স্থিরবিদ্যুৎ সাজেশন

অধ্যায় ১০ স্থির বিদ্যুৎ

১০০% কমন সাজেশন

আমাদের  ওয়েবসাইট “অর্ডিনেট আইটি.কম” ও  চ্যানেল ”অর্ডিনেট ক্লাসরুম  ”আপনাদের  স্বাগতম । 
আমরা একটি ভিন্ন প্রজন্মের স্বপ্ন দেখি। আমরা অধিক চিন্তাশীল প্রজন্ম গড়তে চাই, আলাদা মানুষ যাদের আগে চিন্তা করার অভ্যাস থাকবে। আমরা মানুষ কেন? কারণ আমরা চিন্তা করি, এবং সেই চিন্তাকে মুক্তচিন্তা হতে হবে। আর মুখস্থ করে আর যা ই হোক, বিজ্ঞান শিক্ষা হতে পারে না। আর সেই প্রচেষ্টারই অংশ হল আমাদের কনটেন্ট ও ভিডিও লেকচার। এই কনটেন্ট ও  ভিডিওগুলির উদ্দেশ্য হল প্রতিটি বিষয় এমনভাবে শেখানোর চেষ্টা করা যাতে আপনি বইয়ের বাইরেও অনেক কিছু ভাবতে পারেন। আর আপনি যখন চিন্তাশীল মানুষ হবেন, তখন আপনি নিজেই বুঝবেন এই দেশকে আলাদা করতে আমাদের কী করতে হবে, কতদূর যেতে হবে।


MCQ টপ টিপস

  •  শূন্যস্থানে কুলম্বের ধ্রুবকের মান 9 × 10⁹ Nm²/C² 
  • ইলেকট্রিক ফিল্ড পরিবর্তন করতে হলে পটেনশিয়াল - পরিবর্তন করতে হবে 
  • তড়িৎ তীব্রতার একক - NC-1 
  • কুলম্ব ধ্রুবক C এর একক -  Nm C⁻² 
  • তড়িৎ আধানের একক - কুলম্ব 

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

১. তড়িৎ আবেশ কী? 

উত্তর: একটি আহিত বস্তুর কাছে এনে স্পর্শ না করে শুধু এর উপস্থিতিতে কোনো অনাহিত, বস্তুকে আহিত করার পদ্ধতিকে তড়িৎ আবেশ বলে।

২. ধারক কী? 

উত্তর: কাছাকাছি স্থাপিত দুটি পরিবাহকের মধ্যবর্তী স্থানে অন্তরক পদার্থ রেখে তড়িৎ আধানরূপে শক্তি সঞ্চয় করে রাখার যান্ত্রিক কৌশলই ধারক ।

৩.তড়িৎ বিভব বলতে কী বোঝায়? 

উত্তর: অসীম দূরত্ব থেকে একক ধনাত্মক আধানকে তড়িৎক্ষেত্রের কোনো বিন্দুতে আনতে যে পরিমাণ কাজ সম্পন্ন হয় তাকে ঐ বিন্দুর তড়িৎ বিভব বলে ।

৪. আধান বলতে কী বোঝ?

উত্তর: পদার্থের মৌলিক কণাসমূহের মৌলিক ও বৈশিষ্ট্যমূলক ধর্মই।
হল আধান ।

৫.তড়িৎ বল রেখা কী? 

উত্তর: তড়িৎক্ষেত্রে একটি মুক্ত ধনাত্মক আধান স্থাপন করলে এটি যে পথে পরিভ্রমণ করে তাকে তড়িৎ বলরেখা বলে ।

৬. তড়িৎ বলরেখার সাথে তড়িৎ তীব্রতার সম্পর্ক কী? 

উত্তর: তড়িৎ বলরেখার সাথে লম্বভাবে অবস্থিত একক ক্ষেত্রফলের
মধ্য দিয়ে অতিক্রান্ত বলরেখার সংখ্যা তড়িৎ তীব্রতার সমানুপাতিক। 

৭.তড়িৎ ক্ষেত্র কী? 

উত্তর: একটি আহিত বস্তুর চারদিকে যে অঞ্চলব্যাপী তার প্রভাব বজায় থাকে তাকে ঐ বস্তুর তড়িৎক্ষেত্র বলে।

৮.তড়িচ্চালক শক্তি কী? 

