এসএসসি রসায়নের ধারণা ১ম অধ্যায় জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর (ক ও খ )

প্রথম অধ্যায় রসায়নের ধারণা

এস এস সি রসায়ন রসায়নের ধারণা ১ম অধ্যায়  ১০০% কমনের   নিশ্চয়তায়… আমাদের প্রচেষ্টা-- বিভিন্ন ধরনের টেষ্ট পেপার ও মূলবই থেকে কমন উপযোগী প্রশ্ন গুলো নিয়ে আমাদের সাজেশন ,আশা করি অনেক কমন আসবে ইনশাআল্লাহ্…

এস এস সি রাজশাহী বোর্ড-২০২৩ পদার্থবিজ্ঞান MCQ সমাধান

এস এস সি রাজশাহী বোর্ড-২০২৩ বাংলাদেশ ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা MCQ সমাধান

SSC Chemistry Concepts Chapter 1 Knowledge and Comprehension Questions and Answers (A & B)

জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্নগুলোর উত্তরসমূহ:

আমাদের  ওয়েবসাইট ও  চ্যানেলে তোমাদের  স্বাগতম । আমরা প্রতিনিয়ত সকল বোর্ডের প্রশ্নের সমাধান দিয়ে থাকি । তোমাদের যে কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট বক্সে দিতে পার । আমরা উত্তর দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। পরবর্তিতে সকল প্রশ্নের ব্যাখ্যাসহ সমাধান আপলোড দেব । পড়ার টেবিল নামের পুরো একটা লাইব্রেরী!  এত বই পড়ে কি লাভ? যদি কমন না আসে এত বই পড়ার পরেও!

শিক্ষার্থীদের হতাশা থেকে মুক্তির পথে,আমরা শতভাগ (১০০%) কমনের নিশ্চয়তায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ! 

বিকল্পধারায় সহজ থেকেও সহজতর পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উপহার স্বরুপ শিক্ষা,  জ্ঞান-বিজ্ঞান, CQ, MCQ,মডেল টেষ্ট, সৃজনশীল প্রশ্ন+উত্তর ও ভিডিও ক্লাস। সম্পুর্ণ ডিজিটাল পথে শিক্ষার্থীদের সফলতার সর্বোচ্চ চুড়ায় পৌঁছে দিতে আমাদের এই উদ্বেগ।


পেজ সূচিপত্র (জ্ঞানমূলক প্রশ্নগুলো)



আমরা একটি ভিন্ন প্রজন্মের স্বপ্ন দেখি। আমরা অধিক চিন্তাশীল প্রজন্ম গড়তে চাই, আলাদা মানুষ যাদের আগে চিন্তা করার অভ্যাস থাকবে। আমরা মানুষ কেন? কারণ আমরা চিন্তা করি, এবং সেই চিন্তাকে মুক্তচিন্তা হতে হবে। আর মুখস্থ করে আর যা ই হোক, বিজ্ঞান শিক্ষা হতে পারে না। আর সেই প্রচেষ্টারই অংশ হল আমাদের ভিডিও লেকচার। এই ভিডিওগুলির উদ্দেশ্য হল প্রতিটি বিষয় এমনভাবে শেখানোর চেষ্টা করা যাতে আপনি বইয়ের বাইরেও অনেক কিছু ভাবতে পারেন। আর আপনি যখন চিন্তাশীল মানুষ হবেন, তখন আপনি নিজেই বুঝবেন এই দেশকে আলাদা করতে আমাদের কী করতে হবে, কতদূর যেতে হবে।

    পেজ সূচিপত্র (অনুধাবনমূলক প্রশ্নগুলো)

    জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর  

    জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 

    প্রশ্ন ১। রসায়ন কাকে বলে?

    [ব. বো. ২২]

    উত্তর : বিজ্ঞানের যে শাখায় পদার্থের গঠন, ধর্ম এবং পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা করা হয় তাকে রসায়ন বলে । 

    প্রশ্ন ২। এন্টাসিড কী?

    [ঢা বো. '২০]

    উত্তর : এন্টাসিড হলো Mg(OH)2 ও Al(OH) এর মিশ্রণ, যা পেটের এসিডিটির জন্য ওষুধ হিসেবে খাওয়া হয় । 

    প্রশ্ন ৩। আলকেমি কী?

     [ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ |]

     উত্তর : মধ্যযুগীয় আরবের রসায়ন চর্চাকে আলকেমি (Alchemy) বলা হয় । 

    প্রশ্ন ৪। ব্রোঞ্জ কী?

     | রাজশাহী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ, রাজশাহী।]

     উত্তর : কপার (Cu) ও টিনের (Sn) গলনে সৃষ্ট সংকর ধাতুই হলো ব্রোঞ্জ। 

    প্রশ্ন ৫। সংকর ধাতু কাকে বলে বলে?

