বাংলাদেশ সরকারের অর্থ ব্যবস্থা সাজেশন

 অধ্যায় ১০: বাংলাদেশ সরকারের অর্থ ব্যবস্থা

এসএসসি সকল বিষয় ১০০% কমনের  নিশ্চয়তায়… আমাদের প্রচেষ্টা-- বিভিন্ন ধরনের টেষ্ট পেপার ও মূলবই থেকে কমন উপযোগী প্রশ্ন গুলো নিয়ে আমাদের সাজেশন ,আশা করি অনেক কমন আসবে ইনশাআল্লাহ্…..


আমাদের  ওয়েবসাইট “অর্ডিনেট আইটি.কম” ও  চ্যানেল ”অর্ডিনেট ক্লাসরুম  ”আপনাদের  স্বাগতম । 
আমরা একটি ভিন্ন প্রজন্মের স্বপ্ন দেখি। আমরা অধিক চিন্তাশীল প্রজন্ম গড়তে চাই, আলাদা মানুষ যাদের আগে চিন্তা করার অভ্যাস থাকবে। আমরা মানুষ কেন? কারণ আমরা চিন্তা করি, এবং সেই চিন্তাকে মুক্তচিন্তা হতে হবে। আর মুখস্থ করে আর যা ই হোক, বিজ্ঞান শিক্ষা হতে পারে না। আর সেই প্রচেষ্টারই অংশ হল আমাদের কনটেন্ট ও ভিডিও লেকচার। এই কনটেন্ট ও  ভিডিওগুলির উদ্দেশ্য হল প্রতিটি বিষয় এমনভাবে শেখানোর চেষ্টা করা যাতে আপনি বইয়ের বাইরেও অনেক কিছু ভাবতে পারেন। আর আপনি যখন চিন্তাশীল মানুষ হবেন, তখন আপনি নিজেই বুঝবেন এই দেশকে আলাদা করতে আমাদের কী করতে হবে, কতদূর যেতে হবে।



জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন-১. সরকারি অর্থব্যবস্থা কাকে বলে? 

উত্তর: অর্থনীতির যে শাখা সরকারের আয়, ব্যয় ও ঋণ-সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করে তাকে সরকারি অর্থব্যবস্থা বলে । 

প্রশ্ন-২. সরকারি অর্থব্যবস্থার মূল চালিকাশক্তি কী?

উত্তর: সরকারি অর্থব্যবস্থার মূল চালিকাশক্তি হলো বাজেট।

প্রশ্ন-৩. কর কাকে বলে? 

উত্তর: সরকার জনগণের নিকট থেকে বাধ্যতামূলকভাবে যে অর্থ আদায় করে কিন্তু তার বিনিময়ে জনগণ সরকারের নিকট থেকে সরাসরি কোনো সুবিধা পায় না, তাকে কর বলে ।

প্রশ্ন-৪. কর রাজস্ব কাকে বলে?

উত্তর: দেশের নিবাসী বা অনিবাসী ব্যক্তি, বিভিন্ন ব্যবসা ও শিল্পপ্রতিষ্ঠান এবং পণ্যের ওপর ধার্যকৃত কর থেকে প্রাপ্ত আয়কে কর রাজস্ব বলা হয়। 

প্রশ্ন-৫. বাংলাদেশ সরকারের আয়ের উৎস প্রধানত কয়টি? 

উত্তর: বাংলাদেশ সরকারের আয়ের উৎস প্রধানত দুটি।

প্রশ্ন-৬. বাংলাদেশ সরকারের আয়ের অন্যতম উৎস কী?

উত্তর: বাংলাদেশ সরকারের আয়ের অন্যতম উৎস আয়কর।

প্রশ্ন-৭. আয়কর কাকে বলে? 

উত্তর: কোনো ব্যক্তির ব্যক্তিগত আয়ের ওপর যে কর ধার্য করা হয় তাকে আয়কর বলে।

প্রশ্ন-৮. VAT এর পূর্ণরূপ লেখো। 

উত্তর: VAT-এর পূর্ণরূপ হলো— Value Added Tax

প্রশ্ন-৯. বাংলাদেশে কোন অর্থবছর থেকে মূল্য সংযোজন কর চালু করা হয়েছে? 