উত্তর: কোনো তড়িৎ উৎস একক ধনাত্মক আধানকে বর্তনীর এক বিন্দু থেকে উৎসসহ সম্পূর্ণ বর্তনী ঘুরিয়ে আবার ঐ বিন্দুতে | আনতে যে পরিমাণ কাজ সম্পন্ন করে, তথা উৎস যে তড়িৎশক্তি ব্যয় করে, তাকে ঐ উৎসের তড়িৎচালক শক্তি বলে ।

৯.তড়িৎ তীব্রতা কাকে বলে? 

উত্তর: তড়িৎ ক্ষেত্রের কোনো বিন্দুতে একটি একক ধনাত্মক আধান স্থাপন করলে সেটি যে বল অনুভব করে তাকে ঐ বিন্দুর তড়িৎ তীব্রতা বলে ।

১০.কুলম্বের সূত্রটি লিখো। 

উত্তর: কুলম্বের সূত্রটি হলো- নির্দিষ্ট মাধ্যমে দুটি বিন্দু আধানের মধ্যে ক্রিয়াশীল আকর্ষণ বা বিকর্ষণ বলের মান আধানদ্বয়ের গুণফলের সমানুপাতিক, মধ্যবর্তী দূরত্বের বর্গের ব্যাস্তানুপাতিক এবং এ বল এদের সংযোজক সরলরেখা বরাবর ক্রিয়া করে।

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন

  • ১. জ্বালানি পরিবহনের ক্ষেত্রে উৎপন্ন চার্জ দূরীকরণ কৌশল ব্যাখ্যা কর।
  • ২. স্টিলের আলমারি রং করতে রং স্প্রে ব্যবহার করা হয় কেন? 
  • ৩. আহিত বস্তুর তড়িৎক্ষেত্রের মধ্যে বিন্দুবস্তু যতদূর সরে যাবে বিভব তত হ্রাস পাবে- ব্যাখ্যা কর।
  • 8. 10 কুলম্ব আধান বলতে কী বুঝ? 
  • ৫. দুইটি বিন্দু আধানের মধ্যবর্তী দূরত্ব অর্ধেক করলে তাদের মধ্যে কুলম্ব বল কিরূপ পরিবর্তন হবে ব্যাখ্যা কর। 
  • ৭. সমান মানের দুইটি ধনাত্মক আধানের মধ্যবর্তী অঞ্চলে নিরপেক্ষ বিন্দু সৃষ্টির কারণ ব্যাখ্যা করো। 
  • ৮. দুটি অসমান ধনাত্মক আধানের নিরপেক্ষ বিন্দু ক্ষুদ্রতর আধানের নিকটতর কেন? ব্যাখ্যা করো। 
  • ৯. পৃথিবীর বিভব শূন্য— ব্যাখ্যা করো।
  • ১০. বিদ্যুৎ লাইনের সাথে ধাতব খুঁটির সরাসরি সংযোগ থাকে না কেন?
  •  ১১. p-n জাংশন ডায়োড রেকটিফায়ার হিসেবে কাজ করে - ব্যাখ্যা কর। 

সম্ভাব্য সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ১:তড়িৎ আবেশের মাধ্যমে কীভাবে একটি আধান নিরপেক্ষ বস্তুকে স্থায়ীভাবে আহিত করা যায় তা সংক্ষেপে বর্ণনা কর। 

উত্তর : একটি আধান নিরপেক্ষ বস্তুর সন্নিকটে একটি আধানযুক্ত বস্তু আনলে আধানবিহীন বস্তুর দুই প্রান্তে দুই বিপরীত আধানের সঞ্চারণ ঘটে। দূরবর্তী প্রান্তকে ভূমির সাথে সংযুক্ত করলে ওই আধান নিষ্ক্রান্ত হয়।এবার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে আধানযুক্ত বস্তুটি সরিয়ে নিলে আধানবিহীন বস্তুটি আধানপ্রাপ্ত হয় এবং ওই আধান বস্তুটির সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে।

প্রশ্ন ২ তড়িৎক্ষেত্রের কোনো বিন্দুর বিভব কীভাবে পরিমাপ করবে- ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : অসীম হতে তড়িৎক্ষেত্রের কোনো বিন্দুতে একটি একক ধনাত্মক আধান আনতে যে পরিমাণ কাজ করতে হয় তাকে ওই বিন্দুর বিভব বলে। সুতরাং তড়িৎক্ষেত্রের কোনো বিন্দুতে বিভব পরিমাপ করতে অসীম হতে একক ধনাত্মক আধানকে ওই বিন্দুতে আনা হয় এবং সম্পন্ন কাজের পরিমাণ হিসাব করা হয়।