    [সরকারি প্রমথনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, রাজশাহী। ]

    উত্তর : গলিত অবস্থায় একাধিক ধাতুকে মিশ্রিত করে যে বস্তু বা ধাতু তৈরি করা হয় তাকে সংকর ধাতু (alloy) বলা হয়। 

    প্রশ্ন ৬। কোন শব্দ থেকে Chemistry শব্দের উৎপত্তি?

     উত্তর : Chemi শব্দ থেকে Chemistry শব্দের উৎপত্তি প্রশ্ন

    প্রশ্ন৭। রসায়ন মূলত কোন বিষয়ে আলোচনা করে?

     উত্তর : রসায়ন মূলত নানা ধরনের পরিবর্তন যেমন— সৃষ্টি, ধ্বংস, বৃদ্ধি, রূপান্তর, উৎপাদন ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করে থাকে।



    আর পড়ুন: ভিডিও ক্লাস(Admission Physics)

     আর পড়ুন :Admission ICT

    প্রশ্ন ৮। আধুনিক রসায়নের জনক কে?

    উত্তর : আধুনিক রসায়নের জনক অ্যান্টনি ল্যাভয়সিয়ে।

    প্রশ্ন ৯। এন্টাসিডে কী থাকে?

    উত্তর : এন্টাসিডে অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রোক্সাইড [Al(OH)] ও ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রোক্সাইড [Mg(OH)2] থাকে

    প্রশ্ন ১০। কাঠ বা প্রাকৃতিক গ্যাসের আংশিক দহনে স্বাস্থ্য                            ঝুঁকিপূর্ণ কোন গ্যাসটি তৈরি হয়?

    উত্তর : কাঠ বা প্রাকৃতিক গ্যাসের আংশিক দহনে স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর কার্বন মনোক্সাইড (CO) গ্যাস তৈরি হয়।

    প্রশ্ন ১১। খাবার খেলে আমাদের শরীরে কোন প্রক্রিয়া ঘটে? 

    উত্তর : খাবার খেলে আমাদের শরীরে বিপাক প্রক্রিয়া ঘটে। 

    প্রশ্ন ১২। মোটর সাইকেলে জ্বালানি হিসেবে কোনটি ব্যবহৃত                      হয়? 

    উত্তর : মোটর সাইকেলের জ্বালানি হিসেবে পেট্রোলিয়াম ব্যবহৃত হয়।

    প্রশ্ন ১৩। নিঃশ্বাসে গৃহীত বায়ুর প্রধান উপাদান কী? 

    উত্তর : অক্সিজেন (O2)।

    প্রশ্ন ১৪। কোয়ান্টাম মেকানিক্স কী?

    উত্তর : কোয়ান্টাম মেকানিক্স হলো বিজ্ঞানের সেই শাখা যেখানে গাণিতিক হিসাব-নিকাশের সাহায্যে পরমাণুর গঠন ব্যাখ্যা করে ।

    প্রশ্ন ১৫। পরমাণুর গঠন ব্যাখ্যা করতে রসায়নের কোন শাখা ব্যবহৃত হয়ে থাকে?

    উত্তর : গাণিতিক হিসাব-নিকাশ-এর সাহায্যে পরমাণুর গঠন ব্যাখ্যা করতে সাধারণত কোয়ান্টাম মেকানিক্স ব্যবহার করা হয়।

    প্রশ্ন ১৬। সালোকসংশ্লেষণের সময় কোন ধরনের পরিবর্তন ঘটে?

     উত্তর : সালোকসংশ্লেষণের সময় জীব-রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে।

    প্রশ্ন ১৭। ভারী ধাতু কাকে বলে?

    [চ. বো. ২২]

    উত্তর : যে সকল ধাতুর ঘনত্ব, পারমাণবিক ভর অথবা পারমাণবিক সংখ্যা অনেক বেশি তাদেরকে ভারী ধাতু বলে।

    প্রশ্ন ১৮। প্রিজারভেটিভস্ কী?

    [ম. বো. ২২]

    উত্তর : যেসব রাসায়নিক পদার্থের পরিমিত ব্যবহার করে বিভিন্ন খাদ্য .সামগ্রী দীর্ঘ সময় সংরক্ষণ করা যায় তাদের প্রিজারভেটিভস্ বলে । 

    প্রশ্ন ১৯। ফুড প্রিজারভেটিভস্ কী?

     [ আদমজী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল, ঢাকা: ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ, রংপুর]

    উত্তর : যেসব রাসায়নিক পদার্থের পরিমিত ব্যবহার করে বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী করে দীর্ঘ সময় সংরক্ষণ করা যায় তাদের ফুড প্রিজারভেটিভস বলে।

    প্রশ্ন ২০। প্রিজারভেটিভস্ কী কাজে ব্যবহার করা হয়?