উত্তর: বাংলাদেশে ১৯৯১-৯২ অর্থবছর থেকে মূল্য সংযোজন কর চালু করা হয়েছে।

প্রশ্ন-১০. রাজস্ব বাজেট কী? 

উত্তর: দেশের প্রশাসনিক কাজকর্ম পরিচালনার জন্যে যে বাজেট গৃহীত হয় তাকে রাজস্ব বাজেট বলে।

প্রশ্ন-১১. ভূমি রাজস্ব কাকে বলে? 

উত্তর: ভূমির মালিকানা অধিকার ভোগের জন্য ভূমির মালিক সরকারকে যে খাজনা দেয় তাকে ভূমি রাজস্ব বলে ।

প্রশ্ন-১২. ভূমি উন্নয়ন কর কাকে বলে? 

উত্তর: ভূমির মালিকানা ও ভোগদখলের জন্য ভূমির মালিক সরকারকে যে খাজনা দেয়, তাকে ভূমি উন্নয়ন কর বলে ।

প্রশ্ন-১৩. আবগারি শুল্ক কী?

উত্তর: দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদিত ও ব্যবহৃত দ্রব্যের ওপর যে কর ধার্য করা হয়, তাকে আবগারি শুল্ক (Excise Duties) বলা হয়।

প্রশ্ন-১৪. আমদানি শুল্ক কী? 

উত্তর: দেশের আমদানিকৃত দ্রব্য ও সেবার উপর যে কর ধার্য করা হয় - তাকে আমদানি শুল্ক বলে।

প্রশ্ন-১৫. সম্পূরক শুল্ক কী?

উত্তর: বিভিন্ন কারণে সরকার অনেক দ্রব্যসামগ্রীর ওপর আবগারি শুল্ক বা আমদানি শুল্ক বা মূল্য সংযোজন কর আরোপের পরও অতিরিক্ত যে শুল্ক আরোপ করে তাকে সম্পূরক শুল্ক বলে ।

প্রশ্ন-১৬. কোন কাজে নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ব্যবহৃত হয়?

উত্তর: দলিলপত্র ও মামলা মোকদ্দমার আবেদনপত্র ব্যবহারের জন্যে নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ব্যবহৃত হয় ।

প্রশ্ন-১৭. শুল্ক কী? 

উত্তর: দেশের সীমান্ত অতিক্রম করে যেসব পণ্যের চলাচল ঘটে সেগুলোর ওপর সরকারি আইন দ্বারা ধার্যকৃত করই শুল্ক ।

প্রশ্ন-১৮. যানবাহন কর কী? 

উত্তর: বিভিন্ন প্রকার যানবাহনের ওপর যে কর ধার্য করা হয় তাকে যানবাহন কর বলে।

প্রশ্ন-১৯. কর-বহির্ভূত রাজস্ব কাকে বলে? 

উত্তর: সরকার কর ও শুল্ক ছাড়া আরও অনেক উৎস (লভ্যাংশ ও , সুদ, জরিমানা) হতে রাজস্ব সংগ্রহ করে। এই উৎসগুলো থেকে -রাত রাজস্বকে কর বহির্ভূত রাজস্ব বলে।

২০. অ-বাণিজ্যিক বিক্রয় কী? 

উত্তর:সরকার জনগণের কল্যাণে কোনো কোনো সময় বিনা লাভে অনেক দ্ৰব্য বিক্রয় করে থাকে তাকে অ-বাণিজ্যিক বিক্রয় বলে।

 প্রশ্ন-২১. ফি কী?

উত্তর: সরকার জনগণকে প্রশাসনিক সেবা প্রদানের জন্যে যে অর্থ আয় করে তাকে ফি বলে।

 প্রশ্ন ২২ ভর্তুকি কী? 

উত্তর: জনস্বার্থে কোনো দ্রব্যের উৎপাদন খরচের যে অংশ সরকার বহন করে তাকে ভর্তুকি বলে ।

প্রশ্ন-২৩. বাজেটের সংজ্ঞা দাও।

উত্তর: একটি নির্দিষ্ট সময়ে (সাধারণত এক বছর) কোনো দেশের প্রকারের সম্ভাব্য আয় ও ব্যয়ের বিস্তারিত হিসাব বিবরণীকে বাজেট বলে।

প্রশ্ন-২৪. বাজেট সাধারণত কত প্রকার? 

উত্তর: বাজেট সাধারণত দুই প্রকার।

প্রশ্ন-২৫. চলতি বাজেট কাকে বলে?

