কৃষিজ উৎপাদন

অধ্যায় ৪: কৃষিজ উৎপাদন

আমাদের  ওয়েবসাইট “অর্ডিনেট আইটি.কম” ও  চ্যানেল ”অর্ডিনেট ক্লাসরুম  ”আপনাদের  স্বাগতম । 
আমরা একটি ভিন্ন প্রজন্মের স্বপ্ন দেখি। আমরা অধিক চিন্তাশীল প্রজন্ম গড়তে চাই, আলাদা মানুষ যাদের আগে চিন্তা করার অভ্যাস থাকবে। আমরা মানুষ কেন? কারণ আমরা চিন্তা করি, এবং সেই চিন্তাকে মুক্তচিন্তা হতে হবে। আর মুখস্থ করে আর যা ই হোক, বিজ্ঞান শিক্ষা হতে পারে না। আর সেই প্রচেষ্টারই অংশ হল আমাদের কনটেন্ট ও ভিডিও লেকচার। এই কনটেন্ট ও  ভিডিওগুলির উদ্দেশ্য হল প্রতিটি বিষয় এমনভাবে শেখানোর চেষ্টা করা যাতে আপনি বইয়ের বাইরেও অনেক কিছু ভাবতে পারেন। আর আপনি যখন চিন্তাশীল মানুষ হবেন, তখন আপনি নিজেই বুঝবেন এই দেশকে আলাদা করতে আমাদের কী করতে হবে, কতদূর যেতে হবে।


পেজ সূচিপত্র :অধ্যায় ৪:কৃষিজ উৎপাদন

তথ্যকণিকা(Information)

এখানে অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমূহ একনজরে দেখার জন্য দেওয়া হয়েছে।

  • দানা জাতীয় ফসলের মধ্যে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি চাষ ও উৎপাদন হয় ধানের।
  • গাছ খাটো ও মজবুত, পাতা ধাড়া ও সবুজ, ফলন বেশি হয়- উফশী ধানের।
  • ধানের বীজ বাছাইকরণে প্রয়োজনীয় উপাদান- ইউরিয়া।
  • ধানের চারা সবুজ রাখতে ইউরিয়া প্রয়োগের পর জমিতে আরও দিতে হয়— জিপসাম ।
  • ধান গাছের মাঝ ডগা সাদা ও শীষে সাদা চিটা হয়- মাজরা পোকার আক্রমণে।
  • ধানের দুধ সৃষ্টির সময় আক্রমণ করে- গান্ধি পোকা।
  • ভাইরাসের আক্রমণে ধান গাছে সৃষ্টি হয়- টুংরো রোগ ।
  •  BIRI উদ্ভাবিত তোষা পাটের জাতের সংখ্যা- ১৬টি
  •  কচি ও বয়স্ক উভয় ধরনের পাট পাতা খেয়ে ফেলে উড়চু 
  • পাট গাছ শুকিয়ে মারা যায় কালোপট্টি রোগে।
  • শুকনো ক্ষতরোগ দেখা যায় শুধুমাত্র দেশি পাটে। 
  • সকালে শিশির ভেজা অবস্থায় সংগ্রহ করা উত্তম- সরিয়া।
  • বিভিন্ন জাতের সরিষার বীজে তেলের পরিমাণ– ৪০-৪৪%।
  • সরিষার খৈলে আমিষের পরিমাণ— ৪০%।
  • মাসকলাই চাষের জন্য উপযোগী মাটি— দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ ।
  • একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৈনিক সবজি খাওয়া প্রয়োজন— ১১৫ গ্রাম ।
  • বেগুন, ঢেঁড়স, পেঁপে, কাঁচকলা ইত্যাদি— বারমাসি সবজি ।
  • বেগুনের ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকা দূরীকরণে ব্যবহার করা হয়- সুমিথিয়ন বা ম্যালাথিয়ন ।
  • মিষ্টিকুমড়ায় প্রচুর পরিমাণে আছে— ভিটামিন-এ।
  • লাউ গাছে সবচেয়ে বেশি আক্রমণকারী পোকা— রেড পামকিন বিটল
  • নাইট্রোজেন সার ব্যবহারের প্রয়োজন হয় না— শিম চাষে ।
  •  দুই রঙা গোলাপের জাত হলো- আইক্যাচার।
  • গোলাপের পাতায় দাগ পড়ার জন্য দায়ী হলো- ছত্রাক।
  • গ্রীষ্মের ও বর্ষার শেষে কলম চারা তৈরি করা যায়— বেলি ফুলের।
  •  বেলি ফুলের ডাল ছাঁটাই করতে হয়— শীতের মাঝামাঝি ।
  • ডায়াবেটিস রোগের উপশমে ব্যবহৃত হয়— কলার থোড়।
  •  কলার চারাকে বলে— তেউড়।
  • কলার ছত্রাকজনিত রোগ হলো— পানামা, সিগাটোগা ।
  • কলার পাতা হলদে হয়ে বোঁটার কাছে ভেঙে ঝুলে এবং কাণ্ড ফেটে যায়— পানামা রোগে।
  • পানামা রোগ প্রতিরোধে ব্যবহৃত ছত্রাকনাশক— টিল্ট-২৫০ ইসি ।
  •  ভিটামিন এ, ভিটামিন বি ও ভিটামিন সি এর উৎকৃষ্ট উৎস— আনারস।
  • আনারসের মাথায় সোজাভাবে যে চারাটি উৎপন্ন হয় তা হলো- মুকুট চারা।
  • আনারসে বোঁটার নিচে কিন্তু মাটির উপরে কাণ্ড থেকে যে চারা বের হয় তাকে বলে- পার্শ্বচারা।
  • চাষের জন্য ছুঁয়ে চারা ও পার্শ্বচারা সবচেয়ে ভালো— আনারস ফসলে।
  • ফুলকা ছাড়াও অতিরিক্ত শ্বসনতন্ত্র রয়েছে— মাগুর মাছের।
  • নিচু বা বন্যাপ্রবণ এলাকায় পালনের জন্য হাঁস নির্বাচন করতে হয়- বাড়ন্ত ও বয়স্ক।
  • বন্যা আক্রান্ত এলাকায় নেটের বেষ্টনীকৃত পুকুরে চাষোপযোগী মাছ— শিং ও মাগুর ।
  • প্রতি শতাংশ পুকুরের জন্য উন্নতজাতের হাঁস বা মুরগি পালন করা যায়— ২টি ।
  • ধানক্ষেতে মাছ ও গলদা চিংড়ি চাষ করলে ফলন বৃদ্ধি পায়— ১৫% । 
  • ঘাসজাতীয় খাদ্য খায় – গ্রাসকার্প।
  •  ধান-চিংড়ি সমন্বিত চাষে চিংড়িকে সম্পূরক খাদ্য সরবরাহ করতে হয় দেহের ওজনের ৩-৫% ।
  • প্রসবের পর গাভি শাল দুধ দেয়— ৫-৭ দিন পর্যন্ত ।
  • গাভির শরীর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতিদিন দানাদার খাদ্য দিতে হবে— ১.৫ কেজি ।
  • প্রচুর বৃষ্টিপাত হয় এমন এলাকায় ভেড়া পালনের জন্য উপযোগী— আবদ্ধ ঘর।
  • হাঁস-মুরগির ঘর হতে হয়— দক্ষিণমুখী ।
  • খাকি ক্যাম্বেল জাতের হাঁস বছরে ডিম দেয়- ২৫০-৩০০ টি।
  • বিশ্বে আম উৎপাদনে বাংলাদেশের স্থান হলো— অষ্টম।
  • ঘাস জাতীয় উদ্ভিদ হলো— বাঁশ।
  • কাশি, ফোঁড়া পোকা, শোথ, প্রসাবজনিত রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়— সোনালি বাঁশ ।
  • বদহজম ও আমাশয় নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়— থানকুনি।
  • সর্দি-কাশি নিরাময়ে বেশ উপকারী উদ্ভিদ হলো – তুলসী ।
  •  ভিটামিন 'সি' সমৃদ্ধ ফল- আমলকী।
  • পেটের পীড়া ও হাঁপানি রোগে উপকারী উদ্ভিদ- বহেরা । 
  • তেলাকুচা উদ্ভিদের কাণ্ড ও পাতার নির্যাস ব্যাপক ব্যবহৃত হয়— ডায়াবেটিস রোগের চিকিৎসায় ।


জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর সাজেশন

ক নং প্রশ্ন (জ্ঞানমূলক)

প্রশ্ন-১. কোন ধরনের জমিতে ধান ফসল ভালো হয়?

উত্তর: উঁচু, মাঝারি, নিচু সব ধরনের জমিতেই ধানের ফলন ভালো হয়।

প্রশ্ন-২. ব্রি (BRRI) কী?

উত্তর: ব্রি (BRRI) হলো Bangladesh Rice Research Institute বা বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট।

প্রশ্ন-৩. আধুনিক ধান কাকে বলে? 

উত্তর: উফশী ধানে বিশেষ গুণাগুণ যেমন- রোগবালাই সহনশীলতা, স্বল্প জীবনকাল, খরা ও লবণাক্ত সহিষ্ণুতা ইত্যাদি সংযোজিত হলে তাকে আধুনিক ধান বলে।

প্রশ্ন-৪. উফশী ধান কী?

উত্তর: উচ্চফলনশীল ধানকে উফশী ধান বলা হয়।

প্রশ্ন-৫. দাপোগ বীজতলা কী?

 উত্তর: প্রতিকূল পরিবেশে একটানা বৃষ্টিপাত হলে বীজতলায় চারা তৈরি সম্ভব না হলে উঠোন বা বারান্দা বা কোনো চালার নিচে ইট, বাঁশ, তক্তা, পাইপ বা কলাগাছ চারপাশে দিয়ে তার উপর পলিথিন, ত্রিপল বা কলাপাতা বিছিয়ে চারা উৎপাদনের ব্যবস্থা করা হয়, যাকে দাপোগ বীজতলা বলে।

প্রশ্ন-৬. টুংরো রোগের কারণ কী?

উত্তর: ভাইরাসের আক্রমণের ফলে টুংরো রোগ হয়।

প্রশ্ন-৭. দেশি পাটের জাতের নাম উল্লেখ করো ।

উত্তর: দেশি পাটের জাত হলো- সিভিএল-১, সিভিই-৩, সি সি-৪৫, ডি-১৫৪, এটম পাট-৩৮ ইত্যাদি।

প্রশ্ন-৮. সরিষা ফসল কখন সংগ্রহ করা উত্তম?

উত্তর: সকলের ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় শিশিরভেজা অবস্থায় সরিষা ফসল সংগ্রহ করা উত্তম।

প্রশ্ন-৯.বাংলাদেশের চাষকৃত ডাল ফসলের মধ্যে মাসকলাইয়ের স্থান কত তম?

উত্তর: বাংলাদেশে চাষকৃত ডাল ফসলের মধ্যে মাস কলাইয়ের স্থান চতুর্থ।

প্রশ্ন-১০.সরিষা কোন ধরনের ফসল?

উত্তর: সরিষা একটি তেল জাতীয় ফসল।

প্রশ্ন-১১.প্রতি শতকে কত গ্রাম সরিষা বীজ লাগে? 