     উত্তর : প্রক্রিয়াজাত খাদ্য বিশেষ করে জুস, সস, কেক, বিস্কুট প্রভৃতিতে বেশি সময় ধরে সংরক্ষণের জন্য প্রিজারভেটিভস্ ব্যবহার করা হয়।

    [চ. বো. ২২]

     প্রশ্ন ২১। গবেষণা কী?

    [কুমিল্লা জিলা স্কুল]

     উত্তর : পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পদ্ধতিগতভাবে কোনো কিছু জানার চেষ্টাই হচ্ছে গবেষণা।

    প্রশ্ন ২২। গবেষণাগার কী?

     উত্তর : যেখানে বিজ্ঞানের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং গবেষণা করা হয় তাকে পরীক্ষাগার বা গবেষণাগার (Laboratory) বলে ।

    প্রশ্ন ২৩। অনুসন্ধান ও গবেষণা প্রক্রিয়ার তৃতীয় ধাপ কোনটি?

    [আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা] 

    উত্তর : অনুসন্ধান ও গবেষণা প্রক্রিয়ার তৃতীয় ধাপ হলো প্রয়োজনীয় বস্তু ও পরীক্ষা প্রণালি নির্ধারণ।

    প্রশ্ন ২৪। ট্রিফয়েল কী? 

    [রা. বো, '১৯; দি. বো. ১৬]

    উত্তর : আন্তর্জাতিক তেজস্ক্রিয় রশ্মি চিহ্নকে ট্রিফয়েল বলে। 

    প্রশ্ন ২৫। বিস্ফোরক পদার্থ কাকে বলে?

    [বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ, বগুড়া ]

    উত্তর : যেসব পদার্থে আঘাত লাগলে বা আগুন লাগলে প্রচণ্ড বিস্ফোরণ হতে পারে, যার জন্য শরীরের এবং গবেষণাগারের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে, তাদেরকে বিস্ফোরক পদার্থ বলা হয়। 

    প্রশ্ন ২৬। দাহ্য পদার্থ কাকে বলে?

    [বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়, টাঙ্গাইল]

    উত্তর : যেসব পদার্থে দ্রুত আগুন ধরে যেতে পারে তাদেরকে দাহা পদার্থ বলে ।

     প্রশ্ন ২৭। আন্তর্জাতিক রশ্মি চিহ্নটি কত সালে প্রথম কোথায় ব্যবহৃত হয়?

    উত্তর : আন্তর্জাতিক রশ্মি চিহ্নটি ১৯৪৬ সালে আমেরিকাতে প্রথম ব্যবহৃত হয়েছিল ।

    প্রশ্ন ২৮। তেজস্ক্রিয় পদার্থ কাকে বলে?

    উত্তর : যেসব পদার্থ থেকে ক্ষতিকারক রশ্মি বের হয়, যা ক্যান্সারের মতো মরণব্যাধি সৃষ্টি করতে পারে বা একজনকে বিকলাঙ্গ করে দিতে পারে তাকে তেজস্ক্রিয় পদার্থ বলে ।

    প্রশ্ন ২৯। বিষাক্ত পদার্থ কাকে বলে?

    উত্তর : যেসব পদার্থ শরীরে লাগলে বা শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করলে শরীরের নানা ধরনের ক্ষতি হয় তাকে বিষাক্ত পদার্থ বলে।

    প্রশ্ন ৩০। দুটি দাহ্য পদার্থের নাম লিখ।

    উত্তর : দুটি দাহ্য পদার্থ হলো- অ্যালকোহল ও ইথার।


    অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 

    প্রশ্ন ১। ব্রোঞ্জ একটি সংকর ধাতু- ব্যাখ্যা কর ।

     [ সি. বো. ২২ ] 

    উত্তর : দুই বা ততোধিক ভিন্ন প্রকৃতির ধাতুকে গলিয়ে নতুন যে ধাতু তৈরি করা হয় তাকে সংকর ধাতু বলে। ব্রোঞ্জ একটি সংকর ধাতু। কারণ কপার (Cu) ও টিন (Sn) কে গলিয়ে তরলে পরিণত করে। এ তরলদ্বয়কে একত্রে মিশিয়ে অতঃপর মিশ্রণকে ঠাণ্ডা করে কঠিন সংকর ধাতু ব্রোঞ্জ তৈরি করা হয়। যেহেতু ব্রোঞ্জ তৈরিতে দুটি ভিন্ন ধাতু প্রয়োজন তাই ব্রোঞ্জ একটি সংকর ধাতু ।