উত্তর: যে বাজেটে সরকারের চলতি আয় ও ব্যয়ের হিসাব দেখানো হয়। 

প্রশ্ন-২৬. সুষম বাজেট কাকে বলে?  

 উত্তর: সরকারের সম্ভাব্য আয় ও ব্যয়ের বার্ষিক হিসাব বিবরণিতে প্রত্যাশিত চায় এবং সম্ভাব্য ব্যয়ের পরিমাণ সমান হলে তাকে সুষম বাজেট বলে ।

 প্রশ্ন-২৭. অসম বাজেট কাকে বলে? 

 উত্তর: কোনো দেশের একটি নির্দিষ্ট সময়ে (সাধারণত এক আর্থিক বছরে) সরকারের প্রত্যাশিত আয় ও সম্ভাব্য ব্যয়ের পরিমাণ সমান না হলে তাকে অসম বাজেট বলে।

প্রশ্ন-২৮. অসম বাজেট কয় প্রকার? 

উত্তর: অসম বাজেট ২ প্রকার।

প্রশ্ন-২৯. উদ্বৃত্ত বাজেট কী?

উত্তর: কোনো আর্থিক বছরে সরকারের প্রত্যাশিত আয় অপেক্ষা সম্ভাব্য ব্যয়ের পরিমাণ কম হলে তাকে উদ্বৃত্ত বাজেট বলে ।

প্রশ্ন-৩০. 'সরকারি বাজেট' এর সংজ্ঞা দাও। 

উত্তর: সরকারের কোনো নির্দিষ্ট আর্থিক বছরে বিভিন্ন উৎস থেকে কতটুকু আয় প্রাপ্তির আশা করে এবং বিভিন্ন খাতে কি পরিমাণ ব্যয় করতে চায় তার সুবিন্যস্ত হিসাবকে সরকারি বাজেট বলে। বাংলাদেশ সরকারের বাজেট

প্রশ্ন-৩১. অ-উন্নয়ন বাজেটের মূল লক্ষ্য কী?  

 উত্তর: অ-উন্নয়ন বাজেটের মূল লক্ষ্য হলো দেশ রক্ষা এবং দেশের প্রশাসন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা ।

প্রশ্ন-৩২. বাংলাদেশে আর্থিক বৎসর শুরু হয় কোন মাস থেকে?

উত্তর: বাংলাদেশে আর্থিক বৎসর শুরু হয় ১ জুলাই থেকে।

৩৩. বাংলাদেশে বাজেট কোথায় অনুমোদন হয়?

উত্তর: বাংলাদেশে বাজেট জাতীয় সংসদে অনুমোদন হয়।

প্রশ্ন-৩৪. বাংলাদেশ সরকারের কোন বাজেট দৈনন্দিন আয়-ব্যয় দেখানো হয়? 

উত্তর: বাংলাদেশ সরকারের অ-উন্নয়ন বাজেটে দৈনন্দিন আয় ব্যয় দেখানো হয়।

প্রশ্ন-৩৫. অ-উন্নয়ন বাজেট কাকে বলে?

উত্তর: বাজেটের যে অংশে সরকারের দৈনন্দিন বা চিরাচরিত আয়- ব্যয়ের হিসাব দেখানো হয় এবং ব্যয়ের খাতসমূহ সরাসরি উন্নয়নের সাথে সম্পৃক্ত নয় তাকে অ-উন্নয়ন বাজেট বলে।

প্রশ্ন-৩৬. মূলধন বাজেট কী?

 উত্তর: যে বাজেটে সরকারের উন্নয়নমূলক কাজকর্মের জন্যে আয়-ব্যয়ের হিসাব দেখানো হয় তাকে মূলধন বাজেট বা উন্নয়ন বাজেট বলে ।

প্রশ্ন-৩৭. উন্নয়ন বাজেট কাকে বলে? 

 উত্তর: যে বাজেটে সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের আয়-ব্যয়ের হিসাব দেখানো হয়, তাকে উন্নয়ন বাজেট বলে।

 অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন-১. সরকারি অর্থব্যবস্থা বলতে কী বোঝায়? 