উত্তর: ২৮-৩২ গ্রাম ।

প্রশ্ন-১২. শাকসবজিতে কোন ধরনের খাদ্যমান থাকে?

উত্তর: শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি, সি এবং আমিষ, ক্যালরি ও খনিজ লবণ থাকে।

প্রশ্ন-১৩. সবুজ বাংলা কী?

উত্তর: সবুজ বাংলা হলো পালংশাকের একটি জাতের নাম।

প্রশ্ন-১৪.চারা রোপণের কত দিনের মধ্যে বেগুন গাছে ফুল আসে?

উত্তর: চারা রোপণের ৩০-৪০ দিনের মধ্যে বেগুন গাছে ফুল আসে।

প্রশ্ন-১৫. কোন জাতের কুমড়ার জন্য মাচা তৈরি করতে হয় না?

 উত্তর: বৈশাখী কুমড়ার জন্য মাচা তৈরি করতে হয় না।

প্রশ্ন-১৬. মিষ্টি কুমড়ায় প্রচুর পরিমাণে কোন ভিটামিন থাকে?

উত্তর: মিষ্টি কুমড়ায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন 'এ' থাকে।

প্রশ্ন-১৭. শিম চাষের জন্য কোন মাটি উত্তম?

উত্তর: শিম চাষের জন্য দোঁআশ মাটি উত্তম।

প্রশ্ন-১৮. কলার কয়েকটি জাতের নাম লেখো। 

উত্তর: অমৃতসাগর, সবরি, চাপা, এঁটে কলা, কাঁচকলা, বারি কলা-১ প্রভৃতি হলো কলার জাত।

প্রশ্ন-১৯.তেউড় কাকে বলে? 

[রং বো, সি. বো. ২০২৩]
উত্তর: কলার চারাকে তেউর বলে ।

প্রশ্ন- ২০. সাকার কী?

 উত্তর: মাতৃগাছ থেকে বের হওয়া নতুন চারাগাছ যা বৃদ্ধির প্রথম পর্যায়ে মাতৃগাছ থেকেই খাদ্য গ্রহণ করে।

প্রশ্ন-২১.হানিকুইন কোন ফসলের জাত? 

(দিনাজপুর বোর্ড 2022]
উত্তর: আনারসের একটি জাত হলো হানিকুইন।

প্রশ্ন-২২. কেয়ারি কী? 

 উত্তর: গোলাপের চারা লাগানোর জন্য তৈরিকৃত বেড।

প্রশ্ন-২৩. জিওল মাছ কী? 

উত্তর: যে সকল মাছের দেহে ফুলকা ছাড়াও অতিরিক্ত শ্বসনতন্ত্র থাকে, যার মাধ্যমে তারা বাতাস থেকে সরাসরি অক্সিজেন নিতে পারে, তাদের জিওল মাছ বলে।

 প্রশ্ন-২৪. ক্যাটফিশ কী

 উত্তর: সিলুরিফরমিস বর্গের অন্তর্ভুক্ত মাছ যাদের শরীরে আঁশ নেই এবং মুখে বিড়ালের ন্যায় লম্বা গোঁফ বা শুঁড় আছে তাদেরকে ক্যাটফিশ বলে।

 প্রশ্ন-২৫. সমন্বিত মাছ চাষ কাকে বলে?

উত্তর: বিজ্ঞানসম্মতভাবে কোনো পুকুরে মাছ ও হাঁস-মুরগি একই সময়ে চাষ করার পদ্ধতিকে সমন্বিত মাছ চাষ বলে। 

প্রশ্ন-২৬. হাঁস ও মাছের সমন্বিত চাষ কী?

উত্তর: কোনো পুকুরে বা বিজ্ঞানসম্মত  জলাশয়ে একই সময়ে অল্প খরচে একত্রে চাষ করাকে হাঁস ও মাছের মাছ ও হাঁস সমন্বিত চাষ বলে।

 প্রশ্ন-২৭.হাঁস ও মাছের সমন্বিত চাষে কত সে. মি. আকারের পোনা ছাড়তে হয়? 

উত্তর: হাঁস ও মাছের সমন্বিত চাষে ৮-১২ সে.মি. আকারের বিভিন্ন কার্পজাতীয় মাছের পোনা ছাড়তে হয়।

প্রশ্ন-২৮.একজন পূর্ণ বয়স্ক মানুষের কতটুকু আমিষ প্রয়োজন?

 উত্তর: একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৈনিক ৮০ গ্রাম আমিষ প্রয়োজন।

প্রশ্ন-২৯. গো-খাদ্য কাকে বলে?

উত্তর: গবাদিপশু যে সকল উপাদান খাদ্যরূপে গ্রহণ করে এবং পরিপাক, শোষণ ও বিপাকের মাধ্যমে দেহে শক্তি উৎপাদন করে তাকে গো-খাদ্য বলে।

প্রশ্ন-৩০. হাঁস পালনের সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি কী?

 উত্তর: হাঁস পালনের সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হলো উন্মুক্ত পদ্ধতি।

প্রশ্ন-৩১. বাঁশ কোন ধরনের উদ্ভিদ?

উত্তর: বাঁশ ঘাস জাতীয় উদ্ভিদ।

প্রশ্ন-৩২.ভেষজ উদ্ভিদ কী?

উত্তর: রোগব্যাধি উপশমে ঔষধি হিসেবে যেসব উদ্ভিদ ব্যবহার করা হয় তাই হলো ভেষজ উদ্ভিদ।

প্রশ্ন-৩৩ ত্রিফলা কী? 