     প্রশ্ন ২। এন্টাসিড জাতীয় পদার্থ পাকস্থলীর এসিডিটি কীরূপে নিয়ন্ত্রণ করে? ব্যাখ্যা কর।

     [রা. বো. ২২] 

    উত্তর : মানুষের শরীরের বিপাক ক্রিয়ায় অনেকের অতিরিক্ত HCl তৈরি হয়। অতিরিক্ত HCI কে প্রশমিত করার জন্য রোগীকে ডাক্তার এন্টাসিড জাতীয় ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেন। এন্টাসিড হচ্ছে Mg(OH)2 ও Al(OH)3 এর মিশ্রণ। এই ক্ষারক দুটি অতিরিক্ত HCl কে প্রশমিত করে এবং রোগী এসিডিটি থেকে মুক্তি পান। এন্টাসিডের বিক্রিয়া নিম্নরূপ—

    2HCl + Mg(OH)2 → MgCl 2 + 2H2O

      3HCl + Al(OH)3 → AICI3+ 3H2O

    প্রশ্ন ৩। পেটে এসিডিটি হলে এন্টাসিড খেতে হয় কেন? ব্যাখ্যা কর।

     [রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ঢাকা]

     উত্তর : পেটে এসিডিটি হলে এন্টাসিড খেতে হয়। গ্যাস্ট্রিক বা অম্লরোগে ডাক্তার এন্টাসিড খাওয়ার পরামর্শ দেন। কারণ পাকস্থলি থেকে অতিরিক্ত HCI ক্ষরিত হলে গ্যাস্ট্রিক বা অম্লরোগ হয়। তখন এই ক্ষরিত HCI এসিডকে প্রশমিত করতে ডাক্তারগণ ক্ষারধর্মী এন্টাসিড [Mg(OH)2 বা Al(OH)2] খাওয়ার পরামর্শ দেন।

    Mg(OH)2 + 2HCI→MgCl2 + 2H2O 

     এন্টাসিড    অল্প       লবণ      পানি

    প্রশ্ন ৪। এন্টাসিড পাকস্থলীর এসিডিটি সমস্যা সমাধানের জন্য ব্যবহার করা হয় কেন?

     [মাইলস্টোন কলেজ, ঢাকা; গভ: ল্যাবরেটরি হাইস্কুল, রাজশাহী]

     উত্তর : এন্টাসিড পাকস্থলীর এসিডিটি সমস্যা সমাধানের জন্য ব্যবহার করা হয়। কারণ, খাদ্য হজম করতে পাকস্থলীতে হাইড্রোক্লোরিক এসিড নিঃসৃত হয়। কোনো কারণে পাকস্থলীতে এই এসিডের পরিমাণ বেশি হয়ে গেলে তখন পেটে অস্বস্তি বোধ হয়। সাধারণভাবে এটিকে এসিডিটি বলে। তাই এই এসিডকে প্রশমিত করতে এন্টাসিড নামক ওষুধ খেতে হয়। এন্টাসিডে Al(OH)3 ও Mg(OH)2 থাকে। এরা ক্ষার জাতীয় পদার্থ। তাই পেটের অতিরিক্ত হাইড্রোক্লোরিক এসিডকে প্রশমিত করে।

    বিক্রিয়া : Al(OH)3 + 3HCI3 → AICI + 3H2O

                  Mg(OH)2 + 2HCI →MgCl2 + 2H2O

    প্রশ্ন ৫। প্রাকৃতিক বিজ্ঞান বলতে কী বুঝ?

    [ ডাঃ খাস্তগীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ]

     উত্তর : বিজ্ঞানের একটি শাখা হলো প্রাকৃতিক বিজ্ঞান (Natural Science)। প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের কাজ হচ্ছে— যুক্তি দিয়ে, পর্যবেক্ষণ করে অথবা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে প্রাকৃতিক কোনো বিষয় সম্বন্ধে বোঝা বা তার ব্যাখ্যা দেওয়া বা সে সম্বন্ধে ভবিষ্যদ্বাণী করা। রসায়ন প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের একটি শাখা, যেখানে পদার্থের গঠন, ধর্ম ও পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা করা হয়। যেমন- কয়লা একটি পদার্থ, এর ভেতরের রয়েছে C। এক্ষেত্রে কয়লার ভিতরে C পরমাণু কীভাবে থাকে, কয়লাকে পোড়ালে কীভাবে O2 এর সাথে বিক্রিয়া করে CO2 গ্যাস উৎপন্ন করে তা সবই রসায়নে আলোচনা করা হয়।

     প্রশ্ন ৬। আম পাকলে হলুদ হয় কেন?