উত্তর: অর্থনীতির যে শাখা সরকারের আয়, ব্যয় ও ঋণ-সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করে তাকে সরকারি অর্থব্যবস্থা বলে ।সরকার কোন কোন উৎস থেকে কীভাবে এবং কোন নীতিতে অর্থ সংগ্রহ করে সে অর্থ কীভাবে বরাদ্দ করা হবে তা সরকারি অর্থব্যবস্থায় আলোচনা করা হয়। সরকারি আয়-ব্যয়ের মধ্যে সমন্বয় সাধনের সমস্যা ছাড়াও সরকারের আয়-ব্যয় নীতি ও কার্যক্রম কীভাবে অর্থনীতির বিভিন্ন খাতকে প্রভাবিত করে তা সরকারি অর্থব্যবস্থায় বিশ্লেষণ করা হয়।

প্রশ্ন-২. সরকারের আয় বলতে কী বোঝায়? 

উত্তর: আধুনিককালে সরকারকে দেশের অভ্যন্তরে প্রশাসন পরিচালনা, জনগণের জানমালের নিরাপত্তার জন্যে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিচারকার্য এবং জনগণের জন্য বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ সম্পন্ন করতে হয়। তাছাড়া বিদেশি আক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষা করাও সরকারের অন্যতম প্রধান কর্তব্য। এসব কাজের জন্যে সরকারকে প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হয়। এ ব্যয়ভার বহনের জন্যে সরকার দেশের জনগণের কাছ থেকে কর আদায় ও অন্যান্য উপায়ে অর্থ সংগ্রহ করে। একেই সরকারি আয় বলে ।

প্রশ্ন-৩. সরকারি আয়-ব্যয়ের মধ্যে পার্থক্য কী? 

 উত্তর: সরকারি আয় ও সরকারি ব্যয় এর মধ্যে যথেষ্ঠ পার্থক্য রয়েছে। সরকার কর ও কর বহির্ভূত উৎসগুলো থেকে রাজস্ব সংগ্রহ করে। তাছাড়া দেশের ভেতর ও বিদেশ থেকে ঋণ ও অনুদান পায়। এসব একত্রে সরকারি আয় হিসেবে বিবেচিত হয়। অন্যদিকে, দেশের প্রশাসন কার্য পরিচালনা এবং প্রতিরক্ষা ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের জন্যে সরকার ব্যয় করে। এটি সরকারি ব্যয় বলে পরিচিত।

প্রশ্ন-৪. বাংলাদেশ সরকারের কর রাজস্বের প্রধান উৎসগুলো কী কী? 

 উত্তর: বাংলাদেশ সরকারের কর রাজস্বের প্রধান উৎসগুলো হলো- 
  • ১. আয়কর
  • ২. মূল্য সংযোজন কর
  • ৩. আমদানি শুল্ক 
  • ৪. আবগারি শুল্ক 
  • ৫. সম্পূরক শুল্ক 
  • ৬. অন্যান্য কর ও শুল্ক 
  • ৭. মাদক শুল্ক 
  • ৮. যানবাহন কর 
  • ৯. ভূমি রাজস্ব 
  • ১০. নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প।

প্রশ্ন-৫. মূল্য সংযোজন কর বলতে কী বোঝায়?

উত্তর: VAT হলো Value Added Tax বা মূল্য সংযোজন কর । উৎপাদন ক্ষেত্রে কাঁচামাল থেকে শুরু করে চূড়ান্ত দ্রব্য উৎপাদন পর্যন্ত বেশ কয়েকটি স্তর অতিক্রম করতে হয়। মূল্য সংযোজন কর বলতে উৎপাদনের এরূপ বিভিন্ন স্তরে যে মূল্য সংযোজিত হয় তার ওপর একটি নির্দিষ্ট হারে যে কর আরোপ করা হয় তাকে বোঝায়। উৎপাদনের প্রতিটি ধাপে যে মূল্য সংযোজন ঘটে তার ওপর আরোপিত করকে মূল্য সংযোজন কর বলে।

প্রশ্ন-৬.আবগারি শুল্ক কী? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদিত ও ব্যবহৃত দ্রব্যের উপর যে কর ধার্য করা হয়, তাকে আবগারি শুল্ক (Excise Duties) বলা হয়।রাজস্ব সংগ্রহ ছাড়াও বিভিন্ন ক্ষতিকর দ্রব্যের ভোগ হ্রাস করার উদ্দেশ্যেও আবগারি শুল্ক ধার্য করা হয়। বাংলাদেশে প্রধানত চা, সিগারেট, চিনি, তামাক, কেরোসিন, ওষুধ, স্পিরিট, দিয়াশলাই প্রভৃতি দ্রব্যের উপর আবগারি শুল্ক ধার্য করা হয় ।