উত্তর: হরিতকী, আমলকী, বহেড়া এই তিন ফলের সমাহার হলো ত্রিফলা।

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর  

খ নং প্রশ্ন (অনুধাবনমূলক)

প্রশ্ন-১.ধান বীজ বপনের পূর্বে ইউরিয়া মিশ্রিত পানিতে ডুবিয়ে | নিলে কোন ধরনের সুবিধা হয়? ব্যাখ্যা করো ।

 উত্তর: বীজতলায় বপনের পূর্বে সুস্থ, পরিষ্কার ও পুষ্ট বীজ বাছাইকরণে ইউরিয়া মিশ্রিত পানিতে ডুবিয়ে রাখা হয়।দশ লিটার পানিতে ৩৭৫ গ্রাম ইউরিয়া সার মিশিয়ে প্রাপ্ত দ্রবণে ১০ কেজি বীজ ছেড়ে হাত দিয়ে নেড়ে চেড়ে দিলে পুষ্ট বীজ ডুবে নিচেজমা হয় এবং অপুষ্ট ও হালকা বীজগুলো পানির উপরে ভেসে উঠে। হাত বা চালনি দিয়ে ভাসমান বীজগুলো সরিয়ে নিলেই পানির নিচ থেকে ভালো বীজ পাওয়া যায়।ফলে খারাপ, অপুষ্ট ও হালকা বীজগুলো সহজেই চিহ্নিত ও দূর করা যায়। পরবর্তীতে উক্ত ইউরিয়া মেশানো পানি বীজতলায় সার হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

প্রশ্ন-২. কোন পরিস্থিতিতে ধান গাছ পুড়ে যাওয়ার রং ধারণ করে মরে যায় লেখো।

উত্তর: বাদামি গাছ ফড়িংয়ের আক্রমণে ধান গাছ পুড়ে যাওয়ার রং ধারণ করে মারা যায় ।
বাদামি গাছ ফড়িং ধান গাছের একটি ক্ষতিকারক পোকা। এই পোকা ধানের গোড়ায় বসে রস চুষে খায়। ফলে গাছ পুড়ে যাওয়ার মতো রং ধারণ করে মারা যায়। একে হপার বার্ন বলা হয় ।

প্রশ্ন-৩. উফশী জাতের ধানের চারটি বৈশিষ্ট্য লেখো।

বা, ধানের উফশী জাতের দুইটি বৈশিষ্ট্য লেখো। 


 উত্তর: বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট প্রতিনিয়ত যে নতুন নতুন উচ্চফলনশীল জাতের ধান উদ্ভাবন করছে তাকে উফশী ধান বলে
 উচ্চ ফলনশীল ধান বা উফশী ধানের ৪টি বৈশিষ্ট্য হলো-
  • গাছ মজবুত এবং পাতা খাড়া হয়।
  • শীষের ধান পেকে গেলেও গাছ সবুজ থাকে। 
  • খড়ের চেয়ে ধানের উৎপাদন বেশি হয়।
  • পোকা ও রোগের আক্রমণ কম হয়।

 প্রশ্ন-৪. বীজতলায় রাসায়নিক সার ব্যবহার না করা উত্তম কেন?

উত্তর: বীজতলায় রাসায়নিক সার ব্যবহার করলে মাটির বুনট নষ্ট হয়, পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি হয়. ও মাটির উপকারী জীবাণুর বংশবৃদ্ধি ব্যাহত হয়। এছাড়া এটি বীজ, লতাগুল্ম, গাছের কচি অংশ ইত্যাদির সংস্পর্শে এসে পুড়িয়ে ফেলতে পারে। তাই রাসায়নিক সার ব্যবহার না করাই উত্তম।

প্রশ্ন-৫. আধুনিক ধান বলতে কী বোঝ?

অথবা, সকল উফশী ধান আধুনিক নয়— ব্যাখ্যা করো।

 উত্তর: যে ধান গাছের সার গ্রহণ করার ক্ষমতা অধিক এবং ফলন বেশি হয় তাকে উফশী ধান বলে।
উফশী জাতের ধানের গাছ খাটো, মজবুত ও পাতা খাড়া হয়। ধান পেকে গেলেও গাছ সবুজ থাকে। উফশী ধানে যখন প্রয়োজনীয় বিশেষ গুণাগুন যেমন- রোগবালাই সহনশীলতা,
 জীবনকাল, চিকন চাল, খরা, লবণাক্ততা ও জলমগ্নতা সহিষ্ণু। ইত্যাদি সংযোজিত হয় তখন তাকে আধুনিক ধান বলে। অর্থাৎ সকল আধুনিক ধানে উফশী গুণ বিদ্যমান থাকে
 কিন্তু সকল উফশী ধান আধুনিক ধান নয়।

৬. বপনের আগে বীজ শোধন করে নিতে হয় কেন?

উত্তর: ফসলের বীজবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য বীজ শোধন করা হয়।
আমাদের দেশে উৎপাদিত ফসলে বিভিন্ন ধরনের বালাই বীজের সাথে সম্পৃক্ত থাকে। এসব বালাই উপযুক্ত পরিবেশে বিস্তৃত হয়ে ফসলকে আক্রমণ করে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করে।
 শোধক ব্যবহারের মাধ্যমে বীজের রোগজীবাণু দমন করা যায়। ফলে বীজ সুন্দরভাবে গজায়, চারা সুস্থ-সবল হয় এবং দ্রুত বেড়ে ওঠে। তাই বীজ বপনের আগে শোধন করা প্রয়োজন ।