     [রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ঢাকা] 

    উত্তর : রং এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ। অধিকাংশ ফল পাকলে এর মধ্যে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় হলুদ বর্ণধারী নতুন যৌগের সৃষ্টি হয়। এজন্য আম পাকলে হলুদ বর্ণ ধারণ করে।

    প্রশ্ন  ৭। কাঁচা আম টক কিন্তু পাকা আম মিষ্টি কেন?

    [মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, মিরপুর, ঢাকা] 

    উত্তর : কাঁচা আমে বিভিন্ন ধরনের জৈব এসিড থাকে যেমন- সাক্সিনিক এসিড, ম্যালেয়িক এসিড প্রভৃতি। কিন্তু কাঁচা আম যখন পাকে তখন এই এসিডগুলোর রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজের সৃষ্টি হয়। এ পরিবর্তনের কারণেই কাঁচা আমের টক স্বাদ মিষ্টিতে পরিণত হয়

    প্রশ্ন ৮। কীভাবে Chemistry শব্দের উৎপত্তি হয়?

    উত্তর : মধ্যযুগীয় আরবের রসায়ন চর্চাকে আলকেমি (Alchemy) বলা হতো। আলকেমি শব্দটি এসেছে আরবি আল-কিমিয়া থেকে। আল- কিমিয়া শব্দটি আবার এসেছে কিমি (Chemi) শব্দ থেকে । এই Chemi শব্দ থেকেই Chemistry শব্দের উৎপত্তি।

    প্রশ্ন ৯। ল্যাভয়সিয়েকে রসায়নের জনক বলা হয় কেন?

     উত্তর : অ্যারিস্টটল, জাবির ইবনে হাইয়ানসহ অনেক দার্শনিক মনে করতেন সকল পদার্থ মাটি, আগুন, পানি ও বাতাস মিলে তৈরি। ফলে রসায়নের প্রকৃত রহস্যগুলো তাদের কাছে পরিষ্কার ছিল না। অবশেষে বিজ্ঞানী অ্যান্টনি ল্যাভয়সিয়ে রসায়নের প্রকৃত রহস্য উদ্ভাবন করে রসায়ন চর্চা প্রথম শুরু করেন বলে ল্যাভয়সিয়েকে রসায়নের জনক বলে ।

     প্রশ্ন ১০। রসায়ন বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা করো।

     উত্তর : রসায়নকে জীবনের জন্য বিজ্ঞান বলা হয়। বিজ্ঞানের যে শাখায় পদার্থের নানা ধরনের পরিবর্তন যেমন- রূপান্তর, উৎপাদন এবং নানা ধরনের ধর্ম নিয়ে আলোচনা করা হয় সৃষ্টি, ধ্বংস, বৃদ্ধি, তাই রসায়ন। আধুনিককালে বিজ্ঞানের অবদান বলে খ্যাত বিদ্যুৎ, উপাদানসমূহ রসায়নেরই অংশ। কেননা, এসব বিষয়গুলো পদার্থের চুম্বক, কম্পিউটার ও বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ইত্যাদির বিভিন্ন রাসায়নিক গুণাবলির সমন্বয় ঘটিয়েই তৈরি করা হয় ।

    প্রশ্ন ১১। কাঠ, কয়লা পোড়ানো একটি রাসায়নিক পরিবর্তন— ব্যাখ্যা কর। 

    উত্তর : কাঠ, কয়লা মূলত কার্বনের যৌগ। এগুলোতে আগুন জ্বালানোর অর্থ প্রকৃতপক্ষে কার্বনের দহন । আর যেকোনো প্রকার দহন হলো রাসায়নিক পরিবর্তন। এর ফলে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস, জলীয় বাষ্প ও তাপের উৎপাদন হয় ।

    প্রশ্ন ১২। ফসল উৎপাদনে রাসায়নিক সারের প্রভাব ব্যাখ্যা কর। 

    [য. বো. ২২]

     উত্তর : রাসায়নিক সারের উপাদান হলো নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, কার্বন, ফসফরাস। এ মৌলগুলো উদ্ভিদের জন্য খুব প্রয়োজনীয় উপাদান। বিভিন্ন রাসায়নিক সার যেমন ইউরিয়া, DAP, TSP ইত্যাদিতে এসব মৌলগুলো থাকে। তাই বিভিন্ন ধরনের সার উদ্ভিদের প্রয়োজনীয় পুষ্টি প্রদান করে। ফলে ফসলের উৎপাদন ভালো হয়। এজন্য ফসল উৎপাদনে রাসায়নিক সারের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। 

    প্রশ্ন ১৩। সালোকসংশ্লেষণ মূলত একটি রাসায়নিক বিক্রিয়া— ব্যাখ্যা কর।

     [চ. বো. '২২]