প্রশ্ন-৭. দ্রব্যের মূল্যের সাথে যে কর আরোপ করা হয় তা কোন কর? বুঝিয়ে লেখো। 

উত্তর: দ্রব্যের মূল্যের সাথে আরোপ করা হয় মূল্য সংযোজন কর । উৎপাদন ক্ষেত্রে কাঁচামাল থেকে শুরু করে চূড়ান্ত দ্রব্য উৎপাদন পর্যন্ত বেশ কয়েকটি স্তর অতিক্রম করতে হয়। উৎপাদনের এরূপ বিভিন্ন স্তরে যে মূল্য সংযোজিত হয় তার ওপর একটি নির্দিষ্ট হারে কর আরোপ করা হয়। একে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট বলা হয়। বিক্রয়ের সময় দ্রব্য মূল্যের সাথে এ ধরনের কর আদায় করা হয়।

প্রশ্ন-৮. আবগারি শুল্ক কেন আরোপ করা হয়? 

উত্তর: রাজস্ব সংগ্রহ ছাড়াও বিভিন্ন ক্ষতিকর দ্রব্যের ভোগ কমানোর লক্ষ্যে আবগারি শুল্ক আরোপ করা হয়।দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদিত ও ব্যবহৃত দ্রব্যের ওপর যে কর ধার্য করা হয় তাই আবগারি শুল্ক। বাংলাদেশে সাধারণত চা, চিনি, ওষুধ, সিগারেট, দিয়াশলাই ইত্যাদি দ্রব্যের ওপর আবগারি শুল্ক ধার্য করা হয়।

প্রশ্ন-৯. সম্পূরক শুল্ক কী? ব্যাখ্যা করো। 

উত্তর: সম্পূরক শুল্ক হলো একটি পরোক্ষ কর। অনেক সময় কিছু দ্রব্যসামগ্রীর ওপর আমদানি শুল্ক বা আবগারি শুল্ক বা ভ্যাট আরোপ করেও পর্যাপ্ত রাজস্ব সংগ্রহ করা যায় না। তখন এসব কর ও শুল্কের ওপর অতিরিক্ত কর আরোপ করা হয়। এটি সম্পূরক শুল্ক হিসেবে পরিচিত। সম্পূরক শুল্ক বাংলাদেশ সরকারের আয়ের একটি অন্যতম উৎস।

প্রশ্ন-১০. সম্পূরক শুল্ক কেন আরোপ করা হয়?

উত্তর: অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন মেটাতে সরকার সম্পূরক শুল্ক আরোপ করে থাকে।আবগারি শুল্ক বা মূল্য সংযোজন কর অথবা আমদানি শুল্ক আরোপের পরেও কিছু দ্রব্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক ধার্য করা হয়। এটিই সম্পূরক শুল্ক। সাধারণত বিলাসজাত পণ্য ও সামাজিকভাবে অনভিপ্রেত পণ্যের ওপর সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়। যেমন: মোবাইল কল চার্জ, সিরামিক টাইলস প্রভৃতির ওপর এ শুল্ক আরোপ করা হয়।

প্রশ্ন-১১. সরকারি ব্যয়ের উদ্দেশ্য কী? 

উত্তর: সরকারি ব্যয়ের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো- দেশের প্রশাসন পরিচালনা, আইন শৃঙ্খলা রক্ষা, বিদেশি আক্রমণ থেকে দেশ রক্ষা এবং জনকল্যাণমূলক বহুবিধ কার্যাবলি সম্পাদন। মূলকথা দেশ ও দেশের জনগণের কল্যাণ সাধন করাই সরকারি ব্যয়ের মূল উদ্দেশ্য।

প্রশ্ন-১২. প্রতিরক্ষা খাতের ব্যয় অপ্রকাশিত থাকে কেন? 