প্রশ্ন-৭. শাকসবজির অর্থনৈতিক গুরত্ব ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: শাকসবজি উৎপাদনে একদিকে পরিবারের চাহিদামেটানো যায় অন্যদিকে এগুলো বিক্রি করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবানও হওয়া যায়।শাকসবজি চাষ করে পতিত জমির 
ব্যবহার করা যায়, বৈদেশিক মুদ্রা আয়, বেকার সমস্যার সমাধান, নতুন শিল্পের সৃষ্টি ও বিকাশ ঘটে এবং মহিলা ও পারিবারিক  শ্রমশক্তিকে কাজে লাগানো যায়।

প্রশ্ন-৮. শিম চাষে ইউরিয়া সার প্রয়োগের প্রয়োজন হয় না কেন? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: শিম লিগিউম পরিবারের ফসল বলে শিম চাষে ইউরিয়া সার প্রয়োগের প্রয়োজন হয় না।
লিগিউম জাতীয় ফসলের শিকড়ে নডিউল বা গুটি তৈরি হয়। এই নডিউলে প্রচুর বায়ুমণ্ডলীয় নাইট্রোজেন জমা থাকে যা উদ্ভিদের প্রয়োজনীয় নাইট্রোজেনের চাহিদা পূরণ করে থাকে। তাই শিম ফসল চাষে ইউরিয়া প্রয়োগ করার প্রয়োজন হয় না ।

প্রশ্ন-৯. মাসকলাই এর পাতাসহ গাছ কেন সাদা জালিকার মত হয়? ব্যাখ্যা করো।

 উত্তর: মাসকলাই ফসলের পোকাসমূহের মধ্যে বিছা পোকা অন্যতম। বিছা পোকার আক্রমণে মাসকলাই এর পাতাসহ সমস্ত গাছ সাদা জালিকার মতো হয়ে যায়। 
ফলে ফলন কমে যায়। বিছা পোকা পাতা ও অপরিপক্ক সবুজ ফলের রস খেয়ে ফেলে। এছাড়াও গুদামজাত মাসকলাই ডাল পূর্ণবয়স্ক পোকা ও কীড়া উভয়ই ক্ষতি করে থাকে।

প্রশ্ন-১০. গোলাপকে ফুলের রানী বলা হয় কেন?

 উত্তর: গোলাপকে ফুলের রানী বলা হয়ে থাকে। এর কারণ গোলাপের রয়েছে মনমাতানো রং এবং মিষ্টি সুবাস। পৃথিবীর সব দেশের সব মানুষের কাছেই এর কদর অত্যন্ত বেশি। 
তাই একে ফুলের রানী বলা হয় ।

প্রশ্ন-১২.গোলাপ গাছের ডাল-পালা ছাঁটাই করা হয় কেন?

উত্তর: গোলাপ গাছের ডাল ছাঁটাইয়ের পর মূল ডালে অনেক পত্রমুকুল ও ফুলকুঁড়ি জন্মায়। সবগুলো কুঁড়ি ফুটতে দিলে ফুল তেমন বড় হয় না।তাই বড় ফুল ফোটার জন্য আসল কুঁড়ি রেখে পাশের কুঁড়ি গুলো ধারালো চাকু দিয়ে কেটে দিতে হয়। 

প্রশ্ন-১৩.বেলি ফুলের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করো। 

 উত্তর: বাংলাদেশের অধিকাংশ উৎসব অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত ফুলের তোড়া, ফুলের মালাতে সুগন্ধী ফুল হিসেবে বেলি ব্যবহৃত হয়। বেলি ফুল একটি অর্থকরী ফুল।এ ফুল চাষের মাধ্যমে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে। বেলি ফুল গাছে ক্ষতিকারক কীট তেমন দেখা যায় না। এছাড়াও বেলি ফুলের ফলন প্রতি বছর বাড়ে। তাই এ ফুলের চাষ অত্যন্ত লাভজনক। তাই বলা যায় বেলি ফুলের গুরুত্ব অপরিসীম।

প্রশ্ন-১৪. কলা চাষের জন্য কোন ধরনের চারা উপযোগী? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: কলায় অসি তেউড় ও পানি তেউড় নামে দুই ধরনের তেউড় দেখা যায়। পানি তেউড় দুর্বল হয় ও আগা গোড়া সমান থাকে। অসি তেউড়ের পাতা সুচালো এবং অনেকটা তলোয়ারের মতো। গোড়ার দিকে মোটা এবং ক্রমশ উপরের দিকে সুর হয়। এতে প্রাথমিক অবস্থায় চারার খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত থাকে। তাই কলা চাষের জন্য অসি তেউড় উত্তম।

প্রশ্ন-১৫. কলার চারার নির্বাচন কৌশল ব্যাখ্যা করো।

 উত্তর: কলার চারাকে তেউড় বলে। তেউড় দুই রকমের হয়। যথা: অসি তেউড় ও পানি তেউড় ।
কলা চাষের জন্য অসি তেউড় উত্তম। অসি তেউড়ের পাতা সরু.. সুচালো এবং অনেকটা তলোয়ারের মতো। এই তেউড় গোড়ার দিকে মোটা এবং ক্রমশ উপরের দিকে সরু হতে থাকে। অপরদিকে পানি তেউড় দুর্বল। এর আগা গোড়া সমান থাকে। তাই কলা চাষের জন্য এই তেউড় উপযুক্ত নয়। এই দুই ধরনের চারা ছাড়াও সম্পূর্ণমূলগ্রন্থি বা তার ক্ষুদ্র অংশ থেকেও কলা গাছের বংশবিস্তার করা সম্ভব। তবে এক্ষেত্রে ফল আসতে বেশি সময় লাগে।