    উত্তর : উদ্ভিদ বাতাস থেকে CO2 এবং মূল দিয়ে পানি শোষণ করে সূর্যালোকের উপস্থিতিতে সবুজ অংশের ক্লোরোফিলের সাহায্যে এই H2O ও CO2 বিক্রিয়া করে গ্লুকোজ (শর্করা) প্রস্তুত করে।

    6CO2(g) + 6H2O( ক্লোরোফিল/সূর্যালোক ) ⟶C6H12O6 + 602 + শক্তি 

    এ প্রক্রিয়াটি সালোকসংশ্লেষণ নামে পরিচিত। এজন্য সালোকসংশ্লেষণ মূলত একটি রাসায়নিক বিক্রিয়া।

    প্রশ্ন ১৪। জীববিজ্ঞানের সাথে রসায়নের কি ধরনের সম্পর্ক বিদ্যমান ব্যাখ্যা কর।

     [ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, মোমেনশাহী]

    উত্তর : সালোকসংশ্লেষণ মূলত একটি রাসায়নিক প্রক্রিয়া। এ প্রক্রিয়ায় উদ্ভিদ সূর্যালোকের উপস্থিতিতে সবুজ অংশের ক্লোরোফিলের সাহায্যে শোষণকৃত পানি আর কার্বন ডাইঅক্সাইডের বিক্রিয়া করে গ্লুকোজ উৎপন্ন করে। বিভিন্ন প্রাণী যে শর্করা বা প্রোটিন জাতীয় খাবার খায় শরীর সেই খাবার ভেঙে গ্লুকোজ, অ্যামাইনো এসিড ইত্যাদি উৎপন্ন করে। সমগ্র জীবদেহই রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে তৈরি। উদ্ভিদ ও প্রাণীদেহের এ সকল রাসায়নিক পদার্থ ও তাদের মধ্যে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়া জীববিজ্ঞানে আলোচনা করা হয়। তাই বলা যায়, জীববিজ্ঞান ও রসায়ন পরস্পর সম্পর্কযুক্ত।

    প্রশ্ন ১৫। রসায়ন পাঠের গুরুত্ব লিখ।

    [কুমিল্লা জিলা স্কুল, কুমিল্লা]

    উত্তর : মানুষের মৌলিক চাহিদা যেমন অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসাও শিক্ষার উপকরণ জোগানে রসায়ন সার্বক্ষণিকভাবে নিয়োজিত। কলেরা, টাইফয়েড, যক্ষ্মা ইত্যাদি যে সমস্ত রোগ মানুষের জন্য অতি সাধারণ চিকিৎসাযোগ্য রোগ, একসময় এ ধরনের রোগেই লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা যেতো। রসায়ন জ্ঞান ব্যবহার করে এ সকল রোগের ওষুধ সফলতার সাথে মানুষ আবিষ্কার করেছে। জমিকে উর্বর করার জন্য সার, পোকা দমনের জন্য কীটনাশক কিংবা খাদ্য সংরক্ষণের জন্য প্রিজারভেটিকস সবকিছুই আমরা রসায়ন পাঠের মাধ্যমে জানতে পারি। তাই রসায়ন পাঠের গুরুত্ব অপরিসীম।

    প্রশ্ন ১৬। ভিনেগার কীভাবে আচারকে সংরক্ষণ করে? 

    উত্তর : আচার সংরক্ষণের জন্য ভিনেগার বা সিরকা ব্যবহার করা হয়। আচার পচে যাওয়ার জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়া। ভিনেগারের ইথানয়িক এসিডের H' আয়ন ব্যাকটেরিয়ার প্রোটিন ও ফ্যাটকে আর্দ্রবিশ্লেষিত করে। ফলে ব্যাকটেরিয়া মরে যায়। এতে করে আচারপচনের হাত থেকে রক্ষা পায় ।

    প্রশ্ন ১৭। বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইড বৃদ্ধির কারণ কী?

     উত্তর : মানুষ বিভিন্ন ক্ষেত্রে জ্বালানি হিসেবে কেরোসিন, প্রাকৃতিক গ্যাস, পেট্রোল, ডিজেল ব্যবহার করে থাকে। এসব জ্বালানি ব্যবহারের ফলে বিপুল পরিমাণ কার্বন ডাইঅক্সাইড তৈরি হয় । এছাড়া চুলোয় রান্না করার সময় কাঠ বা প্রাকৃতিক গ্যাস পুড়ে কার্বন ডাইঅক্সাইড তৈরি হয়। এর ফলে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় ।

    প্রশ্ন ১৮ । শিল্প-কারখানায় রসায়নের ব্যবহার লেখ।

    উত্তর : বর্তমান যুগে রসায়নের পরিচিতি শুধুমাত্র শিল্প-কারখানার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে রসায়নের প্রয়োগ রয়েছে। যেমন- শিল্প কারখানায় তেল, চিনি, কাগজ, কলম, ওষুধপত্র, কাপড়, শ্যাম্পু, সাবান, রড, সিমেন্ট থেকে শুরু করে আমাদের ব্যবহার্য অনেক সামগ্রী রসায়নের মাধ্যমে প্রস্তুত করা হয়।

