana  
  • (খ)  Shajidana      
  • (গ) Bufo       
  • (ঘ) Labeo

উত্তর: ক

৯। দ্বিপদ নামকরণের ভাষা কোনটি ?

  • (ক)  ইংরেজি     
  • (খ)  স্প্যানিস       
  •  (গ) গ্রিক         
  • (ঘ) ল্যাটিন

উত্তর: ঘ

১০। ক্যারোলাস লিনিয়াস কোন দেশের বিজ্ঞানি ?

  • (ক) সুইডেন     
  • (খ)  পাকিস্তান  
  • (গ)   জার্মানি     
  •  (ঘ) কানাডা

উত্তর: ক

১১। জাতীয় পশুর বৈজ্ঞানিক নাম কী ?

  • (ক)   Sopsychus saular is    
  • (খ) Nymphaea nouchali         
  • (গ) Panthera tigr is          
  • (ঘ) Corchorus capsular is

উত্তর: গ

১২। Hibiscus rosa-sinensis কোন উদ্ভিদের বৈজ্ঞানিক নাম ?

  •  (ক)  গোলাপ    
  •  (খ) কাঁঠাল        
  •  (গ) জবা        
  •   (ঘ) আম

উত্তর: গনিউক্লিয়াসের গঠনের ভিত্তিতে কোষ কত প্রকার ?

  • (ক)  ২  
  • (খ)  ৩ 
  • (গ)  ৪   
  • (ঘ) ৫

উত্তর: ক

১৩। ছত্রাকের কোষ প্রচীর কী দিয়ে তৈরি ?

  • (ক) পেকটিন     
  • (খ)  লিপিড      
  • (গ) কাইটিন    
  • (ঘ) পালিস্যাকারাইড

উত্তর: গ

১৪। কোষঝিল্লির ভাঁজকে কী বলে ?

  • (ক)   হাইলাস 
  • (খ)  মাইক্রোভিলাই  
  • (গ)  ক্রিস্টি    
  • (ঘ) ম্যাট্রিক্স

উত্তর: খ

নিচের  উদ্দীপক থেকে ১৫ নং ও ১৬ নং প্রশ্নের উত্তর দাও। 

১৫। সব ধরণের জীবকোষে পাওয়া যায় ?

  • (ক) C ও F  
  •  (খ) D ও  F   
  • (গ) A  ও   B 
  •  (ঘ) C ও D

উত্তর: ক

১৬। প্রাণিকোষের জন্য প্রযোজ্য কোনটি ?

  • (ক)   A  ও   B      
  • (খ)   C ও D       
  • (গ) E ও  F        
  • (ঘ) D ও  F 
উত্তর: গ

১৭। কোন অঙ্গাণুতে ক্রেবস চক্রের বিক্রিয়া সংগঠিত হয় ?

  • (ক)কোষ গহ্বর  
  • (খ)গলিজি বস্তু 
  •  (গ)রাইবোজোম  
  • (ঘ)মাইটোকন্ড্রিয়া 

উত্তর : ঘ

১৮। মাইটোকন্ড্রিয়ার কাজ কী ?

  • (ক)কোষকে রক্ষা 
  • (খ)শক্তি উৎপাদন  
  • (গ)বংশ বৃদ্ধি
  • (ঘ) খ্যাদ্য তৈরি

উত্তর :  খ

১৯। মাইটোকন্ড্রিয়ার অংশ -

i. ক্রিস্টি 

ii. গ্রানা

iii. ঝিল্লি 

নিচের কোনটি সঠিক ?

  • (ক) i ও ii  
  • (খ) i ও iii  
  • (গ) ii ও iii  
  • (ঘ) i , ii ও iii

উত্তর: গ

২০। ক্যারোটিনয়েড নামক রঞ্জক বেশি থাকে কোনটিতে ?

  • (ক) মুলা  
  • (খ) গাজর 
  • (গ) পিঁয়াজ 
  • (ঘ) পেঁপে 

উত্তর :  খ

২১। জ্যান্থোফিল থাকলে উদ্ভিদ কী বর্ণ ধারণ করে ?

  • (ক) লাল  
  • (খ) নীল  
  • (গ) হলুদ  
  • (ঘ) কমলা 

উত্তর : গ 

২২। উদ্ভিদ ও প্রণীকোষের পার্থক্য সৃষ্টিকারী অঙ্গাণু কোনটি ?