প্রশ্ন-১৬. কলার মূলগ্রন্থি দিয়ে বংশ বিস্তার সম্ভব কি-না ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: অসি তেউড় ও পানি তেউড় ছাড়াও সম্পূর্ণ মূলগ্রন্থি বা তার ক্ষুদ্র অংশ থেকেও কলার বংশ বিস্তার সম্ভব।কলার মূলগ্রন্থি দিয়ে বংশ বিস্তার সম্ভব। তবে এতে ফল আসতে বেশি সময় লাগে। ফলন্ত ও অফলন্ত দুই ধরনের গাছেরই মূলগ্রন্থি চারা হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

প্রশ্ন-১৭. হাঁস ও মাছের সমন্বিত চাষে পুকুরে মাছের অক্সিজেনের সমস্যা হয় না কেন? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: হাস ও মাছের সমন্বিত চাষে মাছের সাথে হাঁস পালন করা হয়। এ পদ্ধতিতে পুকুরের উপর হাঁসের ঘর তৈরি করা হয়। হাঁস পুকুরে সাঁতার কাটে।
 যার মাধ্যমে পানিতে বাতাসের অক্সিজেন সহজে মিশে যাওয়ায় পানিতে অক্সিজেনের অভাব হয় না।

প্রশ্ন-১৮. ধানক্ষেতে মাছ চাষে গ্রাস কার্প ছাড়া উচিত নয় কেন?

উত্তর: গ্রাসকার্প উদ্ভিদভোজী প্রাণী। ধানক্ষেতে মাছ চাষে গ্রাসকার্প ছাড়লে গ্রাসকার্প ধান গাছের কুশি ও ধান গাছ খেয়ে ফেলতে পারে। তাই ধানক্ষেতে মাছ চাষে 
গ্রাসকার্প ছাড়া উচিত নয়।

প্রশ্ন-১৯. মাগুর মাছকে জিওল মাছ বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা করো। 

উত্তর: যে সকল মাছের দেহে ফুলকা ছাড়াও অতিরিক্ত শ্বসনতন্ত্র থাকে, যার মাধ্যমে এরা বাতাস থেকে সরাসরি অক্সিজেন নিতে পারে তাদেরকে জিওল মাছ বলে।মাগুর মাছের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ফুলকা ছাড়াও এদের অতিরিক্ত শ্বসনতন্ত্র আছে যার মাধ্যমে এরা বাতাস থেকে সরাসরি অক্সিজেন নিতে পারে। ফলে মাগুর মাছ অল্প অক্সিজেনযুক্ত পানিতে বা পানি ছাড়াও দীর্ঘদিন বেঁচে থাকতে পারে। তাই মাগুর মাছকে জিওল মাছ বলা হয়।

প্রশ্ন ২০. সমন্বিত চাষে ভূমির ব্যবহার দ্বিগুণ হয় কীভাবে? ব্যাখ্যা করো।

 উত্তর: সমন্বিত চাষে একই ভূমিতে একই সাথে অনেকগুলো ফসল একত্রে পরিকল্পনামাফিক চাষ করা হয়।অর্থাৎ, সমন্বিত চাষের ক্ষেত্রে পৃথক পৃথক ফসলের জন্য পৃথক কোনো জমির প্রয়োজন হয় না। যেমন- পুকুরে মাছ ও হাঁস চাষ। এতে অপচয় কম হওয়ায় জমির ব্যবহার সর্বোচ্চ হয়।
কেননা জমির পতিত অংশ বা ফাঁকা অংশ কম থাকে বলে এ ধরনের চাষে ভূমির ব্যবহার দ্বিগুণ হয়।

প্রশ্ন-২১. দুগ্ধ খামারের ভবিষ্যৎ বাছুরের উপর নির্ভরশীল কেন?

 উত্তর: জন্মের পর থেকে এক বছরের বেশি বয়সের গরু-মহিষের বাচ্চাকে বাছুর বলে ।
আজকের বাছুরই ভবিষ্যতের দুধ উৎপাদনশীল গাভি, প্রজনন উপযোগী ষাড় বা মাংস উৎপাদনকারী গরু। বাছুরের শারীরিক বৃদ্ধি ভালোভাবে না হলে পরবর্তীতে ভালো উৎপাদনশীল গরু হিসেবে গড়ে উঠতে পারে না। অর্থাৎ সুস্থ-সবল গরু পেতে হলে বাছুরের যথাযথ পরিচর্যা করতে হবে। অন্যথায় দুগ্ধ খামারকে লাভজনক করা যাবে না।এজন্য দুগ্ধ খামারের ভবিষ্যৎ বাছুরের উপর নির্ভরশীল।

প্রশ্ন-২২. বাঁশকে গরিবের কাঠ বলা হয় কেন? 

 উত্তর: বাঁশ ঘাস জাতীয় উদ্ভিদ যা কাঠের বিকল্প হিসেবে আসবাবপত্র, গৃহনির্মাণ ও গৃহ সজ্জার কাজে ব্যবহৃত হয়। দরিদ্র মানুষের সামর্থ্য থাকে না কাঠ কিনে ঘর ও ঘরের আসবাবপত্র তৈরি করার। তাদের একমাত্র ভরসা বাঁশ। বাঁশ দামে সস্তা ও সহজলভ্য। বাঁশ দিয়ে চাটাই, ডোল, বীম, আড়, ঘরের খুঁটি, টুকরি, ঝুড়ি, মাছ ধরার খাঁচা,পলো ইত্যাদি জিনিস তৈরি করা যায়। তাই বাঁশকে গরিবের কাঠ বলা হয়।

প্রশ্ন-২৩.ত্রিফলা বলতে কী বোঝায়?