উত্তর: জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে প্রতিরক্ষা খাতের ব্যয় অপ্রকাশিত থাকে। দেশকে বিদেশি শত্রুর হাত থেকে রক্ষা করা সরকারের দায়িত্ব। এ লক্ষ্যে প্রতিরক্ষা খাতকে শক্তিশালী করার জন্য সরকারকে অনেক ব্যয় করতে হয়। যেমন: বিভিন্ন যুদ্ধ সরঞ্জাম, প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ, বেতন-ভাতা, বাসস্থান, চিকিৎসা প্রভৃতি। জাতীয় নিরাপত্তা অক্ষুণ্ণ রাখতে এই ধরনের ব্যয় বরাদ্দ অপ্রকাশিত রাখা হয়।

প্রশ্ন-১৩. শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে সরকারের পর্যাপ্ত অর্থ ব্যয় করা প্রয়োজন কেন?

উত্তর: দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে সরকারের পর্যাপ্ত অর্থ ব্যয় করা প্রয়োজন ।একটি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য দক্ষ জনশক্তির প্রয়োজন । এ লক্ষ্যে মান উন্নয়ন, কারিগরি ও উচ্চ শিক্ষার প্রসার, নারী শিক্ষার উন্নয়ন করা দরকার। আর এই শিক্ষার সাথে প্রযুক্তির সমাবেশ ঘটিয়ে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন করা সম্ভব। তাই শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে সরকারের প্রচুর অর্থ ব্যয় করা প্রয়োজন ।

প্রশ্ন-১৪. সরকার প্রতি বছর তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে প্রচুর পরিমাণে অর্থ ব্যয় করে কেন? 

উত্তর: সরকার দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য প্রতিবছর তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে প্রচুর অর্থ ব্যয় করে।সরকার মানবসম্পদ তৈরির লক্ষ্যে প্রাথমিক শিক্ষার সম্প্রসারণ ও গুণগত মান উন্নয়ন, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রসার, নারী শিক্ষার উন্নয়ন, ছাত্র-ছাত্রীদের মেধা বিকাশে বৃত্তির সংখ্যা ও হার বৃদ্ধি এবং | উচ্চশিক্ষা প্রসারের উদ্দেশ্যে প্রচুর অর্থ ব্যয় করে। এছাড়া শিক্ষার সঙ্গে প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটিয়ে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এগিয়ে নিতে সরকার প্রতিবছর তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে প্রচুর পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে।

প্রশ্ন-১৫. সরকার জনস্বাস্থ্য খাতে প্রচুর ব্যয় করছে কেন? 

উত্তর: জনকল্যাণকর রাষ্ট্র হিসেবে সরকারকে স্বাস্থ্যখাতে প্রচুর ব্যয় করতে হয়। জনগণের সুচিকিৎসার জন্য হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ স্থাপন, বিনামূল্যে ওষুধ প্রদান, মহামারি প্রতিরোধ, ডাক্তার ও নার্সের প্রশিক্ষণ ইত্যাদি বাবদ সরকার প্রচুর অর্থ ব্যয় করে থাকে। চিকিৎসা সেবা বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স স্থাপন এবং সেখানে একজন করে এমবিবিএস ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ করেছে। এসবের জন্য জনস্বাস্থ্য খাতে সরকারকে প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হয়।

প্রশ্ন-১৬. বাজেটের প্রকারভেদ ব্যাখ্যা করো। 

উত্তর: বাজেটকে সাধারণত দু'ভাগে ভাগ করা যায়। যথা- চলতি বাজেট এবং মূলধন বাজেট ।আয় ব্যয়ের ভারসাম্যের দিক থেকে বাজেটকে প্রথমত দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা— সুষম বাজেট এবং অসম বাজেট। অসম বাজেট আবার উদ্বৃত্ত বাজেট এবং ঘাটতি বাজেটে ভাগ করা হয়।

প্রশ্ন-১৭. 'বাজেট সরকারি অর্থব্যবস্থার মূল চালিকাশক্তি'- ব্যাখ্যা করো। 

উত্তর: বাজেটে সরকারের যাবতীয় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড আলোচনা হয় বলে এটিকে সরকারি অর্থব্যবস্থার মূল চালিকাশক্তি বলা হয় । অর্থনীতির যে শাখা সরকারের আয়-ব্যয় ও ঋণ-সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করে তাকে সরকারি অর্থব্যবস্থা বলে। আর একটি নির্দিষ্ট সময়ে (সাধারণত এক বছরে) সরকারের সম্ভাব্য আয় ও ব্যয়ের বিস্তারিত হিসাবের বিবরণীকে বাজেট বলে। সরকার কোন কোন উৎস থেকে কীভাবে এবং কোন নীতিতে অর্থ সংগ্রহ করবে এবং সে অর্থ কীভাবে, কোন খাতে বা কতটুক বরাদ্দ করা হবে তা বাজেটের মধ্যেমে সরকারি অর্থব্যবস্থায় আলোচনা করা হয়।

প্রশ্ন-১৮. মূলধন বাজেট বলতে কী বোঝায়? 