  • (ক) মাইটোকন্ড্রিয়ার  
  • (খ) এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম 
  •  (গ) প্লাস্টিড  
  • (ঘ) রাইবোজোম 

উত্তর : গ

২৩। লাইসোজোমের কাজ কোনটি ?

  • (ক) আমিষ সংশ্লেষন 
  • (খ) খাদ্য সঞ্চয়  
  • (গ) প্রবাহ পমের নির্দেশনা  
  • (ঘ) জীবাণু ধ্বংস

উত্তর :  ঘ

২৪। কোষকে জীবাণুর হাত থেকে রক্ষা করে কোনটি ?

  • (ক) কোষ গহ্বর  
  • (খ) নিউক্লিয়াস  
  • (গ) লাইসোজম  
  • (ঘ) সেন্ট্রোসোম

উত্তর : গ

২৫। ক্লোরোপ্লাস্ট থাকে -

i. প্যারেনকাইমা কোষে
ii. কোলেনকাইমা কোষে
iii. স্ক্লেরেনকােইমা কোষে 
নিচের কোনটি সঠিক ?

  • (ক) i ও ii 
  • (খ) i ও iii  
  • (গ) ii ও iii  
  • (ঘ) i , ii ও iii

উত্তর: ক

জ্ঞানমূলক সাজেশন :(ক নং প্রশ্ন)

অধ্যায় ১ : জীবপাঠ

  • ১। জীববিজ্ঞানের জনক কে?
  • ২। ভৌত জীববিজ্ঞান কী?
  • ৩। শারীরবিদ্যা কী?
  • ৪। হিস্টোলজি কাকে বলে ?
  • ৫। এন্ডোক্রাইনোলজি কী?
  • ৬। প্রত্নতত্ত্ববিদ্যা বা জীবাশ্ম বিজ্ঞান কী?
  • ৭। ক্রিস্টি কাকে বলে?
  • ৮। রাইবোজোম কী?
  • ৯। বায়োইনফরমেটিক্‌স কী?
  • ১০। শ্রেণিবিন্যাস কাকে বলে?
  • ১১। শ্রেণিবিন্যাসের লক্ষ্য কী?
  • ১২। ডায়াটম কী?
  • ১৩। অ্যানাইসোগ্যামাস কী?
  • ১৪। হেটারোট্রোফিক কী? 
  • ১৫ । নেস্টেড হায়রার্কি কী? 
  • ১৬। দ্বিপদ নামকরণ কী?
  • ১৭। সেন্ট্রিওল কাকে বলে? 
  • ১৮ । অ্যারেনকাইমা কী? 
  • ১৯। স্ক্লেরাইড কী? 
  • ২০। জটিল টিস্যু কাকে বলে? 
  • ২১। সিন্যাপস্ কী? 

অনুধাবনমূলক সাজেশন:(খ নং প্রশ্ন)

অধ্যায় ১ : জীবপাঠ
  • ১। প্রকৃত কোষ বলতে কী বোঝায়? 
  • ২। কাকে বংশগতির প্রধান উপাদান বলা হয়? ব্যাখ্যা কর। 
  • ৩। প্রোক্যারিওটা ও ইউক্যারিওটার দুটি পার্থক্য লেখ।
  • ৪। শারীরবিদ্যাকে জীববিজ্ঞানের ভৌত শাখা বলা হয় কেন? 
  • ৫। শ্রেণিবিন্যাস বিদ্যা প্রয়োজন কেন? | রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ, রাজশাহী।
  • ৬।কোন তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে R.H Whittaker জীবজগতকে ৫টি রাজ্যে ভাগ করার প্রস্তাব করেন। 
  • ৭। প্রোটিস্টা রাজ্যের জীবগুলোকে ইউক্যারিওট বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা কর।
  • ৮। নীলাভ সবুজ শৈবালের কোষ বিভাজনকে প্রত্যক্ষ কোষ বিভাজন বলা হয় কেন? 
  • ৯। ব্যাকটেরিয়াকে আদিকোষী জীব বলা হয় কেন?
  • ১০। ফানজাই এবং প্লান্টি রাজ্যের মধ্যে পার্থক্য কী? 
  • ১১। প্লান্টি রাজ্যের জীবদের হেটেরোট্রফিক কেন বলা হয় না, ব্যাখ্যা 
  • ১২। মানুষকে হেটারোট্রফিক বলা হয় কেন?
  • ১৩। মানুষকে Primate বর্গের প্রাণী বলার কারণ ব্যাখ্যা কর।
  • ১৪। দ্বিপদ নামকরণ বলতে কী বোঝায়? 













এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনেট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url