উত্তর: আমলকি, হরিতকী ও বহেড়াকে একত্রে ত্রিফলা বলা হয় । বহেড়ার ফল পেটের পীড়া, অর্শ্ব, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া ও জ্বরে ব্যবহার্য। ফল হূৎপিণ্ড, ফুসফুস,নাসিকা, গলার রোগ ও অজীর্ণতার ভালো ঔষধ। আয়ুর্বেদিক ফল ত্রিফলার মধ্যে অন্যতম ফল হরিতকী যার কাঁচা ফল আমাশয় এবং পাকা ফল রক্তশূন্যতা, "পিত্তরোগ, হৃদরোগ, গেটেবাত ও গলা ক্ষতে ব্যবহার্য। আমলকির ফল ত্রিফলার সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করলে রক্তহীনতা, জন্ডিস, চর্মরোগ, ডায়াবেটিস ও চুল পড়া প্রভৃতি রোগের উপশম হয়।

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর 

১.দানা জাতীয় ফসলের মধ্যে বাংলাদেশে কোনটির উৎপাদন সবচেয়ে বেশি হয়?

ক) ধান
খ) গম
(গ) ভুট্টা 
ঘ) সরিষা
উ:ক

২.'দুধসর' কিসের জাত?

ক) ধান
খ) সরিষা
গ) কলা
ঘ) পাট
‌উ:ক

৩.উফশী জাতের বৈশিষ্ট্য হলো—

i. গাছ খাটো
ii. গাছ সবুজ
iii. পাতা খাড়া
 নিচের কোনটি সঠিক?
ক)i ও ii
খ) ii ও iii
গ)  ii
ঘ)) i, ii ও iii
উ:ঘ

৪. বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এ পর্যন্ত উফশী ধানের কতটি জাত উদ্ভাবন করেছে?

ক)৪৮
খ) ৫৮
(গ) ৬৮
ঘ)৭৮.
উ:ঘ

৫.আমন মৌসুমে কোন জাতটি আবাদ করা হয়?

 ক) বিআর-১১
খ) বিআর-২০
গ) বিআর-২১
(ঘ) বিআর-২৮
উ:ক

৬.আউশ ও বোরো মৌসুমে চাষ করা যায় এরূপ ধানের জাত --

i.  বিআর ১১
ii.বিআর ১
iii.বিআর ২
 নিচের কোনটি সঠিক?
ক)i ও ii
খ) i ও iii
গ)ii ও iii
ঘ)) i, ii ও iii
উ:গ

৭.ধান বীজ বাছাই করতে বীজের কতভাগ গজানোর ক্ষমতা থাকা প্রয়োজন? 

ক)৫০% 
খ)৬০%
গ) ৭০%
ঘ))৮০% 
উ:ঘ

৮.ধানের বীজ বাছাইকরণে কোনটি ব্যবহার করা হয়।

ক) ইউরিয়া সার
খ)সোডা
গ) গরম পানি
(ঘ) মোলাসেস
উ:ক

৯.ধানের চারা সবুজ রাখতে প্রয়োজনে ইউরিয়া প্রয়োগের পরে কোনটি দিতে হবে? 

ক) এমপি
খ) জিপসাম
গ) টিএসপি
ঘ) সালফার
উ:খ

১০. ধান গাছের মাঝডগা সাদা ও ধানের শীষে সাদা চিটা হয় কোন?

ক) পামরি পোকা
গ) উরচুঙ্গা
(খ) মাজরা পোকা
(ঘ) জাব পোকা
উ:খ

১১.ধানের ব্লাষ্ট রোগের কারণ কী? 

ক)ভাইরাস
খ)ছত্রাক
(খ) ব্যাকটেরিয়া
(ঘ) নেমাটোড
উ:খ

১২.ধানের টুংরো রোগের লক্ষণ হলো-

i. প্রথমে পাতার রং হালকা সবুজ হয়
ii.গাছ টান দিলে সহজে উঠে আসে
iii. পাতায় ডিম্বাকৃতির দাগ পড়ে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক)i ও ii
খ) i ও iii
গ)ii ও iii
ঘ)) i, ii ও iii
উ:ক

১৩.কোন পোকার বয়স্ক পর্যায়ে গা থেকে গন্ধ বের হয়?

(ক) গণমাহি
(খ) গান্ধি পোকা
গ)মাজরা পোকা
(ঘ) পামরি পোকা
উ:খ

১৪. কোন পোকার আক্রমণে ধানগাছ পুড়ে যাওয়ার মতো রং ধারণ করে মারা যায়?

(ক) মাজরা
খ) পামরি
গ) গলমাছি
(ঘ) বাদামি গাছ ফড়িং
উ:ঘ

১৫. বাদামী গাছ ফড়িং দমন করা হয় কোন রাসায়নিকের সাহায্যে---

ক)ম্যালাথিয়ন
খ) ডায়াজিনন
গ)ডেপোনা
ঘ) টিল্ট ২৫ ই সি
উ:খ

১৬.ধানের গোড়ায় বসে এক ধরনের ফড়িং পোকা রস চুষে খেলে কোন কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয়?

ক) ডায়াজিনন ৬০
খ) ডায়াজিনন ১৪
গ) ডেপোনা ১০০
ঘ) ম্যালাথিয়ন ৫৭
উ:খ
নিচের চিত্রটি লক্ষ করো এবং ১৭ এবং ১৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও               


১৭. পোকাটি হলো-

ক) পামরিপোকা
 খ)ঘাসফড়িং
 গ) গলমাছি
ঘ) গান্ধিপোকা 
উ:ঘ

১৮. পোকাটির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য-

i দানায় দুধ সৃষ্টির সময় আক্রমণ করে
ii. পোকার গা থেকে গন্ধ বের হয়
iii. কুশি অবস্থায় আক্রমণ করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক)i ও ii
খ) i ও iii
গ)ii ও iii
ঘ)) i, ii ও iii
উ:ক

১৯. উফশী জাতের ধানের হেক্টর প্রতি ফলন কত টন?