প্রশ্ন ৩ বিভব পার্থক্যের ব্যবহারিক প্রয়োগ ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : দুটি বস্তু বা বিন্দুর মধ্যে বিভব পার্থক্য থাকলে এদের একটি হতে অপরটিতে আধানের স্থানান্তর ঘটে এবং তড়িৎপ্রবাহের সৃষ্টি হয়। সৃষ্ট তড়িৎপ্রবাহ কোনো বৈদ্যুতিক যন্ত্রের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করলে এর পর্দায় ছবি দেখতে পাই, হিটারের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করলে তাপ উৎপন্ন হয়। বিদ্যুৎশক্তি হলো শক্তির সবচেয়ে সুবিধাজনক রূপ এবং এটি হতে অপরশক্তি পাওয়া যায় বিভব পার্থক্যকে ব্যবহারিকভাবে প্রয়োগ করে।

প্রশ্ন ৪ বিমানে জ্বালানি ভরার সময় স্থির তড়িতের বিপদ ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : আকাশে যখন বিমান ওড়ে তখন বায়ুর সাথে ঘর্ষণের ফলে এটি তড়িৎগ্রস্ত হতে পারে। বিমানের আধান বাড়তে থাকলে বিমান ও ভূপৃষ্ঠের মধ্যে বিভব পার্থক্য বাড়তে থাকে। এত উচ্চ বিভব পার্থক্যের কারণে বিমানে যখন জ্বালানি ভরা হয় তখন কিছু আধান ভূমিতে চাপ যাওয়ার সময় স্ফুলিঙ্গ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, যা বিরাট বিস্ফোরণের কারণ হতে পারে।

প্রশ্ন ৫ পৃথিবীর বিভব শূন্য ধরা হয় কেন?

উত্তর : কোনো একটি ছোট আকারের পরিবাহক ধনাত্মক আধান লাভ করলে এর বিভব বৃদ্ধি পায় এবং এর পরিমাণ নির্ণয় করা যায়। কিন্তু পরিবাহকটি যদি অতি বিশাল আকারের গোলক হয় তাহলে এতে ধনাত্মক আধান বৃদ্ধির কারণে বিভবান্তর পরিলক্ষিত হয় না। আমাদের পৃথিবী এমনি একটি বিশাল আকারের পরিবাহক। পৃথিবী একটি ঋণাত্মক আধানের বিশাল ভাণ্ডার। তাই এ থেকে কিছু ইলেকট্রন বের করে নিলে অথবা এতে কিছু ইলেকট্রন দিলে এর বিভবের কোনো পরিবর্তন হয় না। সে জন্য পৃথিবীর বিভবকে শূন্য ধরা হয়।

প্রশ্ন ৬ বজ্রপাত কীভাবে সৃষ্টি হয়— ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : জলীয় বাষ্প বায়ুমণ্ডলের আহিত আয়নগুলোর উপর ঘনীভূত হয়ে পানি কণার সৃষ্টি করে এবং তড়িতাহিত হয়। এই ধরনের পানির কণাগুলো একত্রিত হলেই মেঘের উৎপত্তি হয়। মেঘ ধনাত্মক বা ঋণাত্মক যেকোনোভাবেই আহিত হতে পারে।তড়িতাহিত মেঘে যদি তড়িতের পরিমাণ বেশি হয়, তাহলে তা তড়িৎক্ষরণের মাধ্যমে পৃথিবীতে চলে আসে। এভাবে বজ্রপাত সৃষ্টি হয়।

প্রশ্ন ৭ বজ্র নিরোধক কীভাবে কাজ করে? - ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : যখন তড়িৎগ্রস্ত মেঘ বাড়ির উপরে আসে, তখন বজ্র নিরোধক বিপরীত আধানে আবিষ্ট হয়। কিন্তু দণ্ডের উপরি প্রান্ত তীক্ষ্ণাগ্র বিশিষ্ট হওয়ায় ওই তীক্ষ্ণাগ্রগুলোতে বেশি আধান জমা হয় এবং সূচিমুখ দিয়ে তড়িৎক্ষরণ হয়। বায়ুকণাগুলো এই আধান দিয়ে আহিত হয় এবং মেঘের বিপরীত আধান কর্তৃক আকৃষ্ট হয়ে মেঘের দিকে চলে যায় এবং মেঘকে নিস্তড়িত করে। ফলে বজ্রপাতের সম্ভাবনা কম থাকে।

এই অধ্যায়ের উপর আরো পড়ুন:স্থিরবিদ্যুৎ সাজেশন



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনেট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url