উত্তর: সরকারের মূলধন আয় ও ব্যয়ের হিসাব যে বাজেটে দেখানো হয় তাকে মূলধন বাজেট বলে।মূলধন বাজেটের মূল লক্ষ্য হলো দেশ ও জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সাধন করা। এ লক্ষ্যে সরকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি প্রণয়ন করে। এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনে অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক উভয় উৎস হতে অর্থ সংগ্রহ করে।

প্রশ্ন-১৯. সুষম বাজেট বলতে কী বোঝায়?

 উত্তর: কোনো নির্দিষ্ট সময়ে সরকারের প্রত্যাশিত আয় এবং সম্ভাব্য বায়ের পরিমাণ সমান হলে তাকে সুষম বাজেট বলে ।সুষম বাজেটে আয়ের সাথে সংগতি রেখে ব্যয় করা হয়। এর ফলে দেশে মুদ্রাস্ফীতি বা দ্রব্যের দাম দ্রুত বৃদ্ধির প্রবণতা কম থাকে। ফলে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকে। তবে উন্নয়নশীল দেশের জন্য সুষম বাজেট গ্রহণ না করাই উত্তম।

প্রশ্ন-২০. চলতি ও মূলধন বাজেটের মধ্যে দুটি পার্থক্য লেখো।

উত্তর: সরকারের আয়-ব্যয়ের প্রকৃতি অনুযায়ী বাজেট হলো চলতি ও মূলধন বাজেট ।যে বাজেটে সরকারের চলতি আয় ও চলতি ব্যয়ের হিসাব দেখানো হয়, তাকে চলতি বাজেট বলে । অপরদিকে, সরকারের মূলধন আয় ও ব্যয়ের হিসাব যে বাজেটে দেখানো হয় তাকে মূলধন বাজেট বলে। চলতি বাজেটের অর্থ সরকারের প্রশাসনিক কার্য সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও দেশরক্ষার জন্য ব্যয় করা হয়। অন্যদিকে, মূলধন বাজেট দেশের ও জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সাধনের লক্ষ্যে ব্যয় করা হয়।

প্রশ্ন-২১. মূলধন বাজেটের লক্ষ্য হলো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধি অর্জন— ব্যাখ্যা করো। 

উত্তর: সরকারের মূলধন আয় ও ব্যয়ের হিসাব দেখানো হয় মূলধন বাজেটে মূলধন বাজেটের মূল লক্ষ্য হলো দেশের ও জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সাধন করা। এ লক্ষ্যে সরকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) প্রণয়ন করে। এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য সরকার অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক উৎস হতে অর্থ সংগ্রহ করে থাকে।

প্রশ্ন-২২.কর রাজস্ব বলতে কী বোঝায়? 

 উত্তর: সরকার করের মাধ্যমে যে আয় সংগ্রহ করে তাকে কর রাজস্ব (Tax Revenue) বলে।কর রাজস্ব থেকে সরকার অধিক হারে আয় পেয়ে থাকে। সরকার দেশে বসবাসরত দেশি ও বিদেশি নাগরিক বা প্রতিষ্ঠানের ওপর এ কর আরোপ করে। আয়কর ও মুনাফার ওপর কর, মূল্য সংযোজন কর, আমদানি শুল্ক ইত্যাদি সরকারের কর রাজস্বের প্রধান উৎস।

প্রশ্ন-২৩. আয়-ব্যয় ভারসাম্যের ওপর বাজেট বিভাজন করো।

উত্তর: আয়-ব্যয় ভারসাম্য অনুযায়ী বাজেটকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। সামগ্রিক আয় ও ব্যয়ের ওপর বাজেটের ভারসাম্য নির্ভর করে। সামগ্রিক আয় > সামগ্রিক ব্যয় হলে তাকে উদ্বৃত্ত বাজেট বলে। যে বাজেটে সামগ্রিক আয় = সামগ্রিক ব্যয় হয় সেটি সুষম বাজেট। আর সামগ্রিক আয় < সামগ্রিক ব্যয় হলে তাকে ঘাটতি বাজেট বলে ।

প্রশ্ন-২৪. ঘাটতি বাজেট বলতে কী বোঝ? 