ক)৩-৪ 
খ)২-৩
গ)৫-৬
ঘ)) ৬-৭
উ:গ

২০. কেনাফ কি?

ক)ওএম-১  
খ)ওএম-১ 
গ)আঁশ ফসল
ঘ)) এইচসি-২
উ:গ

সৃজনশীল প্রশ্ন


অধ্যায় ৪: কৃষিজ উৎপাদন
সৃজনশীল রচনামূলক
১. অভিজ্ঞ কৃষক ফরিদ মিয়া BADC থেকে ৩০ কেজি উফশী জাতের বীজ সংগ্রহ করেন। তিনি ভালো মানের চারা উৎপাদনের জন্য ১০ মি. × ৪ মি. আকারে
 প্রয়োজনীয় সংখ্যক বীজতলা তৈরি করেন। সঠিক নিয়মে পরিচর্যার কারণে বীজতলার চারার গুণগত মান বৃদ্ধি পেয়েছে।
ক. ভূমি কর্ষণ কাকে বলে?
খ. ভূমিক্ষয়ের প্রধান কারণটি ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত বীজের জন্য উল্লিখিত আকারের প্রয়োজনীয় সংখ্যক বীজতলার নকশা অঙ্কন করো।
ঘ. ধানের চারা উৎপাদনে ফরিদ মিয়ার পদক্ষেপগুলো বিশ্লেষণ করো। 

২.পাট চাষী হারুন মিয়া তার পাটক্ষেতে দেখতে পেলেন যে, এক ধরনের পোকা পাটের কচি ও বয়স্ক পাতা খেয়ে ফেলেছে। এছাড়া তিনি পাটের পাতার উল্টো পিঠে
 গাদা করা ডিম দেখতে পেলেন। তিনি বিচলিত না হয়ে সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পোকা দমন করেন। তার জমিতে ভালো ফলন হওয়ায় এলাকার অন্যান্য কৃষকগণ পাট চাষে
উদ্বুদ্ধ হলেন। তিনি কৃষকদের বললেন, “বাংলাদেশে উৎপাদিত অর্থকরী ফসলগুলোর মধ্যে পাটের স্থান শীর্ষে।
ক. মিষ্টি কুমড়ায় প্রচুর পরিমাণে কোন ভিটামিন থাকে? 
খ. গোলাপ গাছে ডাল-পালা ছাঁটাইকরণ করা হয় কেন? ব্যাখ্যা করো ।
গ. উদ্দীপকের আলোকে হারুন মিয়া তার ফসলের সমস্যা সমাধানে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন? বর্ণনা করো।
ঘ. হারুন সাহেবের উক্তিটি বিশ্লেষণ করো।


৩. কাশেম আলী ধান চাষ করে লাভবান না হওয়ায় কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ মোতাবেক ৫০ শতক উঁচু জমি কলা চাষের জন্য তৈরি করেন। 
এক্ষেত্রে সঠিক মাত্রায় জৈব ও রাসায়নিক সার প্রয়োগ করেন। অতঃপর পানি ও অন্যান্য সকল পরিচর্যা এবং রক্ষণাবেক্ষণ যথাযথভাবে সম্পন্ন করেন।
ক. কলার কয়েকটি জাতের নাম লেখো।
খ. কলার চারার নির্বাচন কৌশল ব্যাখ্যা করো।
গ. কাশেম আলীর কলা চাষে সার প্রয়োগ পদ্ধতি ও সারের পরিমাণ নির্ণয় করো ।
ঘ. কাশেম আলীর উদ্যোগটির লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা বিশ্লেষণ করো। 

8. ►
চিত্র-A
চিত্র-B
চিত্র : বিছা পোকা ও পাটগাছ
ক. BJRI এর পূর্ণরূপ কী?
খ. ধানের চারা কীভাবে উঠাতে হয়?
গ. উদ্দীপকের পোকার ক্ষতির লক্ষণ লেখো।
 ঘ. উদ্দীপকের পোকার দমন পদ্ধতি লেখো।
উত্তর অধ্যায়ভিত্তিক পরীক্ষা প্রস্তুতি অংশ, পৃষ্ঠা ১৪৪, প্রশ্ন ৬২ দেখো ।
 ৫. ময়েজ মিয়া প্রতিবছর তার জমিতে ধান চাষ করেন। কিন্তু এ বছর তিনি ঐ জমিতে ধান ও গলদা চিংড়ি একসাথে চাষের সিদ্ধান্ত নেন।
 এজন্য তিনি জমিতে মাছ চাষের জন্য প্রয়োজনীয় কাজগুলো সম্পন্ন করেন।
ক. সমন্বিত চাষ কী?
খ. ধানক্ষেতে মাছ চাষে গ্রাসকার্প ছাড়া উচিত নয় কেন?
গ. উদ্দীপকের আলোকে ময়েজ মিয়ার জমিতে প্রয়োজনীয় কাজগুলো বর্ণনা করো।
ঘ. ময়েজ মিয়ার গৃহীত সিদ্ধান্তটির বর্তমান প্রেক্ষাপটে মূল্যায়ন করো। 
৬.
মাজরা পোকা
পামরি পোকা
গান্ধি পোকা
ক. অসি তেউড় কাকে বলে?
খ. পাট চাষে চারা পাতলাকরণ ও আগাছা দমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত আক্রান্ত গাছটির ব্যাখ্যা দাও।
ঘ. উদ্দীপকের গাছটির উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাসে উপরিউক্ত পোকাগুলোই দায়ী বিশ্লেষণ করো।






এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনেট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url