    প্রশ্ন ১৯। অ্যারোসল বোতলে কোন সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার হয়? ব্যাখ্যা কর।

     [ব. বো. ১৯]

     উত্তর : অ্যারোসল দাহ্য (Flammable) পদার্থ, যা তাপ বা আগুনের সংস্পর্শে সহজেই আগুন ধরে যেতে পারে। এই জন্য অ্যারোসল বোতলের গায়ে আগুনের শিখা সংবলিত সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করা হয় । দাহ্য পদার্থের সাংকেতিক চিহ্নটি হলো-

    প্রশ্ন ২০। রসায়ন গবেষণাগারে ক্লাস করার সময় অ্যাপ্রোন ব্যবহার প্রয়োজন কেন?

     [গভ. ল্যাবরেটরি হাইস্কুল, রাজশাহী]

     উত্তর : রসায়ন গবেষণাগারে ক্লাশ করার সময় নিম্নোক্ত কারণে অ্যাপ্রোন ব্যবহার প্রয়োজন—

    (i) এসিড বা ক্ষার গায়ে পড়লে শরীরে ক্ষত সৃষ্টি হতে পারে বা পোশাকে পরলে পোশাকটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই শরীর ও পোশাককে রক্ষা করার জন্য অ্যাপ্রোন পরতে হবে।

     (ii) ল্যাবে বা গবেষণাগারে অন্য জামা-কাপড়ের উপরে অ্যাপ্রোন পরিধান করে কাজ করার মানসিক পূর্বপ্রস্তুতি লাভ করে। তাছাড়া এটি দ্রব্যের স্পর্শ থেকে শরীরকে রক্ষা করে।

    প্রশ্ন ২১। বিস্ফোরক পদার্থ বলতে কী বুঝায়?

    [ বিগুড়া জিলা স্কুল]

     উত্তর : যেসব দ্রব্য অস্থিত এবং নিজে নিজেই বিক্রিয়া করতে পারে তাদেরকে বিস্ফোরক পদার্থ বলা হয়। যেমন- টিএনটি, জৈব পার- অক্সাইড, নাইট্রো গ্লিসারিন ইত্যাদি। এসব পদার্থ ব্যবহারের সময়

    মনে রাখতে হবে এসব পদার্থে আঘাত লাগলে বা আগুন লাগলে প্রচন্ড বিস্ফোরণ হতে পারে, যার জন্য শরীরের এবং গবেষণাগারের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।

    প্রশ্ন ২২। পরীক্ষাগারে মাস্ক ব্যবহার করা হয় কেন? 

    উত্তর : পরীক্ষাগারে কোনো কোনো পরীক্ষায় মারাত্মক বিষাক্ত ও দুর্গন্ধযুক্ত গ্যাস নির্গত হয়। এসব নির্গত গ্যাসের প্রভাবে চোখে পানি আসা, মাথা ব্যথা করা, বমি আসা, শ্বাসকষ্ট হওয়া এমনকি শিক্ষার্থী জ্ঞান পর্যন্ত হারিয়ে ফেলতে পারে। মাস্ক ব্যবহারের ফলে এরূপ দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা যথেষ্ট কমে যায়।

    প্রশ্ন ২৩। ল্যাবরেটরিতে বিশেষ পোশাক পরিধান করতে হয় কেন?

    উত্তর : ল্যাবরেটরিতে দুর্ঘটনা এড়াতে বিশেষ পোশাক পরিধান করতে হয়। ল্যাবরেটরিতে যে সকল রাসায়নিক পদার্থ নিয়ে কাজ করা হয় সেগুলো অত্যন্ত বিপজ্জনক। এজন্য ল্যাবরেটরিতে ঢিলে-ঢালা পোশাক পরা উচিত নয়। এ সময় রাসায়নিক পদার্থ থেকে কাপড় ও শরীরকে রক্ষা করতে এপ্রোন পরা উচিত। তাছাড়া খালি হাতে কোনো রাসায়নিক পদার্থ ধরা উচিত নয়। এজন্য সব সময় হ্যান্ড গ্লাভস্ পরে থাকা উচিত ।

    প্রশ্ন ২৪। ল্যাবরেটরিতে নিরাপদ চশমা বা গগলস পরার প্রয়োজনীয়তা কী?