উত্তর: কোনো আর্থিক বছরে সরকারের প্রত্যাশিত আয় অপেক্ষা ব্যয়ের পরিমাণ বেশি হলে তাকে ঘাটতি বাজেট বলে। উন্নয়নশীল দেশে প্রাকৃতিক সম্পদের পরিপূর্ণ ব্যবহার, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি ও জনগণের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার বাজেট প্রণয়ন করে। কখনো কখনো এ বাজেটে প্রত্যাশিত আয়ের চেয়ে ব্যয়ের পরিমাণ বেশি দেখানো হয়। এটিই ঘাটতি বাজেট নামে পরিচিতি। সরকার বাজেটের ঘাটতি দূরীকরণে জনসাধারণের কাছ থেকে ঋণ, নতুন অর্থ সৃষ্টি, কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ, বৈদেশিক ঋণ ও সাহায্য গ্রহণ করে।

প্রশ্ন-২৫. (মোট আয় – মোট ব্যয়) > ০ হয় কোন বাজেটে? 

উত্তর: নিজে করো

প্রশ্ন-২৬. উন্নয়নশীল দেশের জন্য ঘাটতি বাজেট বেশি গ্রহণযোগ্য কেন? ব্যাখ্যা করো। 

উত্তর: কোনো আর্থিক বছরে সরকারের প্রত্যাশিত আয় অপেক্ষা ব্যয়ের পরিমাণ বেশি হলে তাকে ঘাটতি বাজেট বলে।উন্নয়নশীল দেশে মূলধনের অভাবে উন্নয়ন কার্যক্রম বৃদ্ধি করা যায় না। ফলে এসব দেশের মানুষের আয় কম, কর্মসংস্থানের অভাব ও জীবনযাত্রার মান নিম্ন হয়। তাই উন্নয়নশীল দেশে প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার, জনগণের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে ঘাটতি বাজেট প্রণয়ন করে। ফলে সরকারি ব্যয় বৃদ্ধির মাধ্যমে জাতীয় আয় মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়।

প্রশ্ন-২৭.ঘাটতি বাজেটকে অসম বাজেট বলার একটি কারণ ব্যাখ্যা করো। 

উত্তর: ঘাটতি বাজেট অসম বাজেটের অন্তর্ভুক্ত সরকার তার ব্যয় নির্বাহের উদ্দেশ্যে আয় করে। তবে সব সময় এ আয়, ব্যয়ের পরিমাণ সমান নাও হতে পারে। যখন সরকারের প্রণীত বাজেটে আয়-ব্যয়ের মধ্যে অসামঞ্জস্যতা দেখা দেয় তখন তাকে অসম বাজেট বলে। ঘাটতি বাজেটে কোনো নির্দিষ্ট আর্থিক বছরে সরকারের রাজন আয়ের চেয়ে রাজস্ব ব্যয় বেশি হয়ে পড়ে। তাই ঘাটতি বাজেট হলো- অসম বাজেটের একটি রূপ।

প্রশ্ন-২৮. উদ্বৃত্ত বাজেট কী? ব্যাখ্যা করো।

 উত্তর: নিজে করো

প্রশ্ন-২৯. উদ্বৃত্ত বাজেটের সংজ্ঞাসহ সূত্র উল্লেখ করো।

উত্তর: নিজে করো

প্রশ্ন-৩০. অ-উন্নয়ন বাজেট বলতে কী বোঝ? 

উত্তর: বাজেটের যে অংশে সরকারের দৈনন্দিন বা চিরাচরিত আয়- ব্যয়ের হিসাব দেখানো হয় এবং বাজেটের ব্যয়ের খাতসমূহ সরাসরি উন্নয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয় তাকে অ-উন্নয়ন বাজেট বলে। এ বাজেটের মূল লক্ষ্য হলো দেশ রক্ষা এবং দেশের প্রশাসন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা। অর্থনৈতিক পরিকল্পনার বিষয় এ বাজেটে উল্লেখ থাকে না।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনেট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url