    উত্তর : চোখ মানুষের অমূল্য সম্পদ। ল্যাবরেটরিতে বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদানকে বার্নারে তাপ দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। এ সময় নিজের বা অন্যের অসাবধানতার কারণে বিভিন্ন ক্ষতিকারক রাসায়নিক উপাদান এমনকি তীব্র এসিড বা ক্ষার ছিটকে গিয়ে চোখে মুখে পড়তে পারে। এতে চোখ চিরদিনের জন্য অন্ধ হয়ে যেতে পারে। চোখে সেফটি গ্লাস বা গগলস্ পরা থাকলে এরূপ দুর্ঘটনার হাত থেকে অনেকটাই রক্ষা পাওয়া যায় ।

    প্রশ্ন ২৫। সার্বজনীন সাংকেতিক চিহ্ন বলতে কী বোঝ?

    উত্তর : রাসায়নিক পদার্থসমূহ সরবরাহ বা সংরক্ষণ করতে হলে তার গায়ে লেবেলের সাহায্যে শ্রেণিভেদ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। ফলে ব্যবহারকারী সহজেই ঐ চিহ্ন সম্বলিত পদার্থ সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারে। এ ধরনের চিহ্নকে সাংকেতিক চিহ্ন বলা হয়। এ চিহ্নসমূহ পৃথিবীর সকল দেশে একইভাবে একই উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়। তাই এ চিহ্নগুলোকে সার্বজনীন সাংকেতিক চিহ্ন বলা হয়। এ চিহ্নগুলো ব্যবহারের ফলে কোনোরূপ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকে না ।

    প্রশ্ন ২৬ । সাংকেতিক চিহ্ন দ্বারা কী বোঝানো হয়?



    সাংকেতিক চিহ্ন দ্বারা কী বোঝানো হয়?

    উত্তর : সাংকেতিক চিত্র দ্বারা যথাক্রমে “পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর” এবং তেজস্ক্রিয় পদার্থ বোঝানো হয়।

    ১.পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর : উদ্ভিদ ও প্রাণী উভয়ের জন্যই বিপজ্জনক। এ ধরনের পদার্থের উদাহরণ হলো লেড, মার্কারি ইত্যাদি। এগুলো ব্যবহারের পরে যেখানে-সেখানে না ফেলে তা নির্দিষ্ট স্থানে রাখতে হবে যাতে এগুলো সহজে পরিবেশে ছড়িয়ে পড়তে না পারে।

    ২. তেজস্ক্রিয় পদার্থ : এসব পদার্থ থেকে ক্ষতিকারক রশ্মি বের হয় যা ক্যান্সারের মতো মরণব্যাধি সৃষ্টি করতে পারে কিংবা একজনকে বিকলাঙ্গ করে দিতে পারে। যেমন : ইউরেনিয়াম, রেডিয়াম ইত্যাদি তেজস্ক্রিয় পদার্থ ।

    প্রশ্ন ২৭। রাসায়নিক দ্রব্য সংগ্রহ বা পরীক্ষণের পূর্বে তার কার্যকারিতা সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা থাকা জরুরি কেন?

    উত্তর : রসায়ন পরীক্ষণ নির্ভর বিজ্ঞান হওয়ায় অনুসন্ধান ও গবেষণার কাজে রাসায়নিক দ্রব্যের যথেষ্ট ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়। তবে অনেক রাসায়নিক পদার্থ স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। কিছু রাসায়নিক দ্রব্য আছে যা সহজেই বিস্ফোরণযোগ্য, বিষাক্ত, দাহ্য, স্বাস্থ্যসংবেদনশীল কিংবা ক্যান্সার সৃষ্টিকারী। এজন্য সতর্কতামূলক পূর্ব পদক্ষেপ হিসেবে রাসায়নিক দ্রব্যের কার্যকারিতা সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরি।

    প্রশ্ন ২৮। স্বাস্থ্য-ঝুঁকিপূর্ণ পদার্থসমূহের ক্ষতিকর প্রভাব ব্যাখ্যা কর ।

     উত্তর : স্বাস্থ্য ঝুঁকিপূর্ণ পদার্থসমূহ ত্বকের সংস্পর্শে আসলে বা শ্বাস- প্রশ্বাসের সাথে শরীরের ভেতরে গেলে শরীরের স্বল্পমেয়াদি বা দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতিসাধন করে। এ পদার্থসমূহ শরীরের মধ্যে প্রবেশ করলে ক্যান্সারের মতো কঠিন রোগ হতে পারে কিংবা শ্বসনতন্ত্রের ক্ষতিসাধন করতে পারে।

    তাহারেই পড়ে মনে (HSC Bangla) বোর্ড পরীক্ষার প্রশ্ন কুইজ-১


    আর পড়ুন: ভিডিও ক্লাস(Admission Physics)

     আর পড়ুন :Admission ICT


    এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

    পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
    এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

    অর্ডিনেট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

    comment url